Risingbd:
2025-08-09@07:17:19 GMT

হঠাৎ মুখ ফুলে যাওয়ার কারণ কী

Published: 9th, August 2025 GMT

হঠাৎ মুখ ফুলে যাওয়ার কারণ কী

মুখ ফুলে যাওয়া মানেই কিডনি রোগ নয়। নানা কারণে মুখ ফুলে যেতে পারে। তবে এই লক্ষণকে একেবারে হালকাভাবে দেখারও কোনো সুযোগ নেই। কারণ মুখ ফুলে যাওয়া কোনো কঠিন রোগের লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া মুখ ফুলে যাওয়ার সাধারণ কিছু কারণ রয়েছে। 

ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ
সাধারণ কারণগুলোর একটি হলো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। মেডিকেল নিউজ টু-ডে এর তথ্য অনুযায়ী, ‘‘ গুরুতর ও দীর্ঘমেয়াদী ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের ফলে শরীরের নরম টিস্যুতে ফোলাভাব এবং ফোড়া সৃষ্টি হয়। এই অবস্থা সাধারণত একজন ব্যক্তির মুখ, নাক, গলা, পেট এবং অন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে।’’

খুব কম বা খুব বেশি ঘুম
অনেক বেশি ঘুমালে যেমন চোখ মুখ ফুলে যেতে পারে তেমনি অনেক কম ঘুমালেও চোখ মুখে ফুলে যেতে পারে। 

আরো পড়ুন:

আজ বিড়াল দিবস

ধীরে চলছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার, সুপারিশ বাস্তবায়নে নেই অগ্রগতি

অ্যালার্জিজনিত সমস্যা
কোনো কোনো সময় অ্যালার্জিজনিত সমস্যার কারণে মুখ ফুলতে পারে। এই কারণে মুখে ফুলে গেলে সঙ্গে লালচে ভাব বা চুলকানিও থাকতে পারে। অ্যালার্জিজনিত সমস্যা খাওয়াদাওয়ার কারণে হতে পারে আবার  ওষুধ বা সূর্যের আলো থেকেও হতে পারে।

ব্যথানাশক ওষুধ সেবন
ব্যথানাশক ওষুধ যেমন স্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ সেবণ করার ফলে মুখে পানি এসে যেতে পারে। সেজন্য মুখ ফুলে গেলে ওষুধ খাওয়ার ইতিহাস পর্যালোচনা করা বেশ জরুরি।

বিশেষ রোগব্যাধি
কিডনির সমস্যা বা কিডনির কার্যকারিতা কমে গেলে মুখে পানি আসতে পারে।  এছাড়া প্রস্রাবের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি জটিলতার কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি, ওজন বেড়ে গেলে, কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে কিংবা হৃদ্‌যন্ত্রের রোগ হলেও মুখে পানি আসতে পারে। 

মুখ ফুলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা দেখা দিলে সতর্ক হোন। এবং দ্রুত ডাক্তার দেখান। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

এক নারীকে বিয়ে, তুমুল সমালোচনার জবাবে যা বললেন দুই ভাই

ভারতের হিমাচল প্রদেশের শিলাই গ্রামে হাট্টি উপজাতির দুই ভাই এক নারীকে বিয়ে করেছেন। এরপরেই তাদের বিয়ের খবর দেশি-বিদেশি মিডিয়ার সংবাদ শিরোনামে পরিণত হয়। চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। বিশেষ করে আলোচনায় এসেছে হাটি সম্প্রদায়।

শতাব্দী প্রাচীন বহুপতিত্ব বিবাহ রীতিতে বিয়ে করার পর দুই ভাই জানিয়েছেন তারা এই বিয়ে করে সুখে আছেন। ‘হাটি’ সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য রক্ষা করতে পেরে তারা যে গর্বিত হয়েছেন, তাও জানিয়েছেন। 

কুনহাট গ্রামের বাসিন্দা সুনীতা চৌহান জানিয়েছেন, হাটি সম্প্রদায়ের বহুবিবাহ প্রথার ঐতিহ্য সম্পর্কে তিনি সচেতন ছিলেন। এবং কোনো ধরণের চাপ ছাড়াই তিনি দুই ভাইকে বিয়ে করার ‍সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুনীতা এমন বিবাহ প্রথাকে সম্মান করেন বলেও জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

জম্মু-কাশ্মীরে গোলাগুলি, ২ ভারতীয় সেনা নিহত

তরুণীর সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে বৃদ্ধ হারালেন ১২ কোটি টাকা

তিনি আরও যোগ করেছেন যে তিনি তাদের তৈরি বন্ধনকে সম্মান করেন।

জানা গেছে, প্রদীপ নেগি সরকারি কর্মচারী এবং কপিল নেগি বিদেশে হসপিটালিটি সেক্টরে কর্মরত আছেন।

ফেসবুকে প্রকাশিত এক ভিডিওতে প্রদীপ নেগি বলেন, ‘‘এই বিবাহ প্রথা বহু প্রজন্ম ধরে চলে আসছে। হাটি সম্প্রদায়ের মধ্যে এই প্রথা চলতেই থাকবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু মানুষ গালি দিচ্ছে, তাতে আমার কিছু আসে যায় না। এই প্রথা শুধু আমাদের এলাকায় নয়, উত্তরাখণ্ডের জৌনসার-বাওয়ার অঞ্চলেও প্রচলিত। ওখানে একই নারীর সঙ্গে দুই বর মালা বদল করে বিবাহ সম্পন্ন করেন।’’

প্রদীপের ভাই কপিল নেগি জানান,  ‘‘যে তাদের এই বিবাহ সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় হয়েছে। এতেপরিবারের পক্ষ থেকেও পূর্ণ সমর্থন ছিল।আমরা আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির পক্ষে কথা বলে যাবো। যারা আমাদের রীতি জানেন না, তারাও বিভিন্ন মতামত দিচ্ছেন। কিন্তু আমরা, আমাদের পরিবার ও সমাজ এতে সন্তুষ্ট।’’

প্রদীপ আরও বলেন, ‘‘আমাদের খ্যাতির কোনো লোভ নেই।সংবাদ শিরোনামে আসার জন্য আমরা বিয়ে করিনি। এই বিয়ের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো একসঙ্গে থাকা এবং ভালোবাসা বজায় রাখা। মানুষকে বলছি, আমাদের সমালোচনা করবেন না—আমরা আমাদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট।’’

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শিল্লাই গ্রামের ট্রান্স-গিরি অঞ্চলে ১২ জুলাই শুরু হয়। তিন দিনব্যাপী চলে অনুষ্ঠান। নাচ, স্থানীয় লোকগীতি এবং গ্রামীণ উৎসবের রঙিন আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।

এই বিয়ের উদ্দেশ্য হলো পূর্বপুরুষদের জমি খণ্ডিত হতে না দেওয়া। জমি খণ্ডিত হয়ে যাওয়া পাহাড়ি কৃষি সম্প্রদায়ের জন্য একটি বড় সমস্যা। এ ধরনের বিবাহে সাধারণত বড় ভাইকেই সন্তানদের আইনি পিতা হিসেবে গণ্য করা হয়। এবং জমির মালিকানাও একই মায়ের সন্তানদের কাছে থেকে যায়।

উল্লেখ্য, হিমাচল প্রদেশে, ‘ওয়াজিব-উল-আরজ’ নামে ঔপনিবেশিক যুগের এক রাজস্ব নথিতে ‘জোড়িদারা’ ব্যবস্থা লিপিবদ্ধ রয়েছে। ওই দলিলে গ্রামের সামাজিক ও অর্থনৈতিক রীতিনীতি লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং বহুপতিত্ব বিবাহ প্রথাকে হাটি সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি ও বিবিসি

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ