আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
Published: 30th, June 2025 GMT
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মচারীরা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে সীমান্ত বন্দর দিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল শুরু হয়।
গত শুক্রবার ও শনিবার (২৯ জুন) এনবিআরের আওতাধীন কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একদফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। যার ফলে আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন:
‘কমপ্লিট শাটডাউনে’ বন্ধ আখাউড়া স্থলবন্দরের কার্যক্রম
হিলি স্থলবন্দরে সব কার্যক্রম বন্ধ
বন্দরে কোনো ব্যবসায়িক কাগজপত্রে স্বাক্ষর না হওয়ায় কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। তবে পূর্বনির্ধারিত ও আগাম স্বাক্ষরকৃত কাগজপত্রের ভিত্তিতে গত শুক্রবার কিছু পণ্য সীমিত পরিসরে রপ্তানি করা হয়েছিল।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী নেসার আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, “শাট ডাউনের কারণে রবিবার বন্দরে কোনো মালামাল আসেনি। আজ থেকে কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে শুরু হয়েছে।”
বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “শাট ডাউন প্রত্যাহার হওয়ায় আমরা আজ সকাল থেকে যথারীতি কাজ শুরু করেছি। আশা করছি, স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে।”
এদিকে, কর্মবিরতি চলাকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচলে কোনো প্রভাব পড়েনি বলে জানিয়েছেন আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মো.
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংক গ্যারান্টি জমার সময় বাড়ল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্রাঞ্চাইজিদের পেশাদারিত্ব নিয়ে বারবারই প্রশ্ন তোলা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। নতুন করে পাঁচ বছরের জন্য দল নেওয়া পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে নিয়েও বিপাকে আয়োজকরা।
নতুন করে দল পেতে ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দেওয়ার কথা ছিল। গতকাল ছিল জমা দেওয়ার শেষ দিন। অথচ পাঁচ দলের তিনটিই জমা দেয়নি ব্যাংক গ্যারান্টি। যে দুইটি দল জমা দিয়েছে তাদের সব কাগজপত্রও এখন পর্যন্ত সব ঠিকঠাক পেয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে পারেননি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল।
ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার সময়ও বাড়ানো হয়েছে। এ খবর নিশ্চিত করেছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ও বিসিবির সহসভাপতি শাখাওয়াত হোসেন। রাইজিংবিডিকে তিনি নিশ্চিত করেছেন, “মাত্র দুইটি প্রতিষ্ঠান ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে। এজন্য সময় বাড়ানো হয়েছে। যেহেতু নিলাম ২৩ তারিখ। হাতে কিছুটা সময় আছে। আমরা সেই সুযোগটি দলগুলোকে দিচ্ছি।”
দ্রুত বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে দলগুলোকে কিছু ছাড়ও দিচ্ছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল, ‘আমরা অতি দ্রুত সব আয়োজন করছি। ফ্রাঞ্চাইজি বাছাই, দল গোছানো, ভেন্যু নির্বাচন, ফিক্সচার, বিদেশি খেলোয়াড় সংগ্রহ…সব কিছু তড়িৎ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এবারের আয়োজন সফল করার চ্যালেঞ্জ আমাদের। আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এগুলো আগামী আসর থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে।”
জানা গেছে, ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করেছে বিপিএল কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে বাকিদের কাগজ পর্যালোচনা করবেন তারা, ‘যারা ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে তাদের কাগজপত্রও পর্যালোচনা করতে হবে। ব্যাংক গ্যারান্টি দিলেই হলো না। ভুয়া ব্যাংক গ্যারান্টিও আসে। তাই আমরা সতর্ক আছি। যাচাই-বাছাই করে আমরা দেখব, তারপর সব চূড়ান্ত হবে।”
যদি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি নিলামের আগে ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে না পারে তাহলে কী হবে? সেই প্রশ্নও করা হয়। অনুমিত উত্তরটাই আসলো, “নিলামে বসতে দেওয়া হবে না। তাদের যে ফ্রাঞ্চাইজি ফি ২ কোটি টাকা আছে সেটা ফেরত দেওয়া হবে না। স্বচ্ছতা না থাকলে বিপিএলে অংশগ্রহণ করার সুযোগ নেই।”
ঢাকা/ইয়াসিন