অর্ধেক দামে পুরোনো এসি কিনবেন যেখানে, কী কী খেয়াল রাখবেন
Published: 30th, June 2025 GMT
দেশের বাজারে ৪৫ হাজার টাকার নিচে দেড় টনের নতুন শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি পাওয়া যায় না। এসির দামও প্রতিবছর একটু একটু করে বাড়ছে। তাই বর্তমান বাজারে এসি কেনা মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য কিছুটা কঠিন হয়ে পড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুরোনো এসি পাওয়া গেলেও বারিধারা এলাকার জে–ব্লকের ২০ নম্বর রোডের পাশে ১২ থেকে ১৫টি পুরোনো এসির দোকান রয়েছে। এসব দোকানে ব্যবহৃত একেকটি এসি পাওয়া যাবে ১৫ থেকে ৬০ হাজার টাকায়।
ব্যবসায়ীরা জানান, অর্ধেক কিংবা তার চেয়ে কম দামে এসি মিলবে বারিধারার এই বাজারে। বারিধারার এসব এসির দোকানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ও ধরনের এসি একসঙ্গে পাওয়া যায় বলে এই মার্কেটে ক্রেতাদের চাহিদা বেশি। ব্যবসায়ীরা জানান, গরমে প্রতিদিন এই বাজার থেকে গড়ে ৩০ থেকে ৪০টির বেশি পুরোনো এসি বিক্রি হয়।
সম্প্রতি মদিনা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের মাসে গড়ে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকার এসি বিক্রি হয়। গরমের সময় এসি বেশি বিক্রি হওয়ায় মাসে গড়ে এক থেকে দুই লাখ টাকা মুনাফা হয়।’
যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ী সাইফুল হাসানের সঙ্গে এই বাজারে কথা হয় প্রথম আলোর। নিজ এলাকায় চশমার ব্যবসা করেন। দোকানের জন্য এসি কিনতে আসা। নতুন এক টনের ইনভার্টার এসি কিনতে খরচ হয় ৫০ হাজার টাকার বেশি। তাই পুরোনো এসির মার্কেটে এসেছেন এসি কিনতে। তিনি প্রথম আলোকে জানান, ‘এখান থেকে একটি এক টনের এসি কিনেছি ৩০ হাজার টাকায়। কম্প্রেসরের জন্য দুই মাসের ওয়ারেন্টি দিয়েছে। তাই কিছুটা ভরসা করেই কিনেছি।’
এসির দাম কত
এসির এই পুরোনো বাজারে আমেরিকান এয়ার, জেনারেল, এলজি, মিডিয়া, সিঙ্গার, গ্রি, প্যানাসনিক, মিতসুবিশি, ট্রান্সটেক, শার্পসহ প্রায় ২০ থেকে ৩০ ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের এসি পাওয়া যায়। এক টনের একটি এসির দাম ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা, দেড় টনের এসি ২০ থেকে ৩৫ হাজার ও ২ টনের এসি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে মান ও প্রকারভেদে এসির দাম কম বা বেশি হতে পারে।
পুরোনো এসির দোকান মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক জয়নাল আবদিন বলেন, ‘আমাদের দোকানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস থেকে আমেরিকান এয়ার ও জেনারেল ব্র্যান্ডের এসি কেনা হয়। বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসা থেকেও এসি সংগ্রহ করি। একটি দেড় টন জেনারেল ব্র্যান্ডের নতুন এসির দাম ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। আমরা ৩৫ হাজার টাকা দামে বিক্রি করছি। এর কন্ডিশন ভালো হলে ৫০ হাজার টাকাও বিক্রি করি। গরমের সময়ে দিনে গড়ে চার থেকে পাঁচটা এসি বিক্রি হয়। এ বাজারের বেশির ভাগ দোকানে বিক্রি হওয়া এসির কম্প্রেসরে এক মাসের জন্য ওয়ারেন্টি দেওয়া হয়।’
কুমিল্লা শহরের রাজগঞ্জ এলাকায় থাকেন শাহরিয়ার হাসান। পেশায় তিনি একজন ব্যবসায়ী। বাড্ডা এলাকায় বেড়াতে এসেছিলেন এক আত্মীয়ের বাসায়। সেখানে এসে জানতে পারেন, পাশের বারিধারার জে–ব্লকে পুরোনো এসির বাজার রয়েছে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সিঙ্গার ব্র্যান্ডের দুটি ইনভার্টার এসি পছন্দ হয়েছে। দাম চেয়েছিল ৩৫ হাজার টাকা। পরে দুটি একই ব্র্যান্ডের এসি কিনেছি ৩০ হাজার টাকা করে ৬০ হাজার টাকায়।’
রাজধানীর বারিধারা এলাকার জে ব্লকের ২০ নম্বর রোডের পুরাতন এসির দোকানে ১৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে ১ থেকে ২ টনের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এসি। পুরোনো এসির দোকানে বিক্রেতারা বসে আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৫০ হ জ র ট ক এস র দ ক ন প রথম আল এস র দ ম ব যবস য় ন র এস র জন য এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২৯
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কয়েকটি অপরাধপ্রবণ এলাকায় বুধবার দিনভর বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছুরি, দুটি ধারালো চাকু, দুটি লোহার রড, একটি সাইকেল ও ৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে নিয়মিত মামলা, মাদক মামলা, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী রয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন হীরা (১৯), রফিক (২১), আবদুর রহমান (৩৯), নাবিদ হাসান ওরফে চয়ন (২৬), খোকন (৩১), মনসুর (৩৫), জুয়েল (৩২), সানজু (২২), মিলন (৪২), শাওন (৩৬), নোয়াজ শরীফ (২৮), সেলিম (৩৪), আসাদুজ্জামান ওরফে ইমন (২৩), আনোয়ার হোসেন (৩৬), সজল (৩০), বরকত গাজী (২৮), জুয়েল (৩৮), আরমান (৩০), বাদল (৩৮), কোরবান (২৮), নয়ন (২৭), মাসরুফ (২৩), আল আমিন (২৭), রাকিব (১৮), মিলন (২৫), ওয়াজিদ (৩৬), এরশাদ (২৫), ছালাম ওরফে সামাদ (৩৭) ও দিলসার (৩০)।