শত্রুকে ‘সব দিক থেকে’ আঘাত হানতে রকেট ফোর্স গঠন করল পাকিস্তান
Published: 14th, August 2025 GMT
পাকিস্তানে সেনাবাহিনীতে অত্যাধুনিক রকেট ফোর্স কমান্ড গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ৭৮তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এই কমান্ড প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেওয়া হয়। খবর সামা টিভির
আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এই ফোর্স শত্রুকে ‘সব দিক থেকে’ আঘাত হানতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন শাহবাজ। তিনি এই ফোর্স গঠনকে দেশের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক বলেও উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ তার বক্তৃতায় ভারতের সঙ্গে সংঘাতের প্রসঙ্গ তুলে অভিযোগ করেন, মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে নয়াদিল্লি বিনা প্ররোচনায় পাকিস্তানে হামলা চালায়।
আরো পড়ুন:
ভারতকে এমন শিক্ষা দেব, কখনোই ভুলবে না: শাহবাজ শরিফ
কেবিসির মঞ্চে সোফিয়া-ব্যোমিকারা, শুরু বিতর্ক
আর তারই জবাবে ভারতকে ‘ঐতিহাসিক শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য তিনি সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির বাবর এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নবীদ আশরাফের প্রশংসা করেন।
শেহবাজ বলেন, মাত্র চার দিনেই ভারতের গর্ব ‘ধুলিস্যাৎ’ হয়ে গেছে। পাকিস্তানি সেনাদের বীরত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যারা জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত— এমন জাতিকে কখনও পরাজিত করা যায় না।
এ সময় তুরস্ক, সৌদি আরব, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও আজারবাইজানসহ মিত্র দেশগুলোর প্রতি সংঘাতকালে কূটনৈতিক সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)