বিশেষজ্ঞরা বলেন, ঘাড়, পিঠ ও মেরুদণ্ডের যত্নে যতটা সম্ভব ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। আমরা হয়তো সে চেষ্টা করিও। কিন্তু পেছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখলে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে যায়। জেনে নিন কীভাবে এই ছোট অভ্যাস আপনার শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করছে এবং কীভাবে সহজেই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

হতে পারে সায়াটিকা

আগেই বলা হয়েছে, পেছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখার অভ্যাস ধীরে ধীরে আপনার স্বাভাবিক বসার ভঙ্গি বদলে দিতে পারে। এর ফলে আপনার নিতম্বে ব্যথা হতে পারে, যা ছড়িয়ে পড়তে পারে সায়াটিক স্নায়ু ধরে পায়ের দিকে কিংবা পুরো পিঠে।

সায়াটিক মানবদেহের এক দীর্ঘ স্নায়ু। এটি মেরুদণ্ডের কোমরের অংশ থেকে উৎপন্ন হয়ে ঊরুর পেছন দিক দিয়ে হাঁটুর নিচের মাংসপেশির মধ্য দিয়ে পায়ের আঙুল পর্যন্ত বিস্তৃত। কোনো কারণে এই স্নায়ুর ওপর চাপ পড়লে কোমর থেকে পায়ের নিচ পর্যন্ত তীব্র ব্যথা ছড়িয়ে যায়। একেই বলে সায়াটিকা।

পিঠে অস্বস্তি দিয়ে শুরু

আমাদের নিচের পিঠ, মেরুদণ্ড ও ঘাড় সবই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য যখন কোনো কারণে বিঘ্নিত হয়, তখনই দেখা দেয় সমস্যা।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডেস্কে বসে কাজ করার সময় পেছনের পকেটে মানিব্যাগ থাকলে এই সমস্যা থেকে নিস্তার পাওয়া সত্যিই কঠিন। এসব ক্ষেত্রে শুরুটা হয় পিঠে অস্বস্তি বা শক্ত হয়ে যাওয়ার অনুভব দিয়ে।

এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে সাবধানতা জরুরি। সহজে সমাধানযোগ্য সমস্যাটিকে অবহেলা করলে তৈরি হতে পারে বড় ধরনের শারীরিক সমস্যা।

আরও পড়ুনযে ব্যায়াম কমাবে কোমর ও পিঠের ব্যথা১৫ জুলাই ২০২০মেরুদণ্ড, ঘাড় ও পিঠে সমস্যা

সুস্থ থাকতে চাইলে মেরুদণ্ড, ঘাড় আর পিঠের যত্ন নেওয়া অতি জরুরি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সংবেদনশীল জায়গাগুলোতে ব্যথা বা ইনজুরির ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়।

আপনি যদি তরুণ বা সুস্থ–সবল কেউ হয়ে থাকেন, তবু পেছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখার অভ্যাস আজই বাদ দিন। এটাকে ঠিক ‘অভ্যাস’ নয় ‘বদভ্যাস’ বলাই যুক্তিসংগত। এই একটা বদভ্যাস ধীরে ধীরে আপনার নিচের পিঠ, মেরুদণ্ড ও আশপাশের অঞ্চলের স্বাস্থ্যে ফেলতে পারে ভীষণ নেতিবাচক প্রভাব।

পেছনের পকেটে মানিব্যাগ থাকলে বদলে যায় আপনার বসার ভঙ্গি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপন র সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ