নিজেদের তৈরি নতুন প্রযুক্তি ও পণ্যের ঘোষণা দিতে প্রতিবছরই ‘মেড বাই গুগল’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে গুগল। এ বছর ২০ আগস্ট মেড বাই গুগল অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গুগল কার্যালয়ে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক এ আয়োজনে বরাবরই মতোই নতুন প্রযুক্তি ও পণ্য বাজারে আনতে পারে গুগল।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের ধারণা, মেড বাই গুগল অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ হবে নতুন পিক্সেল ১০ সিরিজের স্মার্টফোন। পিক্সেল ১০, পিক্সেল ১০ প্রো, পিক্সেল ১০ প্রো এক্সএল এবং ভাঁজযোগ্য পিক্সেল ১০ প্রো ফোল্ড মডেলে আসতে পারে স্মার্টফোনগুলো। স্মার্টফোনের পাশাপাশি পিক্সেল ওয়াচ ৪ স্মার্টঘড়িও আনতে পারে গুগল। আগের মডেলের তুলনায় দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি এবং দ্রুত চার্জিং সুবিধা যুক্ত হতে পারে নতুন স্মার্টঘড়িতে। একই অনুষ্ঠানে হালনাগাদ পিক্সেল বাডস ২এ ইয়ারবাড ঘোষণার সম্ভাবনাও রয়েছে।

শুধু নতুন হার্ডওয়্যার নয়, সফটওয়্যারেও পরিবর্তন আনতে পারে গুগল। ধারণা করা হচ্ছে, পিক্সেল ১০ সিরিজে আরও উন্নত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সুবিধা যুক্তের ঘোষণা দেওয়া হবে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ‘জেমিনি’ মডেলের সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে স্মার্টফোনে এআই অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছে।

গুগলের অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেল থেকে মেড বাই গুগল অনুষ্ঠান অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। আগামী বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা থেকে অনলাইনে সরাসরি অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে।  

সূত্র: টেক ক্র্যাঞ্চ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ক স ল ১০

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নরদের পরিবারের সদস্যদের হিসাব তলব

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সাবেক ৩ গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর, সাবেক বিএফআইইউ প্রধান এবং তাদের পরিবারের সদস্য তথা স্ত্রী-সন্তান-জামাতা-পূত্রবধূর হিসাবও তলব করেছে। এসব ব্যক্তির হিসাবের যাবতীয় তথ্য জানাতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংককে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুরোধে সাবেক গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তাদের হিসাব তলব সংক্রান্ত চিঠি বুধবার ব্যাংকগুলোকে দিয়েছে বিএফআইইউ। 

আরো পড়ুন:

সাবেক ৩ গভর্নর ও ৬ ডেপুটি গভর্নরের ব্যাংক হিসাব তলব 

১২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এল ১০৫ কোটি ডলার

বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পদে দায়িত্ব পালন করা এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আর্থিক খাতের বিভিন্ন অনিয়ম, ব্যাংক দখলের মাধ্যমে অর্থ লোপাট এবং অতিরিক্ত টাকা ছাপিয়ে ঋণ বিতরণের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। হিসাবের যাবতীয় তথ্য পাওয়ার পর এসব ব্যক্তির হিসাবে অস্বাভাবিক কোন লেনদেন হয়েছে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

যাদের হিসাব তলব করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, ফজলে কবির এবং আব্দুর রউফ তালুকদার। অভিযোগ অনুযায়ী, ফজলে কবিরের মেয়াদে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর দখল নিয়ে লুটপাট শুরু হয় এবং তা অব্যাহত থাকে আব্দুর রউফ তালুকদারের সময়েও। বিশেষ করে রউফ তালুকদারের সময় টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক খাতে ঋণ বিতরণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাটের সুযোগ তৈরি হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।

হিসাব তলব করা সাবেক ডেপুটি গভর্নরদের মধ্যে রয়েছেন এস কে সুর চৌধুরী, এস এম মনিরুজ্জামান, কাজী ছাইদুর রহমান এবং আবু ফরাহ মো. নাছের। এর মধ্যে এস কে সুর চৌধুরী বর্তমানে দুর্নীতি মামলায় কারাবন্দি। একই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাসও।

অন্যদিকে সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকারি ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের অবৈধ আর্থিক সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আর আবু ফরাহ মো. নাছেরের বিরুদ্ধে নীতিমালা শিথিল করে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বিএফআইইউর সাবেক প্রধান আবু হেনা মো. রাজী হাসান এবং মো. মাসুদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। বিএফআইইউ থেকে ব্যাংকগুলোকে পাঠানো চিঠিতে তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব, লেনদেন বিবরণী, হিসাব খোলার ফরম এবং পরিচয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ব্যাংকগুলোর কাছে চাওয়া হয়েছে। কোনো হিসাব বর্তমানে বন্ধ থাকলেও, সেটির তথ্য আলাদাভাবে জানাতে বলা হয়েছে।

ঢাকা/নাজমুল/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ