ভোর পেরিয়ে তখনো মাত্র সকাল। গুলিস্তানে জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজির ক্রিকেটাররা। কিন্তু কারণ কী? তাঁরা কি ফুটবল খেলতে চলে এলেন! না, ঘটনা তা নয়। তাসকিন-নাহিদ রানাদের উদ্দেশ্য, জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস টার্ফে ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়া।

এটিকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়মিত চিত্রও বলা যায়। এশিয়া কাপের আগে আজ এসেছেন আরও একবার। সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলেছে তাঁদের ফিটনেসের পরীক্ষা।

এ নিয়ে বিসিবি বা দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে দলীয় একটি সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে, দুই ভাগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ভাগে ১১ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন নাহিদ রানা আর পরেরটিতে ১৫ জনের মধ্যে তানজিম হাসান।

কিছুক্ষণ ওয়ার্মআপের পর ক্রিকেটারদের ১ হাজার ৬০০ মিটার কোনো বিরতি ছাড়া দৌড়াতে হয়েছে। এই পুরো দৌড় সম্পন্ন করার দিক থেকে তানজিমের চেয়ে এগিয়ে আছেন নাহিদ রানা। তাঁর সময় লেগেছে ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ড, আর তানজিম দৌড় শেষ করেছেন ৫ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে।

জাতীয় দলের জন্য বেঞ্চমার্ক ঠিক করা আছে তিনটি। কেউ যদি ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করতে পারেন, তাহলে তাঁকে ধরা হয় ‘এলিট’ হিসেবে।

৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ড থেকে ৬ মিনিট ২০ সেকেন্ড সময় লাগলে তাঁকে ধরা হয় ‘কম্পিটেন্ট’ বা ‘সন্তোষজনক’। এর চেয়ে বেশি সময় লাগলে তাঁকে ধরা হয় ‘লিমিটেড’ হিসেবে। ওই হিসেবে এবার জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র ‘এলিট’ নাহিদ রানা।

আরও পড়ুনপৃথিবীর দীর্ঘতম রাতও ভোর হয়, আমাদেরও বোধোদয় হোক৯ ঘণ্টা আগে

দু-একজন ছাড়া বাকিদের সবাই অন্তত সন্তোষজনকভাবে উতরে গেছেন পরীক্ষায়।
এশিয়া কাপের জন্য মিরপুরে দুই দিনের ফিটনেস ক্যাম্পের পর আজ এই পরীক্ষা দিলেন ক্রিকেটাররা।

যদিও তাতে ছিলেন না টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়। ছিলেন না এশিয়া কাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে রাখা ‘এ’ দলের চার ক্রিকেটারও, তাঁরা টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়।

সামনে টেস্ট ম্যাচ না থাকলেও এই ফিটনেস ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন এই সংস্করণের ভাবনায় থাকা ক্রিকেটাররা। তাই সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, হাসান মুরাদ, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, অমিত হাসান ও পেসার এনামুল হককে দেখা গেছে জাতীয় স্টেডিয়ামে। টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরাও।

আরও পড়ুনবিপিএলে ফিক্সিং ঠেকাতে আইসিসির দ্বারস্থ হবে বিসিবি১১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ক ষ ফ টন স

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।

পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।

কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।

আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগে

পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগে

বিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’

গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ