অত্যন্ত বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের এক নম্বর গুণ আইকিউ নয়, জানাচ্ছেন নিউরোসায়েন্টিস্ট
Published: 6th, August 2025 GMT
একটু বিশ্রাম আর মনকে একটু নিজের মতো চলতে দিলে জীবনটা হয়ে ওঠে আরও বেশি সুন্দর ও সফল।
ভেবে দেখেছেন, যেটা সৃজনশীল কাজ, মানে লেখালেখি, পিয়ানো বাজানো, ছবি আঁকা ইত্যাদি কাজ কিন্তু একাকী বসেই করা যায় ভালো। কাজটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে করতে চাইলে প্রয়োজন হয় একাগ্রতা আর একাকিত্ব।
এই যে একাকী মুহূর্তগুলো মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলোর সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে ব্যস্ত থাকে, এর ফলে নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্রে দক্ষতা বাড়ে, সৃজনশীলতার প্রতিফলন ঘটে। এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
এটা শুধু এক-দুজনের কথা নয়, বিশ্বের অনেক সফল ও বুদ্ধিমান ব্যক্তি নিজের সেরা আইডিয়াগুলো পেয়েছেন একাকী থেকে। মাইক্রোসফটের শুরুর দিকে বিল গেটস বছরে দুবার নির্জন কেবিনে চলে যেতেন সপ্তাহখানেকের জন্য।
সঙ্গী থাকত শুধু একগাদা বই। তিনি এর নাম দিয়েছিলেন ‘থিঙ্ক উইক’ বা ‘ভাবনার সপ্তাহ’। পুরো সপ্তাহ নির্জনে গিয়ে নিজের মতো করে ভাবতেন তিনি। একবার এই ‘থিঙ্ক উইক’ থেকে বিল গেটস খুঁজে পেয়েছিলেন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আইডিয়া।
শুধু নতুন আইডিয়া নয়, কাজে আটকে গেলে সেখান থেকে মুক্তি পেতেও একাকিত্ব দারুণ কাজের।
বিশ্বখ্যাত ইতালীয় চিত্রশিল্পী ও বহুবিদ্যাজ্ঞ লেওনার্দো দা ভিঞ্চির কথাই ধরা যাক। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তিনি তাকিয়ে থাকতেন তাঁর বিশ্বখ্যাত চিত্রকর্ম ‘দ্য লাস্ট সাপার’-এর দিকে। এরপর একটি তুলির আঁচড় দিতেন ছবিতে। এই বিরতি তাঁর কাজকে করেছে অনন্য।
আরও পড়ুনবার্লি দিয়ে তৈরি এই পানীয় খেলে পাবেন ৫টি বিশেষ উপকার২ ঘণ্টা আগেমস্তিষ্ককে একাকী রাখতে করণীয়মস্তিষ্ককে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য ঠিক কতটা একাকী থাকা দরকার, তার কোনো নির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই। সাধারণত যত সময় আপনি নিজেকে দেবেন, একা থাকলে ভালো লাগবে, সেটাই আপনার মস্তিষ্কের জন্য ভালো। তবে শুধু একাকী থাকলেই হবে না, সেটিকে কাজে লাগাতেও জানতে হবে। সময়টাকে কার্যকর করতে কিছু পরামর্শ কাজে লাগাতে পারেন।
নিরিবিলি জায়গায় চলে যানঅভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান যেমন একটা চরিত্র থেকে নতুন করে আরেকটা চরিত্রে ঢোকার আগে একটা ব্রেক নেন। কোথাও ঘুরতে যান.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দায়িত্ব পালনে অনীহা বা শৈথিল্য প্রদর্শনে বিভাগীয় ব্যবস্থা, এসিল্যান্ড পদের পদায়ন নীতিমালা জারি
সহকারী কমিশনার (ভূমি) বা এসিল্যান্ড পদের জন্য পদায়ন নীতিমালা জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়। ৪ আগস্ট ভূমি মন্ত্রণালয় ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) পদায়ন নীতিমালা, ২০২৫’ নামে এই পরিপত্র জারি করেছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কর্মকাল সাধারণত দুই বছর হবে। সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে প্রথম পদায়নে জেলা সদর ও রাজস্ব সার্কেলের বাইরে এই নীতিমালায় উল্লেখ করা ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির উপজেলায় পদায়ন করা যাবে।
*নিজ জেলা ও স্বামী বা স্ত্রীর জেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে পদায়ন করা যাবে না জানিয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, স্বামী বা স্ত্রী সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে ন্যস্ত হলে ওই কর্মকর্তার স্ত্রী বা স্বামী প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত থাকলে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে একই বিভাগে এবং সম্ভব হলে একই জেলায় পদায়ন করা যাবে।
আরও পড়ুনগণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে ৬ বছর পর পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, পদ ৩৩০৫ আগস্ট ২০২৫*জনসম্পৃক্ততা বিবেচনা করে সব মহানগরীর রাজস্ব সার্কেল বা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল বা অর্থনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, এমন অঞ্চল বা সব উপজেলা সদর বা পৌর এলাকাভুক্ত উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদায়নে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ ছাড়া উপজেলা বা সার্কেলের ভূমিসংক্রান্ত কাজের পরিমাণ, ব্যাপকতা, বহুমাত্রিকতা, জনসম্পৃক্ততা, ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি হুকুমদখল, সায়রাত মহালসহ রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কাজ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে পদায়ন/নিয়োগ/বদলির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে।
*ইউনিয়নের সংখ্যা, জনসংখ্যার অনুপাত, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার অবস্থান ইত্যাদির অনুপাতে উপজেলার পদ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পূরণ করা হবে। অপেক্ষাকৃত দুর্গম, প্রাকৃতিক বা ভৌগোলিক কারণে অন্য উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন, দূরবর্তী উপজেলার জনগণের সেবা পাওয়ার বিষয় বিবেচনা করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে একক দায়িত্ব দেওয়া অর্থাৎ নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা যাবে না বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনপল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে চাকরি, পদ ৫৩০২ আগস্ট ২০২৫*কর্মস্থলে বিভিন্ন রকম অনিয়ম বা অনৈতিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকা বা সরকারি দায়িত্ব পালনে অনীহা বা শৈথিল্য প্রদর্শন ইত্যাদি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক হিসেবে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
*সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদে এক বছর দায়িত্ব পালনের পর দক্ষতা, সততা, জনসেবার মানসিকতা ইত্যাদি যাচাই করে এই নীতিমালায় উল্লিখিত ‘ক’ শ্রেণির উপজেলা বা রাজস্ব সার্কেলে পদায়ন করা যাবে।
*নীতিমালায় বলা হয়েছে, কর্মস্থলে বিভিন্ন রকম অনিয়ম বা অনৈতিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকা বা সরকারি দায়িত্ব পালনে অনীহা বা শৈথিল্য প্রদর্শন ইত্যাদি ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক হিসেবে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
*সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে ন্যস্ত করা কর্মকর্তাদের সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হবে বলেও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
*নীতিমালায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে পদায়নের ক্ষেত্রে দেশের জেলা ও উপজেলাগুলোকে অবকাঠামোগত অবস্থা, চিকিৎসা ও শিক্ষাসংক্রান্ত সুবিধা, যোগাযোগব্যবস্থা, রাজধানী/বিভাগ/জেলা শহর থেকে দূরত্ব ইত্যাদি বিবেচনায় তিনটি শ্রেণিতে (ক, খ ও গ) বিন্যস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুনহার্ভার্ডসহ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সালমানের, বাবা–মা’র তিন সূত্রেই বাজিমাত৮ ঘণ্টা আগে*কোনো সহকারী কমিশনার (ভূমি) ‘গ’ শ্রেণির জেলা বা উপজেলায় কর্মরত থাকলে পরবর্তী সময়ে তিনি ‘ক’ ও ‘খ’ শ্রেণির জেলা বা উপজেলায় পদায়ন পাবেন। ‘খ’ শ্রেণির জেলা বা উপজেলায় কর্মরত থাকলে পরবর্তী সময়ে তিনি ‘ক’ ও ‘গ’ শ্রেণির জেলা বা উপজেলায় পদায়ন পাবেন। অন্যদিকে ‘ক’ শ্রেণির জেলা বা উপজেলায় কর্মরত থাকলে পরবর্তী সময়ে তিনি ‘খ’ ও ‘গ’ শ্রেণির জেলা বা উপজেলায় পদায়ন পাবেন বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
*এসিল্যান্ডদের পদায়ন নীতিমালা দেখুন এখানে