Samakal:
2025-06-29@19:04:12 GMT

অভিষেকের আগেই বিতর্কে শানায়া

Published: 29th, June 2025 GMT

অভিষেকের আগেই বিতর্কে শানায়া

বলিউডে অভিষেকের আগেই বিতর্কের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী শানায়া কাপুর। সম্প্রতি বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারকাখ্যাতি, প্রস্তুতি, সমালোচনা ও নিজের যাত্রা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন অভিনেতা সঞ্জয় কাপুর ও অভিনেত্রী মাহিপ কাপুরের কন্যা শানায়া। তবে তার এই মন্তব্যই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ট্রলের শিকার।

আগামী ১১ জুলাই মুক্তি পেতে চলেছে শানায়ার প্রথম ছবি ‘আঁখো কি গুস্তাখিয়াঁ’, যেখানে তাঁর বিপরীতে রয়েছেন টুয়েলভ ফেল-খ্যাত অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি।

অভিষেকের আগে এক সাক্ষাৎকারে শানায়া বলেন, ‘খ্যাতির সঙ্গে সমালোচনা আসেই। আমি ওগুলোকে নেতিবাচকভাবে নিইনি; বরং শিখেছি, নিজেকে গড়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি যেমন, তা আমার অভিভাবকদের জন্য। বিশেষ করে আমার বাবা আর মায়ের জন্য। আমি যে পরিবেশে বড় হয়েছি, তা নিয়ে গর্বিত। আমি সেটিকে বদলাতে চাই না।’

নিজের যাত্রা প্রসঙ্গে শানায়া বলেন, ‘এই জায়গায় পৌঁছানোর পেছনেও একটা গল্প আছে। সবকিছুই কোনো না কোনো কারণে ঘটে। আমি খুশি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী।’

তবে তার ‘স্ট্রাগল’ বা সংগ্রাম নিয়ে এই মন্তব্যই বিতর্কের জন্ম দেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যবহারকারী শানায়ার এই মন্তব্য নিয়ে তির্যকভাবে লেখেন, ‘শানায়ার একমাত্র সংগ্রাম ছিল লিভিং রুম থেকে মেকআপ চেয়ারে যাওয়া।’

আরেকজন লেখেন, ‘বাস্তবতা থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন! কী সংগ্রাম নিয়ে কথা বলছে সে?’ কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘যে মেয়ে ফিল্মি পরিবারে জন্মে, করণ জোহরের ছায়ায় বড় হয়, তার সংগ্রাম কেমন তা বোঝা দায়।’

তবে বিতর্কের মাঝেও শানায়া নিজের বাস্তবতা স্বীকার করতে পিছপা হননি। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি স্বীকার করি, আমার যাত্রা অনেকের তুলনায় সহজ। তবে ইন্ডাস্ট্রির প্রতিযোগিতা, অনিশ্চয়তা আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।’

এর আগে করণ জোহরের প্রযোজনায় ‘বেধড়ক’ নামে একটি প্রজেক্টে শানায়ার নাম ঘোষণা হলেও সেই ছবির কাজ শুরু হয়নি। তাই ‘আঁখো কি গুস্তাখিয়াঁ’ দিয়েই শুরু হচ্ছে তাঁর রুপালি পর্দার যাত্রা। তবে ছবির আগে বিতর্ক সামলানোই এখন তাঁর প্রথম বাস্তব চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব তর ক

এছাড়াও পড়ুন:

ভাগাড়ের দুর্গন্ধে বাড়িতে টেকাই দায় গ্রামবাসীর

ব্যস্ততম ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ধরে সাঁইসাঁই করে ছুটে চলে যানবাহন। এসব যানবাহনের যেসব চালক নিয়মিত সড়কটি দিয়ে যাতায়াত করেন, যেন ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের কসমচ এলাকায় এলে গতি বাড়িয়ে দেন। দ্রুত ওই এলাকাটি ছাড়তে পারলেই যেন বাঁচেন তারা। পৌরসভার ফেলা বর্জ্যের তীব্র দুর্গন্ধে আশপাশের বাতাসও যেন ভারী। 
কসমচ এলাকার ময়লার ভাগাড়ের পাশেই রয়েছে বসতবাড়ি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদ। চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন আশপাশের বাসিন্দারা। ময়লার তীব্র গন্ধ তো আছেই, সঙ্গে আছে মশা-মাছির উপদ্রব। বাসিন্দারা নানা সময়ে এখানে ময়লা ফেলা বন্ধের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের কাছে জমাও দিয়েছেন। করেছেন লিখিত আবেদনও। কিন্তু এ পর্যন্ত মেলেনি কোনো সমাধান।
এসবি লিংকের একটি বাসের চালক মজিবুর রহমানকে ২২ জুন পাওয়া যায় কসমচ এলাকায়। তাঁর কোম্পানির বাসগুলো ঢাকা থেকে ধামরাই, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হয়ে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মামুননগর পর্যন্ত চলাচল করে। মজিবুর বলেন, ‘ময়লার ভাগাড়ের পাশ দিয়ে যেতেই দুর্গন্ধ বাসের ভেতর ঢুকে পড়ে। এ সময় যাত্রীরা নাক-মুখ চেপে রাখেন। অনেক সময় আমরাও (চালক) চেপে রাখি।’ কিন্তু সবাই এই গন্ধ সহ্য করতে পারেন না জানিয়ে তিনি বলেন, অনেকে বমি করে দেন। অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন ধরেই গন্ধের কারণে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পরিবহনের যাত্রী-চালকরা তো ওই এলাকা ছাড়তে পারলেই রক্ষা পান। কিন্তু স্থানীয় লোকজনের সেই উপায় নেই। কুল্লা-বান্দিমারা এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ, আওলাদ হোসেনসহ কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তারা বলেন, দুর্গন্ধের কারণে বাড়িতে থাকাই দায়। নাক-মুখ চেপে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। দুর্গন্ধের কারণে অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করছেন। শিশুরা পড়াশোনার জন্য বিদ্যালয়ে যেতে চায় না। মসজিদে নামাজ পড়তে যেতেও অসুবিধা হয়। পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি, ময়লার ভাগাড়টি যেন সরিয়ে অন্য জায়গায় নেওয়া হয়।
এই পথেই নিয়মিত যাত্রী নিয়ে চলাচল করেন অটোরিকশা চালক সোহরাব হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখানে প্রচুর গন্ধ, মাঝেমধ্যে গন্ধের কারণে স্টিয়ারিং ধরব, নাকি নাক চেপে ধরব– তা নিয়েও দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাই। এতে দুর্ঘটনার ভয়েও থাকি।’
সম্প্রতি গ্রামবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে এসব বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন আনোয়ার হোসেন সুজন। তিনি বলেন, পৌরসভার ময়লা এখানে ফেলার কারণে প্রচুর দুর্গন্ধ হয়। আশপাশের বাড়িতে মানুষের থাকতে অসুবিধা হয়। মশা-মাছি গিয়ে খাবারে বসে। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথাও জানান। আনোয়ার হোসেনও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মসজিদে যেতে লোকজনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
ধামরাইয় পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা ইউএনও মামনুন আহমেদ অনীকের ভাষ্য, পৌর এলাকার বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য নিজস্ব কোনো জায়গা নেই। যে কারণে বাধ্য হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ফেলা হয়। তিনি ওই এলাকার লোকজনের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ভাগাড়টি সরিয়ে নেওয়ার জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে। সেটি পাওয়া গেলেই স্থানীয় লোকজনের দুর্ভোগ কমতে পারে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ