১৯ শতকের আধুনিক জীবন যাপনের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ হয়ে উঠেছিলো স্যুটকেস। আজকের দিনে যেমন— কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সঙ্গী হয় ট্রলি ব্যাগ। সে সময় সঙ্গী হতো স্যুটকেস। বর্তমানে ট্রলি ব্যাগে কফির কাপ রাখার জায়গা থেকে শুরু করে মোবাইল চার্জিংয়ের ব্যবস্থাও থাকে। এতোটা সুযোগ সুবিধা আবার স্যুটকেসে ছিলো না। 

এখনও অনেক বাড়িতে পুরনো স্যুটকেস রয়ে গেছে। শক্ত কভারের স্যুটকেসে থাকত তালাচাবি দেওয়ার ব্যবস্থা। এতে সহজেই  নিজের  জিনিস পত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যেত।  কোনো কোনো স্যুটকেসের সঙ্গেই তালা থাকত।  

১৯ শতকের দিকে কোথায় ঘুরবে বা বেড়াতে গেলে সাধারণত ফর্মাল বা আনুষ্ঠানিক পোশাক পরার চল ছিলো। সে সব পোশাক এমন যত্নে রাখতে হতো, যাতে কুঁচকে না যায়। লোকসমাজে কুঁচকানো পোশাক পরাকে মানসম্মত উপায় মনে করা হতো না। পোশাক যত্ন সহকারে সংরক্ষণ ও বহন করার জন্য জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ট্রাঙ্কের মতো আয়তাকার স্যুটকেস। মূলত তরুণেরাই এই অনুসঙ্গটিকে জনপ্রিয় করে তুলেছিলো। 

আরো পড়ুন:

ভারতের যে গ্রামের পুরুষরা দুই বিয়ে করেন

আধা ঘণ্টার বেশি মোবাইল দেখার সুযোগ নেই, ক্ষুব্ধ সন্ন্যাসীরা

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স য টক স

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ