কেয়ার্নসে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টি ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে করে ৭ উইকেটে ১৭২ রান। ওই রান তাড়া করতে নেমে ব‌্যাটিংয়ে ভুগেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে গ্লেন ম‌্যাক্সওয়েল তাদের লড়াইয়েও রেখেছিল। 

শেষ ১২ বলে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন‌্য প্রয়োজন ছিল ১২ রান। পেসার কোরবিন বোস ১৯তম ওভারে কোনো রান তো দেন-ই নি উল্টো আদায় করে নেন ২ উইকেট। ২ রান যোগ হয় লেগবাই থেকে। ক্রিজের অপরপ্রান্তে সব চেয়ে চেয়ে দেখেছেন ম‌্যাক্সওয়েল। তখন তার রান ৩১ বলে ৫২।

শেষ ওভারে বোলিংয়ে লুঙ্গি এনগিডি। ৬ বলে প্রয়োজন ১০ রান। প্রবল চাপে থাকা ম‌্যাক্সওয়েল নিজের স্নায়ু স্থির রাখলেন। হিসেবে কষে খেললেন এনগিডির বল। তাতে সফলও হলেন। প্রথম বল ডিপ মিড উইকেটে পাঠিয়ে নেন ২ রান। পরের বল কাভার সুইপার দিয়ে চার। তৃতীয় ও চতুর্থ বল ডট। সিঙ্গেল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নেননি। 

নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। ১টি বাউন্ডারি হলেও হয়ে যাবে। পঞ্চম বলে তেমন কিছুই হলো। এনগিডির ফুলটস বল রিভার্স সুইপ করে ৪ রান পেয়ে যান ম‌্যাক্সওয়েল। যে ম‌্যাচটা অস্ট্রেলিয়ায় হারের শঙ্কায় ভুগছিল সেই ম‌্যাচটা তারা জিতে যায় ১ বল আগে, ২ উইকেট হাতে রেখে। 

জয়ের নায়ক ম‌্যাক্সওয়েল ৩৬ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রানের অবিশ্বাস‌্য ইনিংস খেলেন। এই জয়ে ২-১ ব‌্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের হয়ে ইনিংসের শুরুটা ভালো করেছিলেন মিচেল মার্শ। ৩৭ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৪ রান করেন মার্শ। কিন্তু তার ফেরার পর ইনিংসের মধ‌্যভাগে কেউ হাল ধরতে পারেননি। শেষ দিকে বাকিদের ব‌্যর্থতা আড়াল করে দেন ম‌্যাক্সওয়েল। 

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন ডেয়াল্ড ব্রেভিস। ২৬ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ব্রেভিস। ৩৮ রান করেন রাইসি ভন ডার ডুসেন। ট্রিটাস স্টাবস ২৫ ও ২৪ রান করেন ড্রি প্রিটোরিয়াস। 

বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নাথান এলিস নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন জস হ‌্যাজেলউড ও অ‌্যাডাম জাম্পা। 

ম‌্যাচ সেরা হন ম‌্যাক্সওয়েল। সিরিজ সেরা টিম ডেভিড। 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক সওয় ল র ন কর ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

হলান্ডের জোড়া গোল, গোল দুই অভিষিক্তর, সিটির বড় জয়

উলভারহ্যাম্পটন ০: ৪ ম্যানচেস্টার সিটি

মলিন্যুতে ম্যাচ। তবু আজ উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে নিরঙ্কুশ ফেবারিটই ছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ফুটবলের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কাজ করা অপটা প্রেডিকটরের হিসেবে শতকরা ৯৪ ভাগ জয়ের সম্ভাবনা নিয়েই মাঠে নেমেছিল পেপ গার্দিওলার সিটি। ভবিষ্যদ্বাণী মিলিয়ে বড় ব্যবধানেই জিতেছে সিটি। উলভারহ্যাম্পটনকে ৪-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুম শুরু করেছে সিটিজেনরা।

দুই অর্ধে দুটি করে গোল করেছে সিটি। দুই অর্ধেই একটি করে গোল পেয়েছেন আর্লিং হলান্ড। সিটিতে যোগ দেওয়ার পর চার মৌসুমেই প্রথম ম্যাচে গোল করার ধারা ধরে রাখলেন নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার। সিটির অন্য দুটি গোল দুই অভিষিক্ত খেলোয়াড় তিজানি রেইন্ডার্স ও রায়ান শেরকির।

ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভালো ছিল না সিটির। অফসাইডের কারণে উলভসের মার্শাল মুনেতসির একটি গোল বাতিল না হলে এগিয়েও যেতে পারত তারা। ২৬ মিনিটে সেই গোল বাতিলের পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সিটি। ৩৪ মিনিটে হল্যান্ডের গোল এগিয়ে যায় দলটি।

প্রিমিয়ার লিগ অভিষেকেই গোল পেয়েছেন সিটির ডাচ মিডফিল্ডার তিজানি রেইন্ডার্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ