প্রত্যাহার করা সেই এসপিকে আবার কিশোরগঞ্জে যোগ দেওয়ার নির্দেশ
Published: 4th, August 2025 GMT
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় চার মাস আগে প্রত্যাহার করা কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে আবার আগের কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার পুলিশ সদর দপ্তরের পার্সোনাল ম্যানেজমেন্ট-১ শাখার অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক খন্দকার শামীমা ইয়াছমিনের সই করা চিঠিতে এ কথা জানানো হয়।
গত ৭ মে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চিকিৎসার জন্য দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় তাঁর নিজের জেলা কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এ ছাড়া ঢাকা বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার এবং উপপরিদর্শক ও সহকারী উপপরিদর্শক পদমর্যাদার দুজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা থাকায় আসামি হিসেবে তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। ঘটনার তদন্তে পুলিশ সদর দপ্তর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আরেকটি তদন্ত কমিটি হয়। দুটি কমিটি তদন্ত শেষে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া অন্যদের নির্দোষ বলে অব্যাহতি দিতে সুপারিশ করে। তদন্ত চলাকালে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের পদটি শূন্য ছিল।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ৯ মাস পর গত ৭ মে দিবাগত রাত ৩টা ৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশ ছাড়েন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এক মাস পর ৮ জুন চিকিৎসা শেষে তিনি দেশে ফিরে আসেন।
গত ১৪ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের আরও অনেককে আসামি করা হয়।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এ বিষয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কিশোরগঞ্জ স্টেশনেই আছি। সবার সহযোগিতা ও দোয়া চাই, আমি যেন আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে যেতে পারি।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ র প ল শ স প র আবদ ল হ ম দ তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে হঠাৎ দুদকের অভিযান
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইপিবির আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে ডলারে ঘুষ নিয়েছেন সংস্থাটির এক উপপরিচালক, এমন অভিযোগে ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘ডলারে ঘুষ নেন ইপিবির এক কর্মকর্তা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ঘটনা তদন্ত করতে এরপর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ইপিবি। কমিটির প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা ওঠে আসে।
তবে এক বছরের বেশি সময় পার হলেও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি ইপিবি। দুদক সম্প্রতি এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার জন্য একটি দল গঠন করে এবং ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আমলে নিয়েই দুদক আজ অভিযান পরিচালনা করেছে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এক উপপরিচালকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ ছিল। এ অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদকের তিন সদস্যের একটি দল আমাদের কার্যালয়ে আসে। আমরা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহায়তা করেছি। বিষয়টি অনুসন্ধান পর্যায়ে আছে।’
ইপিবি গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ইপিবির অনুমোদন ছাড়া ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জামানত বাবদ ১৫০ ডলার করে নেওয়া ঠিক হয়নি।’ আরও বলা হয়, চীনের কুনমিংয়ে ২০২৩ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত একটি মেলায় অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে জামানত নেওয়া হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া।
দুদকের সূত্রগুলো বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পরিমাণের পে–অর্ডার দিয়েছেন মেলায় অংশগ্রহণকারীরা, ইপিবির এক উপপরিচালক আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এত দিন সেগুলো নিজের জিম্মায় রেখে দিয়েছিলেন। দুদক সরেজমিন ইপিবি কার্যালয়ে এসে পে-অর্ডারগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করেছে, তবে কিছু উদ্ধার হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।