লর্ডসে ব্যতিক্রমী ধৈর্য, রুটের ৯৯ রানে ভর করে লড়াইয়ে ইংল্যান্ড
Published: 11th, July 2025 GMT
লর্ডস টেস্টের প্রথম দিন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং ছিল একেবারেই মন্থর গতির। যেখানে ‘বাজবল’ নীতির আগ্রাসন তো দূরের কথা, বরং ধৈর্য ও সংযমের প্রতিচ্ছবি ছিল প্রতিটি বলে। ৮৩ ওভার খেলে মাত্র ২৫১ রান তুলেছে ইংলিশরা, ওভারপ্রতি রান এসেছে ৩.০২ হারে।
কিন্তু এই শ্লথগতির ইনিংসেও জো রুট ছিলেন অনন্য। ১৯১ বল খেলে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় দিনের অপেক্ষায় আছেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল নিয়ন্ত্রণ, ধৈর্য ও পরিণত ম্যাচবোধের নিখুঁত প্রদর্শনী।
শুরুতেই ভারত আঘাত হানে নিতিশ কুমার রেড্ডির হাত ধরে। যিনি নিজের প্রথম টেস্ট ওভারের মধ্যেই ফিরিয়ে দেন দুই ওপেনার বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রাউলিকে। ২০০৬ সালের পর কোনও ভারতীয় পেসারের প্রথম টেস্ট ওভারে এমন কীর্তি এই প্রথম। এরপর রুট ও অলিভার পোপ মিলে ইনিংসটি গুছিয়ে নেন। গড়েন ১০৯ রানের জুটি।
আরো পড়ুন:
লর্ডস টেস্টে টস জিতে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড
বৃষ্টি ভাঙবে নাকি ভারতের জয়ের স্বপ্ন?
এর মাঝেই ইনজুরিতে মাঠ ছাড়েন উইকেটরক্ষক ঋষভ পান্ত, কিপিংয়ের দায়িত্ব নেন ধ্রুব জুরেল। ইংল্যান্ডের শত রান আসে ৩৫.
এই দিনটিতে রুট টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ৩ হাজার রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন। যা ইতিহাসে প্রথমবার। মন্থর শুরু হলেও ইংল্যান্ডের ভিত্তি যথেষ্ট শক্ত। এখন অপেক্ষা আজ রুটের ইনিংসটি কতোদূর যায় এবং তারা দুজন কোথায় নিয়ে যান ইংলিশদের।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাহাথিরের দীর্ঘ ও সফল জীবনের রহস্য
মানবজীবন দীর্ঘ হতেই পারে। কিন্তু সব দীর্ঘজীবনই মহিমান্বিত হয় না। দীর্ঘ সে জীবন যদি ত্যাগ স্বীকারের হয়, অপরের কল্যাণে হয়, তবে সে জীবন একই সঙ্গে হয় সফল।
দীর্ঘ ও সফল জীবনের এক উদাহরণ ড. মাহাথির মোহাম্মদ। তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। আধুনিক মালয়েশিয়ার স্থপতি, যিনি প্রথম দফায় (১৯৮১-২০০৩) দীর্ঘ ২২ বছর সফলভাবে দেশটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। মালয়েশিয়াকে করেছেন একটি আধুনিক ও সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্র।
ড. মাহাথির চল্লিশের দশকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় সিতি হাসমাহর। পরিচয় থেকে অন্তরঙ্গতা, এরপর বিয়ে। সিতি হাসমাহও ওই মেডিকেলেরই শিক্ষার্থী ছিলেন।
দ্বিতীয় দফায় (২০১৮-২০২০) রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসেন ৯৪ বছর বয়সে। তাঁর কর্মস্পৃহা, উদ্যম রীতিমতো তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। এখন ১০০ বছর বয়সেও প্রায় সুস্থ জীবন যাপন করছেন মাহাথির।
২০২৩ সালে ঢাকার বাংলা একাডেমির সবুজ চত্বরে হয়ে যাওয়া লিট ফেস্টে একটি সেশনে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন মাহাথিরকন্যা মেরিনা মাহাথির। তিনি একজন সুপরিচিত মানবাধিকারকর্মী ও লেখক। মাহাথিরকে নিয়ে তাঁর লেখা বই ‘দ্য অ্যাপল অ্যান্ড দ্য ট্রি’ নিয়েই মূলত আলোচনা হচ্ছিল। সেখানে মানবাধিকারসহ অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি ছোট্ট করে উঠে এল মাহাথিরের দীর্ঘ জীবনের প্রসঙ্গও।
সেই জায়গা থেকেই এ লেখার অনুপ্রেরণা। আসলেই তো! মাহাথিরের দীর্ঘ ও সফল জীবনের প্রকৃত রহস্যটা কী?
মাহাথিরের রাজনৈতিক জীবন, বিরোধী মত দমন, মানবাধিকার রক্ষা নিয়ে তাঁর সীমিত অঙ্গীকার—এসব নিয়ে কম আলোচনা, তর্কবিতর্ক হয়নি। এখনো হচ্ছে। পাশাপাশি তাঁর জীবনবোধ, একনিষ্ঠতা, নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলাও আলোচনায় এসেছে।
কিন্তু যে মানুষ শত বছর বয়সেও কর্মক্ষম থাকেন, সেই মানুষটি ভিন্ন।
মাহাথিরের জীবনের পাণ্ডুলিপি
মাহাথিরের জীবনের পাণ্ডুলিপিতে চোখ বুলিয়ে আসা যাক। জন্ম মালয়েশিয়ার কেদাহ রাজ্যের প্রধান শহর আলোর সেতারে। তাঁর দাদা ভারতের কেরালা থেকে সেখানে অভিবাসী হন। বিয়ে করেন এক মালয় নারীকে।
ছোটবেলা থেকেই তুখোড় মেধাবী ছিলেন মাহাথির। বাবা মোহাম্মদ ইস্কান্দার, যিনি ছিলেন একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শৈশবেই ছেলের মধ্যে শৃঙ্খলা ও একাগ্রতার বীজ বপন করে দিয়েছিলেন। পড়াশোনা করতে গিয়ে তাই খেলাধুলায় মনোযোগ দিতে পারেননি মাহাথির।
ড. মাহাথির চল্লিশের দশকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনা করেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় সিতি হাসমাহর। পরিচয় থেকে অন্তরঙ্গতা, এরপর বিয়ে। সিতি হাসমাহও ওই মেডিকেলেরই শিক্ষার্থী ছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে মেডিকেল কলেজ বন্ধ থাকে। এ সময় মাহাথির কফি, চকলেট বিক্রি করে কিছু উপার্জন করেন।
১০০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কেক কাটছেন মাহাথির মোহাম্মদ