Samakal:
2025-11-17@11:04:10 GMT

অভিষেকের আগেই বিতর্কে শানায়া

Published: 29th, June 2025 GMT

অভিষেকের আগেই বিতর্কে শানায়া

বলিউডে অভিষেকের আগেই বিতর্কের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী শানায়া কাপুর। সম্প্রতি বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারকাখ্যাতি, প্রস্তুতি, সমালোচনা ও নিজের যাত্রা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন অভিনেতা সঞ্জয় কাপুর ও অভিনেত্রী মাহিপ কাপুরের কন্যা শানায়া। তবে তার এই মন্তব্যই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ট্রলের শিকার।

আগামী ১১ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে শানায়ার প্রথম ছবি ‘আঁখো কি গুস্তাখিয়াঁ’, যেখানে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন টুয়েলভ ফেল-খ্যাত অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি।

অভিষেকের আগে এক সাক্ষাৎকারে শানায়া বলেন, ‘খ্যাতির সঙ্গে সমালোচনা আসেই। আমি ওগুলোকে নেতিবাচকভাবে নিইনি; বরং শিখেছি, নিজেকে গড়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যেমন, তা আমার অভিভাবকদের জন্য। বিশেষ করে আমার বাবা আর মায়ের জন্য। আমি যে পরিবেশে বড় হয়েছি, তা নিয়ে গর্বিত। আমি সেটিকে বদলাতে চাই না।’

নিজের যাত্রা প্রসঙ্গে শানায়া বলেন, ‘এই জায়গায় পৌঁছানোর পেছনেও একটা গল্প আছে। সবকিছুই কোনো না কোনো কারণে ঘটে। আমি খুশি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী।’

তবে তার ‘স্ট্রাগল’ বা সংগ্রাম নিয়ে এই মন্তব্যই বিতর্কের জন্ম দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যবহারকারী শানায়ার এই মন্তব্য নিয়ে তির্যকভাবে লেখেন, ‘শানায়ার একমাত্র সংগ্রাম ছিল লিভিং রুম থেকে মেকআপ চেয়ারে যাওয়া।’

আরেকজন লেখেন, ‘বাস্তবতা থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন! কী সংগ্রাম নিয়ে কথা বলছে সে?’ কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘যে মেয়ে ফিল্মি পরিবারে জন্মে, করণ জোহরের ছায়ায় বড় হয়, তার সংগ্রাম কেমন তা বোঝা দায়।’

তবে বিতর্কের মাঝেও শানায়া নিজের বাস্তবতা স্বীকার করতে পিছপা হননি। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি স্বীকার করি, আমার যাত্রা অনেকের তুলনায় সহজ। তবে ইন্ডাস্ট্রির প্রতিযোগিতা, অনিশ্চয়তা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।’

এর আগে করণ জোহরের প্রযোজনায় ‘বেধড়ক’ নামে একটি প্রজেক্টে শানায়ার নাম ঘোষণা হলেও সেই ছবির কাজ শুরু হয়নি। তাই ‘আঁখো কি গুস্তাখিয়াঁ’ দিয়েই শুরু হচ্ছে তাঁর রুপালি পর্দার যাত্রা। তবে ছবির আগে বিতর্ক সামলানোই এখন তাঁর প্রথম বাস্তব চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব তর ক

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ