ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে
Published: 4th, August 2025 GMT
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘‘একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল— দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, গুম, খুন, অপহরণ, ভোটাধিকার হরণসহ সব ধরনের অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও আপামর জনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণ। এই বৈষম্যমূলক ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত করাই ছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য।’’
সোমবার (৪ আগস্ট) জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। খবর ইউএনবির।
আরো পড়ুন:
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশে ফিরেছেন
আবদুল হামিদের বিদেশ যাওয়া তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘‘আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সকল শহীদকে, যারা দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। এই গণ–অভ্যুত্থানে আহত, পঙ্গুত্ব বরণ করা ও দৃষ্টিশক্তি হারানো সকল বীর জুলাই যোদ্ধার ত্যাগ ও অবদানকে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।’’
তিনি বলেন, ‘‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র একটি ব্যাপকভিত্তিক সংস্কারপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে গণ–অভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে, প্রকৃত গণতান্ত্রিক উত্তরণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ।’’
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও ফ্যাসিবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।’’
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে নেওয়া সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন তিনি।
ঢাকা/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ষ ট রপত র ষ ট রপত
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেল ৩৭টি প্রতিষ্ঠান
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের একেকটি ২০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে চলতি বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন করা হয়। সেই তুলনায় এবার অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি করা যাবে না। অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় এই রপ্তানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনার আরিফ সি ফুডস, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লোকজ ফ্যাশান ও মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, চট্টগ্রামের জেএস এন্টারপ্রাইস ও আনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস, যশোরের লাকী এন্টারপ্রাইজ, এমইউ সি ফুডস, লাকী ট্রেডিং, রহমান ইমপেক্স ফিস এক্সপোর্ট, মোহাতাব অ্যান্ড সন্স, জনতা ফিস, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও কেবি এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার ভিজিল্যান্ড এক্সপ্রেস, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, মাজেস্টিক এন্টারপ্রাইজ ও বিডিএস করপোরেশন, বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এ আর এন্টারপ্রাইজ ও তানিসা এন্টারপ্রাইজ, পাবনার নোমান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং কোং, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, আরফি ট্রেডিং করপোরেশন, জারিফ ট্রেডিং করপোরেশন, জারিন এন্টারপ্রাইজ, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল ও সততা ফিস, ভোলার রাফিদ এন্টারপ্রাইজ, সাতক্ষীরার মা এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ট্রেডার্স।