সরকার সন্ত্রাস দমনে কঠোর না হলে আসন্ন নির্বাচন অনিশ্চিত: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
Published: 10th, August 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, সন্ত্রাস দমন ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের ব্যর্থতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই ব্যর্থতা অন্তর্বর্তী সরকারের সব অবদান ছাপিয়ে যাচ্ছে। এখন সন্ত্রাস দমনে সরকার যদি কঠোর না হয়, তাহলে আসন্ন নির্বাচনও অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
আজ রোববার দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটা ভয়ংকর পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে গেছে, সেটা সত্য। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পুনরুদ্ধারে এক বছর যথেষ্ট সময়। পুলিশের পোশাক পরিবর্তনসহ সামগ্রিক সংস্কারের কথা শুরুতে আলোচিত হলেও সেটা করা হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ার কারণ হিসেবে মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, পুলিশের বেশির ভাগ সদস্য ফ্যাসিবাদের সময়ে নিয়োগ পাওয়া সত্ত্বেও এবং তাঁদের অসহযোগিতা অব্যাহত থাকলেও পুলিশ বাহিনীতে বড় ধরনের কোনো সংস্কার করা হয়নি। দাগি আসামিদের কেবল চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তা–ও সংখ্যায় বেশি নয়। এর ফলে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল তবিয়তে আছে। সে কারণেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং ভয়ংকর নির্মমতায় ব্যবসায়ী হত্যা ও সাংবাদিক হত্যার ঘটনা ঘটেই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে উৎসবমুখর নির্বাচন করার যে আশাবাদ প্রধান উপদেষ্টা ব্যক্ত করেছেন, সেই আশার গুড়ে বালি পড়বে বলে ধরেই নেওয়া যায়।
ঢাকার নিউমার্কেট এলাকায় দেশি অস্ত্রের বিশাল মজুত উদ্ধার প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই শীর্ষ নেতা বলেন, এমন মজুত আরও কত জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ছে। জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সন্ত্রাস দমনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়ে ইউনুস আহমদ সরকারকে দ্রুত ও জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর স থ ত সরক র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
যৌথ বাহিনীর অভিযান সারা দেশে গ্রেপ্তার ১৯৪
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১৯৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী।
এই তথ্য তুলে ধরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ অক্টোবর ২০২৫ থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটগুলো অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে।
আরো পড়ুন:
আবারো জেলেদের ধরে নিল আরাকান আর্মি
মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের ভেতরে মিলল ২৩টি ককটেল, আটক ১
এসব যৌথ অভিযানে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্তসহ মোট ১৯৪ জনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করার তথ্য দিয়েছে আইএসপিআর।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার করা অপরাধীদের কাছ থেকে ৯টি অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, ৭টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১২ রাউন্ড বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ১৮টি ককটেল, ২৩টি পেট্রোল বোমা, দেশি-বিদেশি মাদকদ্রব্য, দেশি-বিদেশি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশব্যাপী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত টহল ও নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সাধারণ জনগণকে যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটবর্তী সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল