লিভার পরিষ্কার রাখতে খাবেন কোন ৭ খাবার
Published: 29th, June 2025 GMT
অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস এবং শরীরচর্চার অভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় লিভার। বিশেষ করে নিয়মিত প্রক্রিয়াজাত ও তৈলাক্ত খাবার খেলে, মদ্যপান করলে লিভারে ফ্যাট জমে। এতে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ে। শরীর সুস্থ রাখতে লিভার টক্সিন মুক্ত রাখা খুবই জরুরি। এজন্য প্রতিদিন ডিটক্স ওয়াটার খাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার রাখলেই উপকার পাবেন। যেমন-
শাকপাতা
শাকের মধ্যে থাকা ক্লোরোফিল পিত্ত উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে বর্জ্য বের করতে এবং ফ্যাটকে ভাঙতে সাহায্য করে। এ কারণে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় যে কোনও শাক রাখুন।
রসুন
রসুনে থাকা অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম উপাদান লিভারকে টক্সিন মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দু’কোয়া রসুন খেলেই লিভার ফ্যাট ফ্রি থাকবে।
হলুদ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন নামে এক ধরনের যৌগ দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির কাজ করে। এটি লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ পরিষ্কার করে দেয় এবং লিভারের প্রদাহ কমায়।
আপেল
একাধিক রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করে আপেল। এই ফলের মধ্যে পেকটিন নামের ফাইবার রয়েছে, যা পেট পরিষ্কার করতে ভূমিকা রাখে। লিভার ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রোজ একটা করে আপেল খান।
গ্রিন টি
গ্রিন টি-তে ক্যাটেচিন নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। দিনে ৩-৪ কাপ গ্রিন টি খেলেই ফ্যাটি লিভার, কোলেস্টেরল এবং বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
লেবুজাতীয় ফল
যে কোনও ধরনের লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। এই উপাদান লিভারকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।
কপিজাতীয় সবজি
বাঁধাকপি, ফুলকপি, ওলকপি কিংবা ব্রকোলি— এই জাতীয় সবজিতে গ্লুকোসিনোলেট্স নামক একটি এনজাইম থাকে যা শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে এবং লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড টক স স হ য য কর
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)