Risingbd:
2025-11-17@11:04:55 GMT

হঠাৎ মুখ ফুলে যাওয়ার কারণ কী

Published: 9th, August 2025 GMT

হঠাৎ মুখ ফুলে যাওয়ার কারণ কী

মুখ ফুলে যাওয়া মানেই কিডনি রোগ নয়। নানা কারণে মুখ ফুলে যেতে পারে। তবে এই লক্ষণকে একেবারে হালকাভাবে দেখারও কোনো সুযোগ নেই। কারণ মুখ ফুলে যাওয়া কোনো কঠিন রোগের লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া মুখ ফুলে যাওয়ার সাধারণ কিছু কারণ রয়েছে। 

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
সাধারণ কারণগুলোর একটি হলো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। মেডিকেল নিউজ টু-ডে এর তথ্য অনুযায়ী, ‘‘ গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদী ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে শরীরের নরম টিস্যুতে ফোলাভাব এবং ফোড়া সৃষ্টি হয়। এই অবস্থা সাধারণত একজন ব্যক্তির মুখ, নাক, গলা, পেট এবং অন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে।’’

খুব কম বা খুব বেশি ঘুম
অনেক বেশি ঘুমালে যেমন চোখ মুখ ফুলে যেতে পারে তেমনি অনেক কম ঘুমালেও চোখ মুখে ফুলে যেতে পারে। 

আরো পড়ুন:

আজ বিড়াল দিবস

ধীরে চলছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার, সুপারিশ বাস্তবায়নে নেই অগ্রগতি

অ্যালার্জিজনিত সমস্যা
কোনো কোনো সময় অ্যালার্জিজনিত সমস্যার কারণে মুখ ফুলতে পারে। এই কারণে মুখে ফুলে গেলে সঙ্গে লালচে ভাব বা চুলকানিও থাকতে পারে। অ্যালার্জিজনিত সমস্যা খাওয়াদাওয়ার কারণে হতে পারে আবার  ওষুধ বা সূর্যের আলো থেকেও হতে পারে।

ব্যথানাশক ওষুধ সেবন
ব্যথানাশক ওষুধ যেমন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবণ করার ফলে মুখে পানি এসে যেতে পারে। সেজন্য মুখ ফুলে গেলে ওষুধ খাওয়ার ইতিহাস পর্যালোচনা করা বেশ জরুরি।

বিশেষ রোগব্যাধি
কিডনির সমস্যা বা কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে মুখে পানি আসতে পারে।  এছাড়া প্রস্রাবের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি জটিলতার কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি, ওজন বেড়ে গেলে, কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে কিংবা হৃদ্‌যন্ত্রের রোগ হলেও মুখে পানি আসতে পারে। 

মুখ ফুলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা দেখা দিলে সতর্ক হোন। এবং দ্রুত ডাক্তার দেখান। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ