প্রযুক্তি খাতে ২০৩০ সালের মধ্যে অন্তত পাঁচ হাজার দক্ষ পেশাজীবী গড়তে চায় হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এইচআরডিআই)। এটি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল প্রফেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ডিআইপিটিআই) ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। যৌথভাবে তারা ‘স্কিলড জেনারেশন’ নামে একটি বিশেষ দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

আরও পড়ুন‘অনেক চাকরি নিয়ে বসে আছি, কিন্তু লোক পাচ্ছি না’১৯ জানুয়ারি ২০২৫

এ কর্মসূচিতে মূলত তিনটি দিক গুরুত্ব পাবে—সাইবার সিকিউরিটি ও তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো, ডেটা সায়েন্স ও মেশিন লার্নিং এবং ই-কমার্স ও ওয়েবনির্ভর ব্যবসা। এইচআরডিআইয়ের পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল কবির এবং ড্যাফোডিল গ্রুপের স্কিলস ও এমপ্লয়মেন্ট ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক কে এম হাসান রিপন গত ২৯ জুলাই একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মো.

নুরুজ্জামান। ডিআইপিটিআইয়ের ল্যাব, প্রশিক্ষক ও কোর্সের মাধ্যমে ‘স্কিলড জেনারেশন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে।

আরও পড়ুন২০৩০ নিয়ে চ্যাটজিপিটির কারিগর স্যাম অল্টম্যানের ভবিষ্যদ্বাণী, শুনলে নড়েচড়ে বসবেন২ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আরও অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে: ফ্রান্সের দূত

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর ইসরায়েল–ফিলিস্তিনবিষয়ক বিশেষ দূত ওফার ব্রনসটাইন বলেছেন, আরও কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশও থাকতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের চলমান অধিবেশনে যোগ দেওয়া ফ্রান্সের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রয়েছেন ওফার ব্রনসটাইন। সেখানে আল–জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।

ওফার ব্রনসটাইন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইসরায়েল সরকার অনেক বিবৃতি দিচ্ছে। কিন্তু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এবং হামাসের হাতে থাকা বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার পর কী হবে, সে বিষয়ে দুই পক্ষের কেউই কোনো বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দিচ্ছে না।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই দূত বলেন, ‘ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধান একমাত্র কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে করতে হবে। আমরা দেখেছি, সহিংসতা ও যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। এভাবে কোনো সমাধান হবে না।’

ওফার ব্রনসটাইন বলেন, ফ্রান্সকে অনুসরণ করে যুদ্ধের পর ইউরোপের দেশগুলোসহ আরও অনেকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।

ফরাসি প্রেসিডেন্টের এই দূত বলেন, ইসরায়েল পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড দখল করেছে। কিন্তু তারা এটি স্বীকার করতে চায় না। বরং উল্টো ওই অঞ্চলটিকে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ফ্রান্স সরকার যদি মনে করে, ইসরায়েল ভূমি যুক্ত করার বা অন্য কোনো বড় আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাহলে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে একই আচরণ করব, যেমন আচরণ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের জন্য করছি।’

আরও পড়ুনফিলিস্তিনকে আরও ছয় দেশের স্বীকৃতি, সংঘাত বন্ধ চান ট্রাম্প ২২ ঘণ্টা আগে

ওফার ব্রনসটাইন আরও বলেন, ইসরায়েল সরকার দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করছে না। বরং দেশটিকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। তিনি হামাসকে তাদের কাছে থাকা সব বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা যদি এটি না করে, তাহলে এই ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করবে ইসরায়েল।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগের দিন সোমবার নিউইয়র্কে এক বিশেষ সম্মেলনে ফ্রান্সসহ নতুন ছয় দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়। রোববার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও পর্তুগাল। সব মিলিয়ে দুই দিনে ১০টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ