গুগল ফটোজে আবার চালু হলো ‘আস্ক ফটোজ’ এআই সুবিধা
Published: 29th, June 2025 GMT
গুগলের ছবি ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণের সুবিধা ‘গুগল ফটোজ’ কাজে লাগিয়ে যেকোনো ছবি বা ভিডিও অনলাইনে বিনা মূল্যে সংরক্ষণ করা যায়। শুধু তা–ই নয়, সংরক্ষণ করা ছবি দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওও তৈরি করা সম্ভব। বর্তমানের তুলনায় আরও সহজে ছবি খুঁজে পাওয়ার সুযোগ দিতে গুগল ফটোজ অ্যাপে আবারও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিনির্ভর ছবি অনুসন্ধান সুবিধা ‘আস্ক ফটোজ’ চালু করেছে গুগল। ধীরগতি ও জটিল ইন্টারফেসের অভিযোগে গত জুনে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল সুবিধাটি।
এক ঘোষণায় গুগল জানিয়েছে, আস্ক ফটোজে বেশ কিছু প্রযুক্তিগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে ব্যবহারকারী প্রশ্ন করামাত্র তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক ফলাফল দেখানো হবে। একই সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে এআই মডেল জেমিনি কাজ চালিয়ে যাবে আরও সুনির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক ছবি খুঁজে দিতে। এতে জটিল অনুসন্ধানেও সময় নষ্ট হবে না এবং সাধারণ প্রশ্নের উত্তরও দ্রুত পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনগুগল ফটোজের মাধ্যমে হাইলাইট ভিডিও তৈরি করবেন যেভাবে২৭ আগস্ট ২০২৪২০২৪ সালের গুগল আই/ও সম্মেলনে আস্ক ফটোজের সুবিধা প্রথমবারের মতো প্রদর্শন করে গুগল। সে সময় গুগল জানিয়েছিল, আস্ক ফটোজ এআই মডেল জেমিনির সাহায্যে ব্যবহারকারীদের ফটো লাইব্রেরি থেকে সহজেই বিষয়ভিত্তিক ছবি খুঁজে দিতে পারে।
গুগলের তথ্যমতে, প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা আস্ক ফটোজের সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারবেন। আস্ক ফটোজ সুবিধা ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারীদের বয়স হতে হবে কমপক্ষে ১৮ বছর। শুধু তা–ই নয়, গুগল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে এবং গুগল ফটোজের ‘ফেস গ্রুপস’ সুবিধা চালু রাখতে হবে। পর্যায়ক্রমে আরও বেশি ব্যবহারকারীর জন্য সুবিধাটি উন্মুক্ত করা হবে।
সূত্র: ম্যাশেবল
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)