শঙ্কা ছড়িয়েছে বহুরূপী কিছু ম্যালওয়্যার
Published: 29th, June 2025 GMT
ঘরে বা দপ্তরে ব্যবহৃত কম্পিউটারে ভাইরাস বা ম্যালওয়ারের উৎপাত অনেকাংশে বেড়েছে। ভাইরাস নিয়ে সবাই কমবেশি ভুক্তভোগী। ক্রমে যেন তা আরও বিপজ্জনক রূপ ধারণ করছে। সাইবার গবেষকরা নতুন করে সক্রিয় কয়েকটি ম্যালওয়ারের সরব উপস্থিতি শনাক্ত করেছেন। যার উপস্থিতি শুধু পিসিতে নয়, লক্ষ্য
এখন স্মার্টফোন। দুশ্চিন্তার কারণ, একবার আক্রমণে সফল হলে কিছু না কিছু ক্ষতি প্রায় নিশ্চিত। তাই স্মার্টফোন ব্যবহারে যথাযথ সাবধানতার কোনো বিকল্প দেখছেন না গবেষকরা। ব্যক্তিগত তথ্য চুরির সঙ্গে ফোনে মন্থর গতি, ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার পেছনে কাজ করে বহুল আলোচিত তিনটি সুপার ম্যালওয়ার। উল্লিখিত ম্যালওয়্যার থেকে সতর্ক হতে হবে নতুন পদ্ধতিতে। যেমন– ইমোটেট, লোকিবট ও ডার্কগেট।
নামে কিউট হলেও এরা যে কী পরিমাণ বিরক্তির কারণ হয়, তা শুধু যারা ভুক্তভোগী, তারাই উপলব্ধি করেছেন। ইন্টারনেটের বর্ণিল দুনিয়ায় যেন আতঙ্ক ছড়াতে কাজ করছে উল্লিখিত তিনটি সুপার ম্যালওয়ার। অসতর্কতার সুযোগে মুহূর্তেই সর্বনাশ হচ্ছে এসব ম্যালওয়ারের আক্রমণে। প্রতিনিয়ত ঘটছে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, আর্থিক ক্ষতি বা সামাজিক সম্মানহানির মতো অপ্রত্যাশিত সব ঘটনা। বহুজাতিক সাইবার নিরাপত্তা ও অ্যান্টিভাইরাস পরিষেবা দেওয়া ক্যাসপারস্কি প্রকাশিত রিপোর্টে বিশেষ তিনটি সুপার ম্যালওয়্যারের কথা বলা হয়েছে, যা স্বয়ংক্রিয় তথ্য (ডেটা) চুরির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। সুপার ম্যালওয়ারের হাত থেকে বাঁচতে হলে তাদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। সাধারণত ম্যালওয়্যার আক্রমণের কারণে স্মার্টফোনে ধীরগতি নজরে আসে। কারণ ছাড়াই ডিভাইসের চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যেতে পারে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অতিরিক্ত গরম হতে পারে ডিভাইসটি। সর্বদা এসব লক্ষণ বিবেচনায় নিয়ে ব্যবহৃত ডিভাইস প্রতিদিন স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম য লওয় র র
এছাড়াও পড়ুন:
সময় ও সংগ্রামের ‘অগ্নিশ্রাবণ’
ভৈরবী গীতরঙ্গ এনেছে নতুন নাটক ‘অগ্নিশ্রাবণ’। জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে নাটকটির প্রথম মঞ্চায়ন হয় ২৭ জুন। পরদিন সন্ধ্যায় ছিল দ্বিতীয় মঞ্চায়ন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রযোজনাটি এনেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, পরিবেশনায় ভৈরবী গীতরঙ্গ দল।
‘অগ্নিশ্রাবণ’ রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন ইলিয়াস নবী। নির্দেশক জানান, ‘অগ্নিশ্রাবণ’ এক ঐতিহাসিক উপাখ্যান, যেখানে ক্ষমতার পালাবদলে সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলায় না। স্বৈরশাসক যায়, আরেক শাসক আসে; কিন্তু নিপীড়ন, ক্ষোভ, দীর্ঘশ্বাস থেকেই যায়। ইতিহাসের এ চক্রাকার পুনরাবৃত্তির বিপরীতে দাঁড়ানো এক সাহসী কণ্ঠস্বরই এ প্রযোজনার মূল সুর।
ইলিয়াস নবী বলেন, ‘মানুষের মুক্তির গল্পই বলতে চেয়েছি। তেভাগা আন্দোলন, ’৪৭, ’৫২, ’৬৯, ’৭১, ’৯০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ইতিহাসের নানা লড়াই এ নাটকে উঠে এসেছে। সময় এখানে নিজেই চরিত্র হয়ে কথা বলে। ক্ষমতার পালাবদলে সাধারণ মানুষের ভাগ্য যে বদলায় না, সেই কথাই বলেছে “অগ্নিশ্রাবণ”।’
জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে নাটকটির প্রথম মঞ্চায়ন হয় ২৭ জুন: আয়োজকদের সৌজন্যে