মর্গ্যান গার্লস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ডিসি বরাবর শিক্ষিকদের লিখিত অভিযোগ
Published: 29th, June 2025 GMT
মর্গ্যান গার্লস স্কুলের শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে মানববন্ধন করে শিক্ষকবৃন্দ ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষপাতী এবং মেয়েদের প্রহার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকা। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যাচার বক্তব্য ও চরিত্র হননের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।
গত ২৬ জুন মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের পাঁচ শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন সোহান, এস এম জোবায়ের আহম্মেদ, মো.
লিখিত অভিযোগে তাঁরা উল্লেখ করেন, গত ২৯ মে রোজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় পূর্বনির্ধারিত তারিখে ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রাশেদুন ইসলাম স্যার মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তদন্তে গেলে সেখানে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
উক্ত ঘটনার পঁচিশ দিন পর গত ২২ জুন রবিবার বিকাল পৌনে চারটার দিকে শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করেন অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত)।
উক্ত মানববন্ধনে বিভিন্ন মিডিয়ায় স্বাক্ষাতকারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুসরাত রেবেকা স্কুলের শিক্ষক সোহান, জোবায়ের, শাহজালাল, মনিরা, আরিফা এদের নামে অভিযোগ করে বলেন উক্ত শিক্ষকবৃন্দ ম্যাজিস্ট্রেটের পক্ষপাতী এবং মেয়েদের প্রহার করেছেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, কলেজের খণ্ডকালীন জীববিজ্ঞান শিক্ষিকা শারমিন চৌধুরী ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, কলেজ শাখার শিক্ষক জোবায়ের আহমেদ তাকে পুলিশের সামনে মারতে গিয়েছিলেন।
তবে শিক্ষকরা দাবি করেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। উক্ত সময়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন, অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা ও দুইজন কনস্টেবল ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন, যাদের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করা সম্ভব।
শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও শারমিন চৌধুরীর আচরণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ৫১ (খ) ও (চ)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়।
তারা জেলা প্রশাসকের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কল জ র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভোলাগঞ্জের লুটকৃত ৪০ হাজার ঘনফুট পাথর ডেমরা থেকে উদ্ধার
সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে লুটকৃত ৪০ হাজার ঘনফুট সাদা পাথর ঢাকার ডেমরা থেকে উদ্ধার করেছে নারায়ণগঞ্জ র্যাব-১১।
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র ভোলাগঞ্জ থেকে লুটকৃত মূল্যবান বিপুল পরিমাণ সাদা খনিজ পাথর উদ্ধারে ঢাকার ডেমরার সারুলিয়ায় র্যাব, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে ডেমরার সারুলিয়া শুকুরসী ঘাট এলাকায় এ যৌথ অভিযানটি পরিচালিত হয়।
সম্প্রতি ভোলাগঞ্জ এলাকা থেকে প্রায় দুই লক্ষ ঘনফুট সাদা পাথর লুট করা হয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা। পাশাপাশি প্রায় ৬ লক্ষ ঘনফুট বালু লুটপাট হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ২৪০ কোটি টাকা।
অবৈধভাবে উত্তোলিত এসব পাথর স্থানীয় দয়ার বাজার, কলাবাড়ি ও ভোলাগঞ্জের ১০নং ঘাটে জমা করে বিভিন্ন ক্রাশার মেশিনে পাঠানো হতো বলে জানা গেছে।
সাদা পাথর লুটপাট বন্ধে এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জে র্যাব-১১, জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া এলাকায় আনুমানিক ৪০ হাজার ঘনফুট আস্ত ও ক্রাশড পাথর জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, অবৈধভাবে উত্তোলিত এসব বিপুল পরিমাণ পাথরের অনেকাংশই মেশিনে ক্রাশ করা হয়েছে। সাতটি প্রতিষ্ঠান থেকে এসব পাথর জব্দ করা হয়েছে। তাদের মালিকপক্ষের তালিকা করা হয়েছে। অভিযানের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
ঢাকা/অনিক/এস