অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লাওসের সঙ্গে প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। ভিয়েনতিয়েনের নিউ লাওস ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আজ একমাত্র গোলটি করেছেন মোসাম্মত সাগরিকা।  

ম্যাচের ৩৬ মিনিটেই বাংলাদেশকে লিড এনে দেন সাগরিকা। শান্তি মার্ডির কর্নারে মাথা ঠুকেই উদ্‌যাপনে মাতেন তিনি।

গত মাসে ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে তিন ম্যাচে ৮ গোল করে টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। এরপর ৪১ মিনিটে সিনহা জাহান শিখার শট সরাসরি পোস্টে না লাগলে গোলের ব্যবধান বাড়তে পারত। এর আগে ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিটে দুই-দুইটি দারুণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা।

মাসখানেক আগে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। এবার ছোটদের পালা।

‘এইচ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকতে পারলেই রচিত হবে আরেক ইতিহাস। দ্বিতীয় হলেও বেঁচে থাকবে আশা। আট গ্রুপের সেরা আট দলের সঙ্গে সেরা তিন গ্রুপ রানার্স আপ দলও পাবে আগামী বছর থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলার সুযোগ।

লাওসের সঙ্গে আগে কখনো খেলেনি বাংলাদেশ। সিনিয়র এবং বয়সভিত্তিক মিলিয়ে এটাই প্রথম সাক্ষাৎ। র‍্যাঙ্কিংয়ে লাওস অবশ্য বাংলাদেশ (১২৮) থেকে ২১ ধাপ এগিয়ে ১০৭তম অবস্থানে।

অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান বাছাইয়ে আগে কখনোই পাস মার্কস তুলতে পারেনি মেয়েরা। মূল পর্বে ওঠা দূরে থাক, বাছাইয়ে এর আগে ১২ ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয় আছে বাংলাদেশের।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

আল্লাহর ৯৯ নাম ও তার ফজিলত

মানুষ তার রবকে যত বেশি চেনে, তার ইমান তত দৃঢ় হয়, ভালোবাসা তত গভীর হয়, আমল তত নিখুঁত হয়। আল্লাহর পরিচয় জানার সর্বোত্তম উপায় হলো তাঁর সুন্দর নাম ও গুণাবলি জানা। কোরআনে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করেছেন, “আল্লাহরই সবচেয়ে সুন্দর নামসমূহ রয়েছে। সুতরাং তোমরা তাঁকে সে নামগুলোর মাধ্যমে ডাকো।” (সুরা আ’আরাফ, আয়াত: ১৮০)

হাদিসে এসেছে, “আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম রয়েছে। যে এগুলো মুখস্থ করে, বুঝে ও আমল করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৭৩৬; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৭৭)

এ থেকে বোঝা যায়, আল্লাহর নামগুলো জানা, সেগুলো দিয়ে দোয়া করা ও জীবনে প্রয়োগ করা হলো ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

আরও পড়ুনইসমে আজমের শক্তি ও রহস্য৩০ জুন ২০২৫আল্লাহর ৯৯ নামের তালিকা

১. আল্লাহ – উপাসনার একমাত্র যোগ্য

২. আর-রহমান – অসীম দয়ালু

৩. আর-রহিম – পরম করুণাময়

৪. আল-মালিক – জগতের একচ্ছত্র মালিক

৫. আল-কুদ্দুস – পরম পবিত্র

৬. আস-সালাম – শান্তি ও নিরাপত্তার উৎস

৭. আল-মুমিন – নিরাপত্তা দানকারী

৮. আল-মুহাইমিন – অভিভাবক ও রক্ষক

৯. আল-আজিজ – পরাক্রমশালী

১০. আল-জাব্বার – ইচ্ছামতো সবকিছু নিয়ন্ত্রণকারী

১১. আল-মুতাকাব্বির – মহিমাময়

১২. আল-খালিক – স্রষ্টা

১৩. আল-বারি – নিখুঁতভাবে সৃষ্টিকারী

১৪. আল-মুসাওয়ির – আকৃতি দানকারী

১৫. আল-গফ্ফার – অপরাধ ক্ষমাকারী

১৬. আল-কাহহার – প্রভাবশালী

১৭. আল-ওয়াহ্‌হাব – সীমাহীন দানশীল

১৮. আর-রাযযাক – রিজিকদাতা

১৯. আল-ফাত্তাহ – উন্মোচনকারী

২০. আল-আলিম – সর্বজ্ঞ

২১. আল-ক্বাবিদ – সংযমকারী

২২. আল-বাসিত – প্রাচুর্যদানকারী

২৩. আল-খাফিদ – মর্যাদা হ্রাসকারী

২৪. আর-রাফি – মর্যাদা উন্নীতকারী

২৫. আল-মুই’জ্জ – সম্মান দানকারী

২৬. আল-মুযিল্ল – অপমান দানকারী

২৭. আস-সামি – সর্বশ্রোতা

২৮. আল-বাসীর – সর্বদ্রষ্টা

২৯. আল-হাকাম – বিচারক

৩০. আল-আদল – ন্যায়পরায়ণ

৩১. আল-লতিফ – সূক্ষ্মদর্শী ও সদয়

৩২. আল-খবির – সব বিষয়ে অবহিত

৩৩. আল-হালিম – সহনশীল

৩৪. আল-আজিম – মহান

৩৫. আল-গফুর – ক্ষমাশীল

৩৬. আশ-শাকুর – কৃতজ্ঞতা গ্রহণকারী

৩৭. আল-আলী – সর্বোচ্চ

৩৮. আল-কবির – মহত্তম

৩৯. আল-হাফিজ – সংরক্ষণকারী

৪০. আল-মুকিত – জীবিকার যোগানদাতা

৪১. আল-হাসিব – হিসাব গ্রহণকারী

৪২. আল-জলিল – গৌরবময়

৪৩. আল-করিম – উদার দাতা

৪৪. আর-রকিব – তত্ত্বাবধায়ক

৪৫. আল-মুজিব – সাড়া দানকারী

৪৬. আল-ওয়াসি – সীমাহীন

৪৭. আল-হাকিম – প্রজ্ঞাময়

৪৮. আল-ওয়াদুদ – প্রেমময়

৪৯. আল-মাজিদ – মহিমান্বিত

৫০. আল-বা’স – পুনরুত্থানকারী

৫১. আশ-শাহিদ – সাক্ষী

৫২. আল-হাক্ক – পরম সত্য

৫৩. আল-ওকিল – ভরসাযোগ্য

৫৪. আল-ক্বাওই – শক্তিশালী

৫৫. আল-মাতিন – দৃঢ়শক্তিধর

৫৬. আল-ওয়ালি – সাহায্যকারী অভিভাবক

৫৭. আল-হামিদ – প্রশংসার অধিকারী

৫৮. আল-মুহসি – গণনাকারী

৫৯. আল-মুবদি – সৃষ্টির সূচনা দানকারী

৬০. আল-মুই’দ – পুনরায় সৃষ্টি দানকারী

৬১. আল-মুহই – জীবনদাতা

৬২. আল-মুমিত – মৃত্যুদাতা

৬৩. আল-হাইয়্যু – চিরঞ্জীব

৬৪. আল-কাইয়ুম – ধারক ও পালনকর্তা

৬৫. আল-ওয়াজিদ – সন্ধানকারী

৬৬. আল-মাজিদ – মহিমান্বিত

৬৭. আল-ওয়াহিদ – একক

৬৮. আস-সামাদ – অমুখাপেক্ষী

৬৯. আল-কাদির – সর্বশক্তিমান

৭০. আল-মুকতাদির – নিয়ন্ত্রণকারী

৭১. আল-মুকাদ্দিম – অগ্রগামীকারী

৭২. আল-মুআখখির – পশ্চাদপসারক

৭৩. আল-আউয়াল – সবার আগে

৭৪. আল-আখির – সবার পরে

৭৫. আয-যাহির – প্রকাশ্য

৭৬. আল-বাতিন – অদৃশ্য

৭৭. আল-ওয়ালি – অভিভাবক

৭৮. আল-মুতাআলি – মর্যাদাবান

৭৯. আল-বার্‌র – কল্যাণকারী

৮০. আত-তাওয়াব – তওবা গ্রহণকারী

৮১. আল-মুনতাকিম – প্রতিশোধ গ্রহণকারী

৮২. আল-আফু – ক্ষমাশীল

৮৩. আর-রউফ – দয়ালু

৮৪. মালিকুল মুলক – সবকিছুর মালিক

৮৫. যুল জালালি ওয়াল ইকরাম – মহিমা ও সম্মানের অধিকারী

৮৬. আল-মুকসিত – ন্যায়বিচারকারী

৮৭. আল-জামি – একত্রকারী

৮৮. আল-গানি – অমুখাপেক্ষী

৮৯. আল-মুগনি – সম্পদদাতা

৯০. আল-মানি – বাধাদানকারী

৯১. আদ-দার – ক্ষতিসাধনকারী

৯২. আন-নাফি – উপকার দানকারী

৯৩. আন-নূর – আলো

৯৪. আল-হাদি – পথপ্রদর্শক

৯৫. আল-বাদি – অভিনব স্রষ্টা

৯৬. আল-বাকি – চিরস্থায়ী

৯৭. আল-ওয়ারিস – উত্তরাধিকারী

৯৮. আর-রশিদ – দিশাদাতা

৯৯. আস-সবুর – ধৈর্যশীল

আরও পড়ুনআল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নাম ‘আল্লাহ’০২ জুন ২০২৫আল্লাহর নামের ফজিলত

১. আল্লাহর নাম দ্বারা দোয়া কবুল হয়: “সবচেয়ে সুন্দর নাম আল্লাহরই। তাই সে নামগুলো দিয়ে তাঁকে ডাকো।” (সুরা আ’আরাফ, আয়াত: ১৮০)

২. আল্লাহর নাম মুখস্থ ও বোঝা জান্নাতের পথ: “যে ব্যক্তি আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম মুখস্থ রাখবে ও বুঝবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৭৭)

৩. আল্লাহর নাম জীবনে প্রভাব ফেলে: ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন: “আল্লাহর নামগুলো কেবল মুখস্থ রাখার জন্য নয়, বরং সেগুলো মানুষকে আল্লাহর মহিমা ও গুণাবলির প্রতি জাগ্রত করে।” (ইবনুল কাইয়িম, আল-নুনিয়্যা, ২/৯১, দারুস সালাম, রিয়াদ, ২০০৫)

আল্লাহর সুন্দর নামগুলো হলো ইমানের রশ্মি, হৃদয়ের প্রশান্তি এবং দোয়ার চাবিকাঠি। মুসলমানের উচিত এই নামগুলো মুখস্থ করা, দোয়া-ইবাদতে ব্যবহার করা এবং জীবনে প্রতিফলিত করা। যে ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে আল্লাহর নামগুলো জানবে ও মানবে, তার ইমান হবে দৃঢ়, আমল হবে খাঁটি, আর জীবন হবে প্রশান্তির।

আরও পড়ুনমহান আল্লাহর হাসি১১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ