দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা ‘দশম ইন্টারন্যাশনাল বিজনিয়াস বাংলাদেশ ২০২৫’–এ সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ‘বেস্ট পার্টিসিপ্যান্ট অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (৯ আগস্ট) এতে অংশ নিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।

‘এআই ইন মার্কেটিং অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস’ শীর্ষক এবারের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, জ্ঞান ও বাস্তব দক্ষতা বিকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করেছে।

দিনব্যাপী এই আয়োজনে ছিল কুইজ প্রতিযোগিতা, বিজনেস আইডিয়া প্রেজেন্টেশন, বিজ্ঞাপন নির্মাণ প্রতিযোগিতা এবং অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের পরিচালনায় বিভিন্ন সেমিনার। আয়োজনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় ছিলেন বিজনেস জিনিয়াস বাংলাদেশের চিফ অ্যাডভাইজার এম আবদুল্লাহ আল মামুন এবং চেয়ারম্যান এম এ নাহিয়ান।

এবারের প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য নৈপুণ্য প্রদর্শন করে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। বিবিএ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মোহাম্মদ জুলফিকার আলীর নেতৃত্বে সর্বোচ্চসংখ্যক শিক্ষার্থী বিভিন্ন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে বিবিএ বিভাগের শিক্ষার্থী আদিতা আলম এক হাজারের বেশি প্রতিযোগীর মধ্যে কুইজ প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে প্রথম স্থান অর্জন করেন। সানজিদা আক্তার বীথি তাঁর ‘হাউ টু সেল রোবট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি’ উপস্থাপনার জন্য বিচারকমণ্ডলীর সর্বোচ্চ ভোটে নিজ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভ করেন।

উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ও সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রদান করা হয় ‘বেস্ট পার্টিসিপ্যান্ট অ্যাওয়ার্ড’। এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব, সৃজনশীলতা ও পেশাগত দক্ষতা বিকাশে অবিচল প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব জন স

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর-সংলগ্ন মিরপুর সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার বিকেলে সাড়ে তিনটার দিকে এই চিত্র দেখা যায়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

দুপুরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙতে গিয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। পরে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে আসছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে আছেন র‍্যাব ও বিজিবির সদস্যরা। তাঁরা শক্ত অবস্থানে আছেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুটি এক্সকাভেটর দেখা যায়।

পরে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে এক্সকাভেটর ঢোকানোর চেষ্টা করেন। তাঁদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী লাঠিপেটা করে।

কিছুটা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশের অন্তত এক সদস্য আহত হন।

আরও পড়ুনএক্সকাভেটর নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যাওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ৪ ঘণ্টা আগে

পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড মেরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে। এ সময় দফায় দফায় সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দ শোনা যায়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

বেলা পৌনে ২টার দিকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে বিক্ষোভকারীরা আবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে তাঁদের আবার ছত্রভঙ্গ করে দেয় সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

বিক্ষোভকারীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে যাওয়ার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা এবং তাঁদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আরও পড়ুনরায়কে কেন্দ্র করে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন৫ ঘণ্টা আগে

বিক্ষোভকারীরা পুরোপুরি সরে না যাওয়ায়, বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে দফায় দফায় ৩২ নম্বর সড়কে আসার চেষ্টা করায় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হয়। এখন এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক দুপুরে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।’

গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুনআড়াই ঘণ্টা ধরে পড়া হলো রায়, এরপর এল মৃত্যুদণ্ডের আদেশ২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ