৪৭তম বিসিএসে প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য শ্রুতিলেখক দেবে পিএসসি
Published: 14th, August 2025 GMT
৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের জন্য শ্রুতিলেখক নিয়োগ করবে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর ৪৭তম বিসিএস-২০২৪ এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পিএসসি গত বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যেসব প্রতিবন্ধী প্রার্থীর পরীক্ষায় শ্রুতিলেখক প্রয়োজন, তাঁদের আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে হবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার), বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭ ঠিকানায় অফিস চলাকালে।
আবেদনের সঙ্গে অনলাইন আবেদনপত্র (BPSC Form-1), সাম্প্রতিক তোলা দুই কপি সত্যায়িত ছবি, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সনদপত্রের সত্যায়িত কপি এবং সিভিল সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত প্রতিবন্ধিতা সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হবে। সিভিল সার্জন এ প্রত্যয়নপত্র দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সহায়তায় বা নিজ দায়িত্বে প্রার্থীকে পরীক্ষা করে।
পিএসসি সূত্রে জানা যায়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন না করলে শ্রুতিলেখক নিয়োগ করা হবে না। পরীক্ষায় শুধুমাত্র পিএসসি অনুমোদিত শ্রুতিলেখক ব্যবহার করা যাবে।
এক নজরে
পরীক্ষা: ৪৭তম বিসিএস-২০২৪ প্রিলিমিনারি
পরীক্ষার তারিখ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শ্রুতিলেখক চাহিদা জানিয়ে আবেদন করার শেষ সময়: ২০ আগস্ট ২০২৫
আবেদনের ঠিকানা: পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার), পিএসসি সচিবালয়, আগারগাঁও, ঢাকা
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: অনলাইন আবেদনপত্র, ২ কপি ছবি, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সনদ, সিভিল সার্জনের প্রত্যয়নপত্র
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%
এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের
থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।
থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।
সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
এফএওর সূচক কমেছেপ্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।
চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের
অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।