যমুনার সামনে ‘অবৈধ জমায়েত’ ছত্রভঙ্গ প্রসঙ্গে পুলিশের বিবৃতি
Published: 30th, June 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সন্নিকটে কতিপয় ব্যক্তি বেআইনি সমাবেশের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করে। পরবর্তীতে পুলিশ সদস্যরা বেআইনি সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে ছত্রভঙ্গ করে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার (৩০ জুন) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে, দুপুর দেড়টার দিকে ৪৪তম বিসিএসে পদসংখ্যা বৃদ্ধির দাবিতে রমনা পার্কের ‘অরুণ্যদয়’ গেট দিয়ে বের হয়ে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা করে একদল আন্দোলনকারী।
বিবৃতিতে পুলিশ বলেছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি জারির মাধ্যমে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, গণজমায়েত ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যা এখনো বলবৎ রয়েছে। তা সত্ত্বেও, উল্লিখিত এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক বেআইনি সমাবেশের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির প্রচেষ্টা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কর্তৃক জারিকৃত গণবিজ্ঞপ্তি মেনে চলার জন্য এবং বর্ণিত বিষয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে পুনরায় অনুরোধ করেছে পুলিশ।
ঢাকা/এমআর/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের নারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে: মহিলা পরিষদের বিবৃতি
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বলেছে, নারী ও কন্যাশিশুরা চরম নিরপত্তাহীনতায় ভুগছে। ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ ঘটেই চলেছে। এর মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও বিচারব্যবস্থা ক্রমাগত প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
কুমিল্লার মুরাদনগরে দরজা ভেঙে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। পরিষদের সভাপতি ড. ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু যৌথভাবে এ বিবৃতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বিশ্বাস করে, নারীর নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক ও নৈতিক দায়িত্ব। এ দেশের প্রত্যেক নারী যেন নিরাপদে নিজের ঘরে, রাস্তায় ও কর্মক্ষেত্রে—সর্বত্র মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করতে পারেন, সে বিষয়টি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকারের ওপর আঘাত উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ঘটনা শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নয়, সামগ্রিকভাবে নারীর জীবনের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও মানবাধিকারের ওপর চরম আঘাত। ঘরে অবস্থান করেও নারীরা যদি সুরক্ষিত না থাকেন, তবে তা রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নাগরিক নিরাপত্তার গুরুতর সংকটের ইঙ্গিত বহন করে। এ ছাড়া একে অপরের প্রতি দোষারোপ করে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার মাধ্যমে বিষয়টিকে হালকা করে দেখার মানসিকতা লক্ষ করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দ্রুত এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত এবং ভুক্তভোগী নারী ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসা, আইনি সহায়তা ও মানসিক সেবার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানায়। একই সঙ্গে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলারও আহ্বান জানায়।