হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও কাঁঠাল বোঝাই পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেজুড়া নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে। 

নিহত ব্যক্তির নাম লিটন মিয়া। তিনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম জাহিদপুর গ্রামের দিলাওর মিয়ার ছেলে। লিটন মিয়া দুর্ঘটনা কবলিত পিকআপ ভ্যানের চালক ছিলেন।

আরো পড়ুন:

কালনা-বেনাপোল মহাসড়কে আড়াই বছরে দুর্ঘটনায় নিহত ৪১

রংপুরে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা জানান, হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। এতে সই করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন কর্মকর্তা জাকির হোসেন ২১ ও ২৮ জুন তারিখে কর্মস্থলে উপস্থিত হননি। অথচ এর আগে ১৮ জুন ২০২৫ তারিখে এনবিআরের এক আদেশে ২৮ জুনের সাপ্তাহিক ছুটি বাতিল করে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তিনি সে নির্দেশ অমান্য করায় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৮-এর ধারা ৩৯(১) অনুযায়ী তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

সরকার পরিবর্তন, আন্দোলন, বিক্ষোভ, গণঅভ্যুত্থান, দুর্ভিক্ষ, করোনা মহামারিসহ সব সংকটে দেশের ৯০ শতাংশ আমদানি-রপ্তানির প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কোনোদিন বন্ধ হয়নি। তবে শনিবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কমিশনার জাকির হোসেন কাস্টমস হাউসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ঢাকায় এনবিআরের চলমান আন্দোলনে পাঠিয়ে দেন। তিনি নিজেও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সব কার্যক্রম বন্ধ করে ঢাকায় আন্দোলনে অংশ নেন বলে এনবিআর সূত্রে জানা যায়। 

এনবিআরের সংস্কারের অংশ হিসেবে সংস্থাটিকে দুই ভাগ করার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ গত দুই মাসব্যাপী আন্দোলন অব্যাহত রাখে। এই সময়ে তারা কলমবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি এমনকি শাটডাউনের মতো কর্মসূচিতে চলে যান। সর্বশেষ সরকার হার্ডলাইনে গেলে রোববার রাতে তারা সব কর্মসূচি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ