নাটোরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) কর্মকর্তা পরিচয়ে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন নাজমুল হোসেন (৩২) নামের এক যুবক।

গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে গুরুদাসপুর পৌরসভার মডেল মসজিদের সামনে থেকে তাঁকে আটক করেন এনএসআইয়ের কর্মকর্তারা। পরে তাঁকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

নাজমুল হোসেন গুরুদাসপুর উপজেলার খামার নাচকৈড় গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। গুরুদাসপুর থানা-পুলিশ জানায়, নাজমুল হোসেন নিজেকে এনএসআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সম্প্রতি গুরুদাসপুর উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফোন দেন। তিনি দাবি করেন, কার্যালয়টি খাওয়ার অনুপযোগী চাল কিনেছে এবং দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি দুদকের একটি ভুয়া চিঠিও কার্যালয়ে পাঠান। তিনি ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। নাজমুলের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা বিষয়টি জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে জানান। জেলা খাদ্য কর্মকর্তা নাটোরের এনএসআই কার্যালয়ে জানালে তাঁরা নিশ্চিত হন নাজমুল এনএসআই কর্মকর্তা নন। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাঁকে ধরার পরিকল্পনা করা হয়।

গতকাল রাতে উপজেলা খাদ্যগুদামের প্রধান সহকারী জুলহাস উদ্দীন পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে নাজমুলের সঙ্গে দেখা করতে যান। মডেল মসজিদের সামনে ঘুষের টাকা নিতে এলে এনএসআইয়ের কর্মকর্তারা সেনাসদস্যদের সহায়তায় নাজমুলকে হাতেনাতে আটক করেন।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক বলেন, এ ঘটনায় জুলহাস উদ্দীন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। নাজমুল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে ভুয়া এনএসআই কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

নাটোরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) কর্মকর্তা পরিচয়ে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন নাজমুল হোসেন (৩২) নামের এক যুবক।

গতকাল রোববার রাত ১০টার দিকে গুরুদাসপুর পৌরসভার মডেল মসজিদের সামনে থেকে তাঁকে আটক করেন এনএসআইয়ের কর্মকর্তারা। পরে তাঁকে থানায় হস্তান্তর করা হয়।

নাজমুল হোসেন গুরুদাসপুর উপজেলার খামার নাচকৈড় গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। গুরুদাসপুর থানা-পুলিশ জানায়, নাজমুল হোসেন নিজেকে এনএসআইয়ের মাঠ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সম্প্রতি গুরুদাসপুর উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফোন দেন। তিনি দাবি করেন, কার্যালয়টি খাওয়ার অনুপযোগী চাল কিনেছে এবং দুদকের তদন্তে তা প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি দুদকের একটি ভুয়া চিঠিও কার্যালয়ে পাঠান। তিনি ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। নাজমুলের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা বিষয়টি জেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে জানান। জেলা খাদ্য কর্মকর্তা নাটোরের এনএসআই কার্যালয়ে জানালে তাঁরা নিশ্চিত হন নাজমুল এনএসআই কর্মকর্তা নন। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাঁকে ধরার পরিকল্পনা করা হয়।

গতকাল রাতে উপজেলা খাদ্যগুদামের প্রধান সহকারী জুলহাস উদ্দীন পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে নাজমুলের সঙ্গে দেখা করতে যান। মডেল মসজিদের সামনে ঘুষের টাকা নিতে এলে এনএসআইয়ের কর্মকর্তারা সেনাসদস্যদের সহায়তায় নাজমুলকে হাতেনাতে আটক করেন।

গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক বলেন, এ ঘটনায় জুলহাস উদ্দীন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। নাজমুল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ