গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট ও ইয়াং ওয়ানস গার্মেন্ট শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখী মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে স্মারকলিপি দেওয়ার উদ্দেশ্যে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় লাঠিচার্জ করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

পুলিশের লাঠিচার্জে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, গাজীপুর জেলার সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জালাল হাওলাদারসহ অন্তত ৩০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সিপিবির সভাপতি মো.

শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যখন চুক্তিভঙ্গকারী মালিকদের গ্রেপ্তার করে শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার কথা, তখন শ্রমিকদের ওপরই বর্বর হামলা চালানো হয়েছে। অবিলম্বে শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন সিপিবির নেতারা।

গাজীপুরের স্টাইল ক্রাফট ও ইয়াং ওয়ানস গার্মেন্ট শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখী মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আজ বুধবার প্রেসক্লাবের সামনের এলাকায়

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ