জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) শিক্ষা ও গবেষণার জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। তবে এর কার্যকর ও ইতিবাচক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে ভারসাম্য ও নৈতিকতার চর্চা অত্যন্ত জরুরি।”

রবিবার (২৯ জুন) ‘ইফেক্টিভ ইউজ অফ এআই টুলস ইন টিচিং, লার্নিং অ্যান্ড রিচার্জ’ শীর্ষক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

উপাচার্য বলেন, “এআই প্রযুক্তি আমাদের শিক্ষাদান ও গবেষণাকে যেমন সহজ করছে, তেমনি এর অপব্যবহার বা নীতিহীন প্রয়োগ শিক্ষার মৌলিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। শুধু প্রযুক্তির ব্যবহার নয়, বরং এর নৈতিকতা, স্বীকৃতি ও কৃতিত্ব প্রদানের দিকেও সমান মনোযোগ দিতে হবে।”

আরো পড়ুন:

জকসু নির্বাচনসহ ৩ দাবিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মসূচি

মহানবী (সা.

)-কে নিয়ে জাবি শিক্ষার্থীর কটুক্তি, প্রতিবাদে বিক্ষোভ

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ ধরনের প্রশিক্ষণ শিক্ষকসমাজকে এআই ব্যবহারে দক্ষ ও সচেতন করে তুলবে। নীতিমালা ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির সমন্বয়ের মাধ্যমেই এআই-এর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, “এআই এখন ব্যক্তি, সমাজ ও শিক্ষাজীবনের প্রতিটি স্তরে প্রভাব ফেলছে। এই প্রশিক্ষণ কেবল দক্ষতা বাড়াবে না, এআই সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিরও একটি কার্যকর পদক্ষেপ হবে। তবে এর ব্যবহার যেন সবসময় নৈতিক ও দায়িত্বশীল হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।”

প্রশিক্ষণে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি এআই প্রযুক্তির বাস্তব প্রয়োগ, সম্ভাবনা, সীমাবদ্ধতা ও ব্যবহারজনিত সতর্কতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েকের সভাপতিত্বে এতে স্বাগত বক্তব্য দেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান এবং আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক মেজবাহ-উল-আজম সওদাগর। প্রশিক্ষণ শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জামির হোসেন।

প্রশিক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন এবং এআই প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে মতবিনিময় করেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ত র ম ব দ ধ মত ত আইক উএস উপ চ র য ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

রবি শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার, যমুনা সেতুতে যান চলাচল স্বাভাবিক

যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে হওয়া ব্লকেড ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ১ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে এ কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।

এর আগে, স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে যমুনা সেতু পশ্চিমে মহাসড়ক ব্লকেড করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন। 

আরো পড়ুন:

দ্বিতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধনের নতুন তারিখ ঘোষণা

উদ্বোধনের আগেই ঝুঁকিতে পড়ছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু

এর আগে, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গমুখী উভয় লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচীর কারণে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

ব্লকেড প্রত্যাহারের পর ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী উভয় লেনে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। এতে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মহাসড়কে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ বলেন, “১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা বসে পড়েন। এতে উভয় লেনেই যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ১ ঘণ্টা মহাসড়কে বিক্ষোভ করার পরে সড়ক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “আজকে রেল ও সড়ক পথ অবরোধের কথা ছিল। কিন্তু বুধবার (১৩ আগস্ট) উল্লাপাড়ায় রেলপথ অবরোধের কারণে সিডিউল বিপর্যয় ঘটে। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা রেলপথ ছেড়ে দিয়েছি। তবে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে বিক্ষোভ করার পর মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শিগগিরই আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের (ডিপিপি) অনুমোদন না হওয়ায় আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা কর্মসূচিতে মহাসড়ক অচল করে দেয় শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এরপর ৬ মাসেও ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়ে পূণরায় আন্দোলন শুরু হয়।

ঢাকা/রাসেল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ