কোপাইলট চ্যাটবটযুক্ত নতুন ল্যাপটপ বাজারে
Published: 12th, August 2025 GMT
দেশের বাজারে মাইক্রোসফটের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ‘কোপাইলট’ চ্যাটবটযুক্ত নতুন ল্যাপটপ এনেছে আসুস বাংলাদেশ। ‘ভিভোবুক এস১৪’ মডেলের ল্যাপটপটির কি-বোর্ডে কোপাইলট ব্যবহারের জন্য আলাদা ‘কি’ থাকায় সহজেই কোপাইলট চ্যাটবট চালু করে তথ্য বিশ্লেষণ, প্রকল্প পরিকল্পনাসহ বিভিন্ন কাজ করা যায়। আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে আসুস বাংলাদেশ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইন্টেল কোর আলট্রা ৫ ও আলট্রা ৭ (সিরিজ ২) প্রসেসরে চলা ল্যাপটপটিতে ১৬ গিগাবাইট র্যাম ও ১ টেরাবাইটের ধারণক্ষমতা রয়েছে। ফলে সহজেই দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজ করার পাশাপাশি ভিডিও সম্পাদনা ও কনটেন্ট তৈরি করা যায়। ল্যাপটপটি একবার চার্জে টানা ২০ ঘণ্টা চলতে পারে এবং মাত্র ৪৯ মিনিটে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ হয়। ফলে চার্জ শেষ হওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
১৪ ইঞ্চি পর্দার ল্যাপটপটির রিফ্রেশ রেট ৬০ হার্টজ। ডলবি অ্যাটমস স্পিকারযুক্ত ল্যাপটপটিতে বিল্ট-ইন ক্যামেরা শাটার রয়েছে। ফলে কাজ শেষে সহজেই ক্যামেরার শাটার বন্ধ করা যায়। ল্যাপটপটিতে দুটি ইউএসবি টাইপ-এ পোর্ট, দুটি ইউএসবি টাইপ-সি পোর্টসহ এইচডিএমআই পোর্ট এবং ৩ দশমিক ৫ মিমি অডিও জ্যাক রয়েছে।
উইন্ডোজ ১১ হোম অপারেটিং সিস্টেমে চলা ল্যাপটপটিতে আসুস এআই নয়েজ ক্যানসেলিং প্রযুক্তি থাকায় অনলাইন বৈঠক বা ভিডিও কল স্বচ্ছন্দে করা যায়। দুটি সংস্করণে বাজারে আসা ল্যাপটপটির দাম যথাক্রমে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকা এবং ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল য পটপট ত ক প ইলট
এছাড়াও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।
পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।
কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগেপরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে