মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরাসহ খুলনার জনসাধারণ ও সর্বস্তরের নাগরিক সংগঠন।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় গল্লামারীস্থ এই মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারের মূল গেটে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। খামারটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সামনের অনেকটা জায়গা জুড়ে অবস্থিত।

আরো পড়ুন:

খুবিতে নারীর সুরক্ষা-বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার সম্মাননা প্রদা

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে গাইবান্ধায় নেওয়া হলো খুবি শিক্ষার্থীর মরদেহ

এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে পর্যালোচনা করে সুপারিশ এবং প্রতিবেদন প্রেরণের লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো.

ইমামুদ্দিন কবিরকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির সদস্যরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিদর্শন করেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ লেবার পার্টি খুলনা জেলা শাখা, নাগরিক সমাজ খুলনা, বৃহত্তম খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি, বটিয়াঘাটা উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন খুলনা বিভাগ, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসী, ডুমুরিয়া উপজেলা কল্যাণ সমিতি, সুশীল সমাজ খুলনা, বরিশাল বিভাগীয় কল্যাণ সমিতি খুলনা, দক্ষিণ অঞ্চল উন্নয়ন পরিষদ, নাগরিক ফোরাম খুলনা ও বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি।

এছাড়াও মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। 

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, বিএনপির খুলনা জেলা সভাপতি আমীর এজাজ খান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলনা মহানগরীর আমীর মাহফুজর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির বিভাগীয় সংগঠক আহম্মেদ হামিম রাহাত, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মিজানুর রহমান বাবু, দক্ষিণ অঞ্চল উন্নয়ন পরিষদের নেতা ইব্রাহিম হাওলাদার, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সভাপতি আবু তাহের, বরিশাল বিভাগীয় কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাজী আব্দুল মালেক, ডুমুরিয়া উপজেলা কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মানবাধিকার কমিশন খুলনা শাখার সভাপতি এস. এম. মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই যৌক্তিক দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করছি। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্য অনতিবিলম্বে মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত করতে হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণায়ও বেশি পারদর্শী হয়ে উঠতে পারে এবং দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম আয়ের উৎস মাছ নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণা করতে পারে।

তারা বলেন, আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, যত দ্রুত সম্ভব খুলনাবাসীর এ দাবি মেনে নিয়ে মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারকে সম্পূর্ণরূপে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাভুক্ত করে দেওয়া হোক।

মানববন্ধন শেষে খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসী ও খুলনা সিভিল সোসাইটির উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. ইমামুদ্দিন কবির ও কমিটির সদস্যদের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে একটি মিটিং আয়োজন করা হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশিক উর রহমান গল্লামারী মৎস্য খামার হস্তান্তরের সুযোগ-সুবিধা একটি স্লাইড প্রেজেন্টেশনে উপস্থাপন করেন। 

এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমামুদ্দিন কবির বলেন, “আমরা একটি মিটিং আয়োজন করব। সেখানে এসব বিষয় উপস্থাপন করা হবে।”

ঢাকা/হাসিব/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন

নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান ও ধামুইরহাট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের শাস্তি ও ইউএনওর অপসারণের দাবিতে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলার মঙ্গলকোঠা আবাসিক এলাকায় ধামুইরহাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার লোকজনের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। ময়লা ফেলতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালাম ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে মঙ্গলকোঠা এলাকার এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুই নারীকে মারধর করেন।

গৃহবধূ সামিরন খাতুন বলেন, ‘পৌরসভার লোকজন গাড়িতে করে আমাদের এলাকায় ময়লা ফেলতে এলে এলাকার সবাই মিলে বাধা দিই। বসতবাড়ির আশপাশে ময়লা ফেললে সমস্যা হবে বলে ইউএনওকে ময়লা না ফেলতে এলাকাবাসী অনুরোধ করেন। কিন্তু ইউএনও আমাদের কথা না শুনে আমাকেসহ মিতুকে (অন্তঃসত্ত্বা নারী) নিজেই লাঠি দিয়ে মারধর করেন। আমরা ইউএনওর অপসারণসহ তাঁর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে স্থানীয় আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘ইউএনও আমার গর্ভবতী স্ত্রীর গায়ে তুলেছে সবার সামনে। একজন ইউএনওর আচরণ এমন হলে আমরা বিচার কার কাছে পাব?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান বলেন, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা একটি খাস জমিতে ময়লা ফেলতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গালমন্দ করে তাড়িয়ে দেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি ওই এলাকায় গেলে এলাকার কিছু লোক তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। সেখানে কয়েকজন অবৈধ দখলদার নারী-পুরুষ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও আনসারদের গায়ে হাত তোলেন। নারীদের মারধরের অভিযোগের বিষয়ে তিনি দাবি করেন, ‘সেখানে কারও গায়ে হাত তোলা হয়নি। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল প্রথম আলোকে বলেন, আজ মানববন্ধন করে কিছু লোক ইউএনওর বিরুদ্ধে নারীকে মারধরের অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যবসায়ীর উপর হামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • নোয়াখালীকে স্বতন্ত্র বিভাগ ঘোষণার দাবিতে ব্লকেড, মানববন্ধন
  • কুমিল্লায় ড্যাবের এক নেতার বিরুদ্ধে আরেক নেতার অনুসারীদের মানববন্ধন
  • গণঅভ্যুত্থানে হত্যায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আসামি করার প্রতিবাদে বিক
  • অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ, নওগাঁয় ইউএনওর অপসারণ চেয়ে মানববন্ধন
  • খাগড়াছড়িতে মারমা কিশোরীকে ধর্ষণ ও প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলার বিচার দাবিতে মানববন্ধন
  • শাহজাদপুরে নির্মাণের এক মাসের মাথায় সড়কে ধস