জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে ঘটনার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ (তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ বাদে) আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শেষ হতে পারে।

আজ রোববার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর মো.

মিজানুল ইসলাম এই তথ্য জানান।

শেখ হাসিনার পাশাপাশি এই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন আসামি। তাঁদের মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন এরই মধ্যে অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এ মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী হিসেবে পরিচিত) হয়েছেন। মামলার অন্য দুই আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক।

এই মামলায় আজ বেলা দেড়টা পর্যন্ত তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাঁরা হলেন আব্দুস সামাদ, মো. মিজান মিয়া ও নাইম শিকদার। এ নিয়ে এই মামলায় মোট আট সাক্ষী সাক্ষ্য দিলেন।

কবে নাগাদ এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হতে পারে, এ–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ম্যাটেরিয়াল উইটনেস (ঘটনার সাক্ষী)...আগামী মাসের (সেপ্টেম্বর) মধ্যে এই মামলায় শেষ করতে পারব।...আইও (তদন্ত কর্মকর্তা) বাদে। অথবা পরের মাসে (অক্টোবর) প্রথম সপ্তাহে যেতেও পারে।’

এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এই মামলায় মাহমুদুর রহমান (আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক), নাহিদ ইসলাম (জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক) ও বদরুদ্দীন উমর (লেখক–গবেষক ও বামপন্থী রাজনীতিক) কবে সাক্ষী দেবেন?

জবাবে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘ওনাদের সঙ্গে আলোচনা করব, ওনারা কবে আসতে পারবেন, সেভাবে আমরা করব।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র স ক ষ য গ রহণ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশের কাছে হারের কারণ ব্যাখ্যায় যা বললেন রশিদ খান

এশিয়া কাপের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেও বাংলাদেশের কাছে হারল আফগানিস্তান। কাল শারজাতে বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে রশিদ খানের দল। এই হারে দলের ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগকেই দুষছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।

আফগানিস্তানের ১৫১ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ উদ্বোধনী জুটি তুলেছে ১০৯ রান। তখন জয় মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। কিন্তু আচমকাই বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে বড় ধস নামে। ১১.৪ ওভার থেকে ১৫.৪ ওভারের মধ্যে ২৪ বলে বাংলাদেশ ৯ রানে ৬ উইকেট হারালে ম্যাচে ফেরে আফগানিস্তান। কিন্তু এভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত জিততে পারেনি তারা।

আফগানিস্তানের ঘুরে দাঁড়ানোয় সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল রশিদের। ১৮ রানে ৪ উইকেট নেন এই লেগ স্পিনার। এর মধ্য দিয়ে দারুণ এক কীর্তিও গড়েন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে এ নিয়ে পঞ্চমবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিলেন রশিদ।

টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর অধিনায়কদের মধ্যে টি–টোয়েন্টিতে আর কোনো অধিনায়ক এতবার ইনিংসে ৪ উইকেট নিতে পারেননি। বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা দুবার করে ইনিংসে ন্যূনতম ৪ উইকেট নিয়েছেন।

কাল ৪ উইকেট নিয়েছেন রশিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ