ইউনেসকো ও কিংডমস ইনস্টিটিউট আলউলা ফেলোশিপ প্রোগ্রামের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। ঐতিহ্য গবেষণা ও সংরক্ষণ বিষয়ে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান বাড়ানোর মাধ্যমে বিশ্ব ঐতিহ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। হেরিটেজ বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীদের জন্য ইউনেসকো ও সৌদি আরবের দ্য রয়্যাল কমিশন ফর আলউলা (আরসিইউ) যৌথ উদ্যোগে এ ফেলোশিপ দেয়। ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সংস্করণে মোট ১০টি ফেলোশিপ প্রদান করা হবে। এ ফেলোশিপ প্রোগ্রামটির মেয়াদ ২ বছর।

নির্বাচিত ফেলোরা গবেষণার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে অংশ নেবেন। ফেলোশিপ চলাকালে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সুবিধা দেওয়া হবে।

আবেদনে যোগ্যতা

সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ব্যবস্থাপনা, স্থাপত্য, নগর–পরিকল্পনা বা উন্নয়ন, প্রত্নতত্ত্ব, সংরক্ষণ, জাদুঘর ব্যবস্থাপনা, সাংস্কৃতিক নীতি, নৃবিজ্ঞান, শিল্প ইতিহাস, শিল্প ব্যবস্থাপনা, সৃজনশীল শিল্প, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সামাজিক ও মানববিজ্ঞান বা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি (স্নাতকোত্তর ডিগ্রি বা সমমানের)।

এ ফেলোশিপের মেয়াদ ২৪ মাস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ