জাতিসংঘ পদক পেল বাংলাদেশ পুলিশের নারী কন্টিনজেন্ট
Published: 12th, August 2025 GMT
জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশন মনুস্কোতে দায়িত্বরত বাংলাদেশ পুলিশের নারী কন্টিনজেন্ট ব্যানএফপিইউ-১ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা পদকে ভূষিত হয়েছে। গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোর (ডিআর কঙ্গো) রাজধানী কিনশাসায় এ মিশনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গত বৃহস্পতিবার তাদের এ পদক প্রদান করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্যানএফপিইউ-১ কন্টিনজেন্ট গত বছরের ২৭ মে থেকে অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি বিনতো কেইতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন মনুস্কো পুলিশ কম্পোনেন্টের প্রধান ও ভারপ্রাপ্ত কমিশনার জেনারেল অ্যালন বামেনো। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার পুলিশ সুপার কাজী রুবাইয়াত রুমী।
ব্যানএফপিইউ-১, রোটেশন-১৭–এর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার পুলিশ সুপার কাজী রুবাইয়াত রুমীর নেতৃত্বে মোট ১৭৮ জন শান্তিরক্ষী এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৬৮ জন নারী জাতিসংঘ পদকে ভূষিত হন।
অনুষ্ঠানে মনুস্কো কিনশাসার বিভিন্ন সেকশনে কর্মরত ২৩ জন পুলিশ কর্মকর্তাকে ব্যানএফপিইউ-১–এর সঙ্গে যৌথভাবে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা পদক প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির ভাষণে জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি বিনতো কেইতা বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের পেশাদারত্ব, দায়িত্ববোধ ও শৃঙ্খলার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি নারী শান্তিরক্ষীদের অনবদ্য অবদানের জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন এবং নারী শান্তিরক্ষীদের সক্রিয় অংশগ্রহণকে জাতিসংঘের লিঙ্গসমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন-সংক্রান্ত ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের অনন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
জেনারেল অ্যালন বামেনো তাঁর বক্তব্যে ব্যানএফপিইউ-১–এর অপারেশনাল দক্ষতা, জনসম্পৃক্ততা ও স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বিত কার্যক্রম বিশেষভাবে তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে প্যারেড মার্শালের দায়িত্ব পালন করেন অপারেশনস অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাপস কুমার পাল। প্যারেড কমান্ডার ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসরিন আক্তার।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।
পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।
কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগেপরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে