স্মার্টফোন এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, ছবি তোলার ক্ষেত্রেও হয়ে উঠেছে অন্যতম প্রধান যন্ত্র। আধুনিক স্মার্টফোনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তিসহ উন্নত সেন্সর ও ম্যানুয়াল নিয়ন্ত্রণ সুবিধা যুক্ত থাকায় সহজেই ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো ভালো মানের ছবি তোলা যায়। স্মার্টফোনে ভালো ছবি তুলতে এআই প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের পাশাপাশি ক্যামেরার সক্ষমতা বাড়ানোর কৌশলগুলো দেখে নেওয়া যাক।

প্রো মোড ব্যবহার  

স্মার্টফোনে থাকা ‘প্রো’ বা ‘ম্যানুয়াল’ মোড ব্যবহার করে আলোর পরিমাণ, গতি ও রঙের ভারসাম্য সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আর তাই ছবি তোলার আগে আইএসও, শাটার স্পিড, হোয়াইট ব্যালান্স ও ম্যানুয়াল ফোকাস ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত আবহ তৈরি করতে হবে।

পোর্ট্রেট মোড ব্যবহার

ডিএসএলআর ক্যামেরার বোকেহ ইফেক্টের কথা অনেকেই জানেন। বোকেহ ইফেক্টে বিষয়বস্তু স্পষ্ট থাকলেও পটভূমি ঝাপসা হয়ে যায়। স্মার্টফোনের পোর্ট্রেট মোড ব্যবহার করেও এই অভিজ্ঞতা পাওয়া সম্ভব। এআই প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিষয় ও পটভূমি শনাক্ত করে এবং প্রয়োজনীয় গভীরতা তৈরি করে, ফলে ছবির বিষয়বস্তু আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুনস্মার্টফোনের তথ্য নিরাপদ রাখতে এই পাঁচ পদ্ধতি ব্যবহার করছেন তো১০ মে ২০২৫সিন ডিটেকশন সুবিধা ব্যবহার

স্মার্টফোনের ক্যামেরায় যুক্ত ‘সিন ডিটেকশন’ বা দৃশ্য শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ছবির ধরন নিজে থেকেই বুঝে নেয়। খাবার, প্রকৃতি, প্রাণী, সূর্যাস্ত কিংবা রাতের দৃশ্য যেটাই হোক না কেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছবির রং, উজ্জ্বলতা ও কনট্রাস্ট অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে সামঞ্জস্য আনে। এতে আলাদাভাবে ক্যামেরা সেটিংস নিয়ে ভাবতে হয় না। আর তাই ছবি তোলার সময় অবশ্যই সিন ডিটেকশন সুবিধা ব্যবহার করতে হবে।

সঠিক আলোর ব্যবহার

ছবি তোলার ক্ষেত্রে আলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। দিনের শুরুতে বা সূর্যাস্তের ঠিক আগে যখন আলো থাকে নরম ও উষ্ণ, তখন ভালো ছবি তোলা যায়। আর তাই যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক আলোতে ছবি তোলার চেষ্টা করতে হবে। কারণ, বেশি ফ্ল্যাশ ব্যবহার করলে ছবির স্বাভাবিক রং বিকৃত হতে পারে এবং ত্বকের টোন কৃত্রিম লাগতে পারে।

আরও পড়ুনস্মার্টফোনের জায়গা খালি করার ৪ কৌশল২০ এপ্রিল ২০২৫ফোকাস ও পরিষ্কার লেন্স

ছবির গুণগত মান নির্ভর করে ফোকাসের ওপর। স্মার্টফোনে স্ক্রিনে যেখানে ট্যাপ করা হয়, ক্যামেরা সেখানেই ফোকাস করে। তাই সঠিক জায়গায় ট্যাপ করে ফোকাস ঠিক করা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি অনেক সময় লেন্সে আঙুলের ছাপ, ধুলা কিংবা তেলতেলে আবরণ পড়ে থাকে, যার ফলে ছবি ঝাপসা হয়। এ জন্য ছবি তোলার আগে ক্যামেরার লেন্স একটি মসৃণ কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে।

সূত্র: টেকলুসিভ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ড ব যবহ র ব যবহ র কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি

শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হন। 

গতকাল বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরিকেও। গতকাল সিঁদুর খেলায় অংশ নেন তিনি।  

আরো পড়ুন:

‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’

সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?

পূজামণ্ডপে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূজা চেরি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দুর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে, ‘মা তুমি কেমন আছো?”  

ব্যক্তিগত জীবনে পূজা চেরি এখনো একা। ফলে তার বিয়ে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখানে একজন সিঁদুর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তারা বলল, ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারো’।” এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, “দেখ যাক কী হয়! চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।” 

পূজা চেরি শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ