সিলেটে অবৈধভাবে পাথর তোলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি বিএনপির
Published: 15th, August 2025 GMT
রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে। অবৈধভাবে পাথর-বালু তোলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা।
সম্প্রতি সিলেটে পাথর লুট হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ও মহানগর বিএনপির শীর্ষস্থানীয় চার নেতা এ কথাগুলো বলেছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বিবৃতিটি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে সিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর, জাফলং, বিছনাকান্দিসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক নৈসর্গ ধ্বংস এবং অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং বর্তমানে দায়িত্বে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুনপাথর তোলায় রাজনৈতিক দলের ‘ঐকমত্য’, পরে লুট, ঘটল কীভাবে ১৪ আগস্ট ২০২৫বিবৃতিতে বলা হয়, সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি মনে করে, দল-মতনির্বিশেষে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। বিএনপি অতীতে প্রমাণ করেছে যে দলের কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেই তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুনপাথর উত্তোলন ঠেকাতে পাঁচ সিদ্ধান্ত, দোষীদের করা হবে গ্রেপ্তার১৩ আগস্ট ২০২৫জেলা ও মহানগরের শীর্ষস্থানীয় চার নেতা বিবৃতিতে আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ড, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ সুরক্ষায় জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছেন এবং ভবিষ্যতেও এ নীতি অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুনসিলেটে লুটের পাথরবাহী ১৩০ ট্রাক জব্দ, ফেলা হচ্ছে সাদাপাথর এলাকায়১৪ আগস্ট ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ ব এনপ র র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাধীনতা দিবসের সকালে পশ্চিমবঙ্গের সড়কে ঝরল ১০ প্রাণ
ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনের সকালে পশ্চিমবঙ্গে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০ জন; আহত হয়েছেন ৩৫ জন, যাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের বর্ধমানের নবাব-হাট ফাগুপুর এলাকায় সকাল ৭টায় এই দুর্ঘটনা হয়।
১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৪৭ সালের এই দিনে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হয় ভারত।
আরো পড়ুন:
রোডক্র্যাশে বেশি মারা যাচ্ছে তরুণরা
ঝিনাইদহের সড়কে ঝরল ২ শিক্ষার্থীর প্রাণ
দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি হুগলি জেলার তারকেশ্বর থেকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় জাতীয় সড়কের ওপর ফাগুপুর এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রাকের পেছন ধাক্কা দেয় বাসটি।
ধাক্বায় বাসের সামনের দিকের অংশ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। দুর্ঘটনা স্থল থেকে ৪৫ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে, যাদের ১০ জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে অন্তত ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। সবাই বিহারের বাসিন্দা। পুজা দিতেই সবাই পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলেন। ফেরার সময়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সার্ভিস লেন থাকা সত্ত্বেও জাতীয় সড়কের ওপরেই লরিগুলো বিপদজনকভাবে দাঁড়িয়ে থাকে। এই বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের।
এদিন সকালেও একইভাবে ওই লরি দাঁড়িয়ে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন। দুর্ঘটনার পর জাতীয় সড়কে তীব্র যানজট হয়। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যা পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
ঢাকা/সুচরিতা/রাসেল