নাহিদ রানা একমাত্র ‘এলিট’, ফিটনেস পরীক্ষায় অন্য ক্রিকেটারদের কী অবস্থা
Published: 10th, August 2025 GMT
ভোর পেরিয়ে তখনো মাত্র সকাল। গুলিস্তানে জাতীয় স্টেডিয়ামে হাজির ক্রিকেটাররা। কিন্তু কারণ কী? তাঁরা কি ফুটবল খেলতে চলে এলেন! না, ঘটনা তা নয়। তাসকিন-নাহিদ রানাদের উদ্দেশ্য, জাতীয় স্টেডিয়ামের অ্যাথলেটিকস টার্ফে ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়া।
এটিকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়মিত চিত্রও বলা যায়। এশিয়া কাপের আগে আজ এসেছেন আরও একবার। সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলেছে তাঁদের ফিটনেসের পরীক্ষা।
এ নিয়ে বিসিবি বা দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে দলীয় একটি সূত্র প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছে, দুই ভাগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ভাগে ১১ জনের মধ্যে প্রথম হয়েছেন নাহিদ রানা আর পরেরটিতে ১৫ জনের মধ্যে তানজিম হাসান।
কিছুক্ষণ ওয়ার্মআপের পর ক্রিকেটারদের ১ হাজার ৬০০ মিটার কোনো বিরতি ছাড়া দৌড়াতে হয়েছে। এই পুরো দৌড় সম্পন্ন করার দিক থেকে তানজিমের চেয়ে এগিয়ে আছেন নাহিদ রানা। তাঁর সময় লেগেছে ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ড, আর তানজিম দৌড় শেষ করেছেন ৫ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে।
জাতীয় দলের জন্য বেঞ্চমার্ক ঠিক করা আছে তিনটি। কেউ যদি ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করতে পারেন, তাহলে তাঁকে ধরা হয় ‘এলিট’ হিসেবে।
৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ড থেকে ৬ মিনিট ২০ সেকেন্ড সময় লাগলে তাঁকে ধরা হয় ‘কম্পিটেন্ট’ বা ‘সন্তোষজনক’। এর চেয়ে বেশি সময় লাগলে তাঁকে ধরা হয় ‘লিমিটেড’ হিসেবে। ওই হিসেবে এবার জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র ‘এলিট’ নাহিদ রানা।
আরও পড়ুনপৃথিবীর দীর্ঘতম রাতও ভোর হয়, আমাদেরও বোধোদয় হোক৯ ঘণ্টা আগেদু-একজন ছাড়া বাকিদের সবাই অন্তত সন্তোষজনকভাবে উতরে গেছেন পরীক্ষায়।
এশিয়া কাপের জন্য মিরপুরে দুই দিনের ফিটনেস ক্যাম্পের পর আজ এই পরীক্ষা দিলেন ক্রিকেটাররা।
যদিও তাতে ছিলেন না টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশের অধিনায়ক লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয়। ছিলেন না এশিয়া কাপের প্রাথমিক স্কোয়াডে রাখা ‘এ’ দলের চার ক্রিকেটারও, তাঁরা টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
সামনে টেস্ট ম্যাচ না থাকলেও এই ফিটনেস ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন এই সংস্করণের ভাবনায় থাকা ক্রিকেটাররা। তাই সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, হাসান মুরাদ, তাইজুল ইসলাম, ইবাদত হোসেন, অমিত হাসান ও পেসার এনামুল হককে দেখা গেছে জাতীয় স্টেডিয়ামে। টি-টোয়েন্টি দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরাও।
আরও পড়ুনবিপিএলে ফিক্সিং ঠেকাতে আইসিসির দ্বারস্থ হবে বিসিবি১১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে শান্তির পথ হবে না: ট্রাম্প-পুতিনকে ইউরোপীয় নেতাদের সতর্কবার্তা
ট্রাম্প-পুতিন আগামী সপ্তাহের শীর্ষ বৈঠক নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, সম্ভাব্য চুক্তিতে ইউক্রেনকে তার ভূখণ্ডের একটি বড় অংশ ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হতে পারে।
এ উদ্বেগ থেকে গতকাল শনিবার রাতে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পের প্রতি রাশিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের পথ খুঁজে পেতে আগামী শুক্রবার আলাস্কায় বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই বৈঠকে যোগ দিতে চাইছেন। ইউক্রেন ও ইউরোপের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কিয়েভকে অবশ্যই আলোচনার অংশ করতে হবে।
গত শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘উভয় পক্ষের মঙ্গলের জন্য কিছু ভূখণ্ড অদলবদল করতে হবে।’ এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।
পরদিন গতকাল শনিবার জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেন, শান্তি কেনার জন্য তাঁর দেশ রাশিয়াকে কোনো ভূখণ্ড ছেড়ে দেবে না।
ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের দিন ঘোষণার পর নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে গতকাল শনিবার যুক্তরাজ্যে বৈঠক করেন কিয়েভের মিত্রদেশগুলোর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের প্রতিনিধিরা।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেলেনস্কি লেখেন, ‘ইউক্রেনীয়রা দখলদারের কাছে নিজেদের ভূমি দেবে না। আমাদের স্বার্থবিরোধী যেকোনো সিদ্ধান্ত, আর ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া যেকোনো সিদ্ধান্ত হবে শান্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে ফোনালাপে জেলেনস্কি ইউক্রেনের মিত্রদের প্রতি টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘স্পষ্ট পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানান।
গতকাল রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে ইউরোপীয় নেতারা বলেন, সক্রিয় কূটনীতি, ইউক্রেনকে সহায়তা ও রুশ ফেডারেশনের ওপর চাপ সৃষ্টি—এ তিনটিকে মিলিয়ে একটি যৌথ পদ্ধতিই শুধু রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সফল হতে পারে।
ইউরোপের নেতারা ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রেখে, পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ ও তা বজায় রেখে তাঁরা ট্রাম্পকে যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিকভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত।
ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এ যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি