দেশে সব স্টেন্টের দাম কমছে, ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর
Published: 12th, August 2025 GMT
হৃদ্রোগ চিকিৎসায় ব্যবহৃত সব ধরনের করোনারি স্টেন্টের মূল্য কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই সিদ্ধান্ত ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আকতার হোসেন বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৩ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি কোম্পানির ১১টি করোনারি স্টেন্টের মূল্য নির্ধারণ করে। এতে দেখা যাচ্ছে, কোনো ক্ষেত্রে মূল্য ৩ হাজার টাকা কমেছে, কোনোটির মূল্য ৮৮ হাজার টাকা কমেছে। তবে এই মূল্য এখনই কার্যকর হবে না। কারণ, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে করোনারি স্টেন্ট মজুত আছে। ব্যবসায়ীরা মজুতকৃত করোনারি স্টেন্ট আগের দামে বিক্রির করার অনুমতি চেয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩১টি প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে করোনারি স্টেন্ট আমদানি করে। সরকার যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা তিনটি কোম্পানির স্টেন্টের মূল্য কমিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বাকি সব কোম্পানির স্টেন্টের মূল্যও খুব শিগগির কমানো হবে। আর নতুন মূল্য ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে।
দেশে বছরে ৪৫ থেকে ৫০ হাজার করোনারি স্টেন্টের দরকার হয় বলে জানান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
অধিদপ্তরের পরিচালক আকতার হোসেন বলেন, দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান স্টেন্ট তৈরি করে না। কেউ তৈরি করতে চাইলে সহায়তা করবে অধিদপ্তর।
এক প্রশ্নের উত্তরে অধিদপ্তরের অন্য পরিচালক মোহাম্মদ নাঈম গোলদার বলেন, ভারতও যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে স্টেন্ট আমদানি করে। তা ছাড়া ভারতের আটটি কোম্পানি স্টেন্ট তৈরি করে। ভারতে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেশি। তাই ভারতে স্টেন্টের মূল্য বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের পরিচালক আসফার হোসেন ও মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে