আজিয়াটাকে বাংলাদেশে ফাইভ–জি সেবা সম্প্রসারণের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
Published: 13th, August 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মালয়েশিয়ার শীর্ষ টেলিকম প্রতিষ্ঠান আজিয়াটাকে বাংলাদেশে ফাইভ–জি সেবা চালু এবং দেশের ডেটা সেন্টারে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে প্রধান উপদেষ্টার অবস্থান করা হোটেলে আজিয়াটা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান মুহাম্মদ ইউনূস।
মুহাম্মদ ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির জন্য উচ্চগতির ইন্টারনেট অপরিহার্য ও বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোকে ডিজিটাল অর্থনীতিতে অংশগ্রহণের জন্য বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শীর্ষ টেলিযোগাযোগ অপারেটরদের জন্য আরও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে লাইসেন্সিং ব্যবস্থাগুলোকে সহজতর করছে।
সেলুলার অপারেটর রবির প্যারেন্ট কোম্পানি আজিয়াটা বারহাদ গ্রুপের সিইও বিবেক সুদ জানান, কোম্পানিটি বাংলাদেশে ফাইভ–জি ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ ফাইভ–জি সেবা বাস্তবায়নের জন্য দেশের ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ অপরিহার্য।
বিবেক সুদ বলেন, রবি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তারা ফাইভ–জি সেবা চালু করতে আগ্রহী।
তবে বিবেক সুদ ব্যয়বহুল স্পেকট্রাম ফি ও বিচ্ছিন্ন লাইসেন্সিং–ব্যবস্থাকে বিদেশি অপারেটরদের বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উল্লেখ করেন। এ ছাড়া আজিয়াটা বাংলাদেশে ডেটা সেন্টারের জন্য যৌথ উদ্যোগে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বেসরকারি খাত ও নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে আরও শক্তিশালী সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো কাছাকাছি আসা, একে অপরকে বোঝা।
আজিয়াটা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আজিয়াটা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ইন্ডিপেনডেন্ট নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহরিল রিদজা রিদজুয়ান।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো.
এ ছাড়া বৈঠকে অংশ নেন আজিয়াটা গ্রুপের প্রধান নিয়ন্ত্রক ও সরকারি বিষয়–সংক্রান্ত কর্মকর্তা ফুং চি কিয়ং, গ্রুপের প্রধান ব্যবসা ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা থমাস হান্ডট।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ আহ ব ন র জন য আজ য় ট ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।
পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।
কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগেপরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।
বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগেবিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’
গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে