ফের উত্তেজিত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্ত। বিতর্কিত তাও মোয়ান থম মন্দির সংলগ্ন সীমান্ত নতুন করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই দেশের সেনারা। এ ঘটনায় থাইল্যান্ডের দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। দুই থাই সেনাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল থেকেই উভয় পক্ষ একে অপরের দিকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এ ঘটনার জেরে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ব্যাপক অবনতি হয়েছে।

উভয় দেশই দাবি করেছে, প্রতিপক্ষই প্রথম গুলি চালিয়েছে। থাই সেনাবাহিনী জানায়, কম্বোডিয়া প্রথমে একটি ড্রোন প্রেরণ করে এবং পরে ভারী অস্ত্র (আর্টিলারি ও বিএম-২১ রকেট) দিয়ে গোলাবর্ষণ শুরু করে।

আরো পড়ুন:

ফোনালাপ ফাঁস: থাই প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করল সাংবিধানিক আদালত

কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের একটি জেলার প্রধান সুত্থিরট চারোয়েনথানাসাক জানান, কম্বোডিয়ার গোলাবর্ষণে দুই নাগরিক নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন।

এই ঘটনার জেরে সীমান্তসংলগ্ন ৮৬টি গ্রামের প্রায় ৪০,০০০ থাই নাগরিককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। থাই সেনাবাহিনীর মুখপাত্র রিচা সুকসুওয়ানন নিশ্চিত করেছেন যে দুই সেনাসদস্য আহত হয়েছেন।

তবে, কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থাইল্যান্ডের ওপর প্রথম আক্রমণের অভিযোগ এনে বলেছে, তাদের সেনারা আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।

কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন ফেসবুকে পোস্টে দাবি করেন, থাই সেনাবাহিনী ওডার মিনচে ও প্রিয়াহ ভিহার প্রদেশে গোলাবর্ষণ করায় কম্বোডিয়া জবাবি আক্রমণ করতে বাধ্য হয়েছে। তিনি জনগণকে শান্ত থাকার ও আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান।

ঘটনার পরপরই থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে এবং নিজেদের রাষ্ট্রদূত ফিরিয়ে নিয়েছে। কম্বোডিয়াও থাইল্যান্ডের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ‘সর্বনিম্ন স্তরে’ নামিয়ে এনেছে এবং সকল কূটনীতিককে প্রত্যাহার করেছে। এছাড়াও থাই দূতাবাস কম্বোডিয়ায় অবস্থানরত নিজেদের নাগরিকদের অবিলম্বে দেশ ত্যাগের পরামর্শ দিয়েছে।

থাইল্যান্ড কম্বোডিয়ার সঙ্গে তাদের সব স্থল সীমান্ত বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে। 

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ব ড য

এছাড়াও পড়ুন:

রাজকীয় ভোজে ট্রাম্প–মেলানিয়াকে কী কী খাওয়ালেন রাজা চার্লস

জমকালো সাজে সেজেছে যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হল। উপলক্ষটাও অনন্য, রাজকীয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সস্ত্রীক যুক্তরাজ্য সফর উপলক্ষে এখানে রাজকীয় নৈশ্যভোজ আয়োজন করেন রাজা তৃতীয় চার্লস ও রানি ক্যামিলা।

বুধবার রাতের রাজকীয় এ আয়োজনে কূটনীতি, খাবার, ঐতিহ্য, সংগীত আর আভিজাত্য একসুতোয় বাঁধা পড়েছিল। ট্রাম্প–মেলানিয়াসহ রাজার অতিথি হয়েছিলেন বিশ্বের ১৬০ জন গণমান্য ব্যক্তি।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্মানে রাজা তৃতীয় চার্লসের আয়োজন করা রাজকীয় ভোজের টেবিল। যুক্তরাজ্যের উইন্ডসর ক্যাসলের সেন্ট জর্জেস হল, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ