‘যারা জুলাই বিপ্লবকে ভুল বলে, আমি সত্যি তাদের জন্য দুঃখিত’
Published: 2nd, July 2025 GMT
লাক্স তারকা থেকে রুপালি পর্দা, তারপর বিশ্ব মঞ্চ ও বলিউডে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। গত বছরের গণঅভ্যত্থানে সক্রিয়া ভূমিকা পালন করেন ‘রেহানা মরিয়ম নূর’খ্যাত এই তারকা।
বছর ঘুরে আবার জুলাই এসেছে। নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। কেউ কেউ বলে থাকেন ‘জুলাই বিপ্লব ভুল ছিল’। এ কথা যারা বলে থাকেন, তাদের উদ্দেশ্যে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
বুধবার (২ জুলাই) বাঁধন লেখেন, “যারা জুলাই বিপ্লবকে ভুল বলে, আমি সত্যিই তাদের জন্য দুঃখিত। সেই মুহূর্তে জেগে ওঠার প্রয়োজন ছিল। অসংখ্য মানুষ বিচারহীনতার মুখোমুখি হচ্ছিল, তা মানবিকভাবে ভেঙে পড়ার পর্যায়ে পৌঁছেছিল।”
আরো পড়ুন:
‘অবুঝ মন’ থেকে ‘উৎসব’
অভিনয়ে মোহনলালের কন্যা
একটি সরকার রাতারাতি ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠে না। এ তথ্য উল্লেখ করে বাঁধন লেখেন, “সরকার রাতারাতি ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠে ছিল না, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা ফ্যাসিবাদী হয়। ধীরে ধীরে মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়। সেই সময়ে আর কোনো উপায় ছিল না।”
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যায়। সেদিন অসংখ্য মানুষের সঙ্গে রাস্তায় ছিলেন বাঁধন। সেই অভিজ্ঞতা স্মরণ করে বাঁধন লেখেন, “৫ আগস্ট যারা রাস্তায় ছিলেন না, তারা সাধারণ মানুষের অকৃত্রিম আনন্দ অনুভব করতে পারবেন না। আর সেই মুহূর্তে কাপুরুষের মতো সে পালিয়ে যায়। সেই আনন্দ ছিল আসল, তা আমি প্রতিটি হৃৎস্পন্দনে অনুভব করেছি। রাস্তায় এই ধরনের স্বাধীনতা এবং শক্তি অনুভবের অভিজ্ঞতা জীবনে একবারই হয়েছিল।”
জুলাই বিপ্লবের পরের ঘটনা মনে করে বাঁধন লেখেন, “হ্যাঁ, বিপ্লবের পরে অনেক কিছু ঘটেছিল এবং সেগুলো সবই সুখকর ছিল না। তবে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, সেই সময়ে জুলাই বিপ্লব সঠিক ছিল।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
বিভিন্ন অপরাধে যবিপ্রবিতে শিক্ষকসহ ৪ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) পৃথক অপরাধে একজন শিক্ষককে বরখাস্ত ও চারজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের সব সদস্যের ভিত্তিতে রিজেন্ট বোর্ডের ১০৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, লিফট অপারেটর পদে চাকরিপ্রার্থী এক অপহরণ মামলার আসামি ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীকে হল থেকে বের করে দিতে গেলে তাকে রক্ষায় বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বাধা প্রদান ও নানা ধরনের হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় আরো তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচন: পঞ্চম দিনে মনোনয়ন ফরম নিলেন ১৮ জন
জবিতে জন্মাষ্টমী উদযাপিত
একইসঙ্গে সব স্বৈরাচারের দোসর ও তাদের অপরাধ অনুসারে ধারাবাহিকভাবে বিচারের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে বিচারে বাধা বা কেউ পুনর্বাসনমূলক আচরণ করলে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বহিষ্কৃতরা হলেন— শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান (পিইএসএস) বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মদ রাফি (অপহরণ মামলার আসামি), আল মামুন ফরহাদ, তুষার ইমরান এবং একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের কাবিরুল।
অন্যদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শিক্ষার্থীদের জুমার নামাজে বাধা প্রদান, স্বৈরাচারী আচরণের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও শিক্ষকসুলভ বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় সহকারী অধ্যাপক ড. ফিরোজ কবিরকে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজেন্ট বোর্ড। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীল দলের তৎকালীন সদস্য সচিব এবং ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন (পিটিআর) বিভাগের শিক্ষক।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় শুক্রবার জুমার নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় যবিপ্রবির প্রধান ফটকে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বাধা দেন ড. ফিরোজ কবির। শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানালে তিনি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন। পরে মসজিদে প্রবেশে বাধা পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে উত্তপ্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী