শেষ ৩ বলে ৫ নাকি ১ বলে ৫—ব্যাটসম্যানের জন্য কোন সমীকরণ মেলানো কঠিন? বলতে পারেন এটা কোনো প্রশ্ন হলো! ১ বলে ৫ রানের সমীকরণ মেলানোই নিঃসন্দেহে কঠিন। কাল ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ‘দ্য হানড্রেড’–এ এই কঠিন সমীকরণটাই মিলিয়েছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান গ্রাহাম ক্লার্ক।

অথচ তাঁর সামনে ৩ বলে ৫ রানের সমীকরণও ছিল। কিন্তু টানা দুই বল ব্যাটে লাগাতে না পারার পর ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মেরে নর্দার্ন সুপারচার্জার্সকে জিতিয়েছেন ক্লার্ক।

সাউদাম্পটনে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে সাউদার্ন ব্রেভ তুলেছিল ১০০ বলে ১৩৯ রান। এই রান ৭ উইকেট হারিয়ে তাড়া করে নর্দার্ন সুপারচার্জার্স। এটি সাউদার্ন ব্রেভের এবারের আসরে প্রথম হার। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ জিতেছিল দলটি। নর্দার্ন সুপারচার্জার্সের এবারের আসরে এটি দ্বিতীয় জয়।

এমনিতে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করেন ক্লার্ক। সর্বশেষ বিপিএলে চিটাগং কিংসের হয়ে টপ অর্ডারে খেলেই ৪৩১ রান করেন, পেয়েছিলেন একটি সেঞ্চুরিও। তবে হানড্রেডে তিনি যে দলটিতে খেলছেন, সেখানে ওপেনিংয়ে আছেন জ্যাক ক্রলি ও ডেভিড ম্যালান।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া দলে তিন চোট, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন সবাই১ ঘণ্টা আগে

সে জন্যই এই দলে ব্যাটিংয়ে নামতে হচ্ছে মিডল অর্ডারে, ৬ নম্বরে নেমে ম্যাচ শেষ করার দায়িত্বটা তাঁর। কাল ২৪ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্লার্ক। নর্দার্ন সুপারচার্জার্সের অবশ্য আরও সহজেই জেতার কথা ছিল।

কারণ, শেষ ১০ বলে তাদের দরকার ছিল ১১ রান। কিন্তু জফরা আর্চারের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে রান আসে মাত্র ১, উইকেট পড়ে ২টি। তাতে শেষ ওভারে ১০ রানের সমীকরণে এসে দাঁড়ায় সুপারচার্জার্স।

শেষ ওভারে প্রথম ২ বল থেকেই ৫ রান তুলে ফেলেন আদিল রশিদ ও ক্লার্ক। টাইমাল মিলসের করা সেই ওভারের পরের দুই বলে কোনো রান নিতে পারেননি ক্লার্ক। এরপর (হানড্রেডে ৫ বলে ওভার) শেষ বলে ক্লার্ক কী করেছেন সেটা তো সবার জানা।

মিডল অর্ডারে খেলার কারণে পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করেছেন ক্লার্ক। ম্যাচ জয়ের পর ক্লার্ক বলেছেন, ‘মিডল অর্ডারে এর আগে কখনোই ব্যাটিং করিনি। কয়েক দিন ধরে নিল ম্যাকেঞ্জির (ব্যাটিং কোচ) সঙ্গে বসে নিজের পাওয়ার হিটিং উন্নত করার চেষ্টা করেছি।’

আরও পড়ুন‘অনেক দুষ্টু কিন্তু’—মোস্তাফিজের গোপন খবর তাসকিনের মুখে১৩ আগস্ট ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অর ড র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ