অভিনেত্রী বাসন্তীকে ‘মুক্তি দিল’ মৃত্যু
Published: 13th, August 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বাসন্তী চ্যাটার্জি মারা গেছেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১০টায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
সর্বশেষ ‘গীতা এলএলবি’ ধারাবাহিকে কাজ করেন বাসন্তী। এই সিরিয়ালে তার সহ-অভিনেতা ছিলেন ভাস্বর চ্যাটার্জি। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার রাত ১০টা নাগাদ উনার মৃত্যুর খবর পাই। আমি শুটিং সেটে থাকাকালীন খবরটা পাই।”
দীর্ঘদিন ধরে পেটের ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন বাসন্তী চ্যাটার্জি। গত বছর তার বুকে পেসমেকার বসানো হয়। চলতি বছরের শুরুতে পড়ে গিয়ে পাঁজরের হাড় ভাঙেন এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর। তখন চিকিৎসকরা জানান, অভিনেত্রীর একটি কিডনিও সচল নেই। ফলে প্রতি মাসে ২০ হাজার রুপি ব্যয় ঔষুধের জন্য। তার মধ্যে পাঁজরের হাড় ভেঙে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে।
আরো পড়ুন:
‘রাজের বুকের বাঁ দিকটা চিনচিন-ঝিনঝিন কোনোটাই করে না’
এক মঞ্চে দুই প্রাক্তন: রুক্মিণী-রাজকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য, মুখ খুললেন দেব
বাসন্তী চ্যাটার্জির এক ছেলে এক মেয়ে। সবাই যার যার সংসার নিয়েই ব্যস্ত। বাসন্তী চ্যাটার্জিও আলাদা বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। গত বছর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। ছেলে-মেয়ে নন, তাকে ভর্তি করেছিলেন গাড়ি চালক। মাত্র একদিন ছেলে-মেয়েরা তাকে দেখতে গিয়েছিলেন। পরে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করেন গাড়ি চালক মলয় চাকির।
ওই সময় থেকে নিজের ছেলের মতো বাসন্তী চ্যাটার্জিকে আগলে রাখেন অভিনেতা ভাস্বর চ্যাটার্জি। এ অভিনেতা বলেন, “মনটা খুব ভারী। তবে আমরা সকলেই মনে করছি, তিনি মুক্তি পেয়েছেন। কারণ শেষ দিকে খুব কষ্ট পাচ্ছিলেন মানুষটা।”
আটের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী বাসন্তী চ্যাটার্জি বেশ কিছু সিনেমায়ও কাজ করেছেন। ইতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক হৃদয় জয় করেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
গুপ্ত রাজনীতির নামে নয়া আধিপত্যবাদী শক্তির বিকাশ ঘটছে কি
বেশ কিছুদিন ধরে একটি বিশেষ পক্ষ থেকে এক অদ্ভুত দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে। আর তা হচ্ছে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবে; অমুক ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি করা যাবে না, তমুক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রাজনীতি করা যাবে না।
নতুন বন্দোবস্তের কথা বলে এ ধরনের কিছু অসার ও অদ্ভুত দাবি তোলা হচ্ছে কিছু ছাত্রসংগঠনের সমর্থক কথিত ‘সাধারণ’ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। বিভিন্ন তথ্য–প্রমাণ–নমুনা অনুসারে বিশেষ এই সংগঠন হচ্ছে মূলত ইসলামী ছাত্রশিবির। এর সঙ্গে কখনো বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদকেও (বাগছাস) সুর মেলাতে দেখা গেছে।
সাধারণ শিক্ষার্থী সেজে যাঁরা ক্যাম্পাসে বা হলে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবি তোলেন, তাঁদের অনেককেই আবার বাগছাস ও শিবিরের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেখা যায়, তাঁরা মিছিল, সামবেশেও যান।
সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ে শিবিরের এই কৌশলী রাজনীতির সঙ্গে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) সুবিধামতো সময়ে একমত পোষণ করে। আবার দ্বিমতও পোষণ করে। তবে এ দুই দলের দাবির পেছনে কারণ সম্ভবত একই—ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করে নিজেদের রাজনীতি গুছিয়ে নেওয়া। এ কারণেই তাদের পছন্দমতো ক্যাম্পাসে কখনো রাজনীতি থাকবে বা থাকবে না।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোয় ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হলে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে বাগছাস ও শিবিরের কর্মী–সমর্থকেরা হলে রাজনীতি বন্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে ভিসি বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। তাঁদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এসে ঘোষণা দেন, হলে প্রকাশ্য ও ‘গুপ্ত’ রাজনীতি বন্ধ থাকবে।
সাদা দলের (বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত) এই শিক্ষকের কথার সবটুকু অবশ্য পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়নি। প্রকাশ্য রাজনীতি না হয় তিনি বন্ধ করলেন, কিন্তু ‘গুপ্ত’ রাজনীতি তিনি বন্ধ করবেন কীভাবে? যারা প্রকাশ্যে আসবে না, রাজনৈতিক পরিচয় ধারণ করবে না, তাদের রাজনীতি আটকাবেন কীভাবে, তা অনুধাবন করা গেল না।
নিষিদ্ধ কোনো দলের নেতা–কর্মীরা হলের অভ্যন্তরে বৈঠক সমাবেশ করলে বাধা দিতে পারেন। আটক করতে পারেন। কিন্তু যারা এখন নিষিদ্ধ নয়, বৈধভাবে রাজনীতি করে, তাদের তিনি আটকাবেন কীভাবে?
ছাত্ররা জুলাই–আগস্টে নেতৃত্বে ছিল। কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিপুল অংশগ্রহণ ছিল। যে কারণে অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিয়ে একধরনের প্রতিযোগিতা আছে। পৃথিবীর সব দেশেই ছাত্ররাজনীতি আছে। আমাদের দেশে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার প্রচারণা নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।সাম্প্রতিক সময়ে গোপন বা ‘গুপ্ত’ রাজনীতির অভিযোগ মূলত শিবিরের বিরুদ্ধেই বেশি। বাধা দিতে হলে তো তাদেরকেই দেওয়া উচিত। এই দলের বেশ কিছু নেতা–কর্মী বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন। ওই সময় তারা ছাত্রলীগের পক্ষ হয়ে গেস্টরুমে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে নির্যাতন করেছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ উঠেছে।
কিন্তু শিবির এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয়। শিবিরের নামে বা অন্য কোনো নামে হলে কেউ বৈঠক বা কর্মসূচি পালন করলে, তাদের তিনি (প্রক্টর) বাধা দিতে পারেন না; বাধা দিতে হলে আগে শিবির নিষিদ্ধ করতে হবে। সেটি নিশ্চয়ই কেউ চাইবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে যদিও শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ক্যাম্পাসে। শেখ হাসিনার পতনের পর এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুসরণ করেনি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই সিদ্ধান্ত খুঁজে পায়নি। তাই শিবিরের এখন স্বনামে–বেনামে রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের দিয়ে অন্যেদের রাজনীতি বন্ধের পাঁয়তারা করছে।
মূলত শিবিরের গুপ্ত রাজনীতির অনুশীলনের কারণেই বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের আলাপটি তোলা হয়। এর আগে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল সদস্য ফরম বিতরণ করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিচয়ে একদল শিক্ষার্থী বাধা দেন এবং এ নিয়ে ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে ছাত্রদলের সঙ্গে মূলত শিবির ও বাগছাসের কর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিলেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রদল কমিটি ঘোষণা করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে বাধা প্রদান করা হয়। সেখানেও শিবিরের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ্য, এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়েই ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রয়েছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ থাকবে কেন? রাজনীতি করা যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। কারও পছন্দ না হলে সে রাজনীতি করবে না। কিন্তু কাউকে রাজনীতি করতে বাধা দেওয়া যাবে না। জোরপূর্বক রাজনীতি করতে বাধা দেন সাধারণত ফ্যাসিবাদী শাসকেরা। তাঁরা জনসাধারণের রাজনীতি করার সুযোগ সীমিত করেন।
এ ছাড়া ১৯৭৩ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ অনুসারে, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হলে বা ক্যাম্পাসে রাজনীতি করার অধিকার স্বীকৃত রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালগুলোয় শিগগিরই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা।
ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতিও বেশ এগিয়েছে। ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে হল সংসদেও নির্বাচন হবে। এদিকে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবি করা, আরেক দিকে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের আওয়াজ তোলা স্ববিরোধিতা বটে।
মূলত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার পর সেখানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। হত্যাকারী ও পরবর্তী সময়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের আধিপত্য ঠেকাতেই সব দল মিলে ওই সময় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে।
কিন্তু গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। এদের অধিকাংশ নেতা–কর্মী পালিয়েছেন বা আত্মগোপনে চলে গেছেন। এখন সময় নতুনভাবে রাজনীতি শুরু করার। ঠিক এই সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে কয়েকটি সংগঠন বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই তথাকথিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিয়েছেন, ছাত্রলীগ গিয়েছে যে পথে, ছাত্রদল যাবে সেই পথে। ছাত্রলীগের অপকর্মের কারণে যদি ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হয়, তবে তো আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের কারণে সারা দেশেই রাজনীতি বন্ধ করে দিতে হবে। কে কখন আবার ফ্যাসিবাদী হয়ে যায়, এই অশঙ্কা করলে তো আর রাষ্ট্র পরিচালনা করা যাবে না।
আমাদের ছাত্ররাজনীতির এক গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টির আন্দোলন, উনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থান, একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধ, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী বাকশালের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, নব্বইয়ের গণ–আন্দোলন ও সর্বশেষ জুলাই–আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীরা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে। বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করছে, দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক লড়াইয়ে জোরালো ভূমিকা রেখেছে।
শিক্ষার্থীদের এই শক্তিকে যারা দুর্বল করে দিতে চায়, তারাই ছাত্ররাজনীতি বন্ধের কথা বলে। কারণ, ছাত্ররাজনীতি সচল থাকার কারণেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ে দন্ডিতদের ছবি প্রদর্শনী বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের কারণেই ছাত্রলীগ ক্যাম্পাস থেকে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
এক ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে; কিন্তু ফ্যাসিবাদের পুনরুত্থান ঠেকানোর কথা বলে এক নয়া আধিপত্যবাদী শক্তির বিকাশ আমরা দেখতে পারছি। এরা স্বভাবতই শিক্ষার্থীদের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নিতে চাইবে। কারণ, ছাত্ররাজনীতি থাকলে ক্যাম্পাসে যা খুশি তা করা যাবে না। ছাত্ররাজনীতির নামে গেস্টরুম কালচার, হল দখল, ক্যাম্পাস দখল, ক্যানটিন–ডাইনিংয়ে বিনা পয়সায় খাওয়া ও ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। কিন্তু তাই বলে রাজনীতি বন্ধ করে দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার দাবি নব্য ফ্যাসিবাদের লক্ষণ। এটা আমাদের প্রতিরোধ করতে হবে। যেকোনো বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের পর বিপ্লবী শক্তি নিজেরাই ফ্যাসিবাদে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে যদি সুনির্দিষ্ট কোনো পক্ষের নেতৃত্ব না থাকে।
ছাত্ররা জুলাই–আগস্টে নেতৃত্বে ছিল। কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলোর বিপুল অংশগ্রহণ ছিল। যে কারণে অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিয়ে একধরনের প্রতিযোগিতা আছে। পৃথিবীর সব দেশেই ছাত্ররাজনীতি আছে। আমাদের দেশে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার প্রচারণা নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।
ইতিহাসের নির্মম শিক্ষা হচ্ছে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। আওয়ামী লীগের পতন থেকেও অনেকেই শিক্ষা নেয়নি। তাই তারা ছাত্ররাজনীতি বন্ধের ফ্যাসিবাদী দাবি তুলছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় তারা আরও নানা দাবি নিয়ে তারা সামনে আসতে পারে। এর আগে তারা নির্বাচন বাতিল ও পেছানোর জন্যও নানা টালবাহানা করেছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছে না যে এভাবে কোনো কিছুরই শেষ রক্ষা হয় না, আওয়ামী লীগেরও হয়নি।
ড. মারুফ মল্লিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক