বরগুনায় এক দিনে ডেঙ্গুতে চারজনের মৃত্যু
Published: 20th, September 2025 GMT
প্রতীকী ছবি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্মৃত প্রতিভা হারানো মনাস্ট্রি
সূর্যাস্তে
তীব্র হতাশার মধ্যেও আমি তোমার ডাক শুনতে পাই
সেই আমার সবচেয়ে বড় সুখ;
আমার কষ্ট আমার উত্তর তোমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
হয়তো তুমি আমার ভাষা পড়তে পারো না।
হয়তো আমি তোমার ভাষায় উত্তর দিতে পারি না
ব্যাখ্যাবিহীন চিহ্ন, অমূলক কর্তৃত্ব, নির্লজ্জ ক্ষরণ
তবুও তোমার কণ্ঠস্বর আমার কাছে পৌঁছায়
আমি ক্রমাগত উত্তর দিই,
আমার ক্রোধ শীতের মতো ম্লান হয়ে যায়
গ্রীষ্মের সন্ধ্যার বাতাসে
আমার কোমলতা
তোমার উত্তর হয়ে ভাসে
মেডিসিন ক্যাবিনেটের অস্পষ্ট ঘোলা আয়নার পেছনে ফ্রেম করা মুখ—
বিক্ষিপ্ত মেঘের বাষ্পে
সকালে গোছানো বেগুনি বিছানা
যেখানে উঁচু–নিচু পাহাড়ে বৃক্ষের সমতলে
কোনো বাইসন সারা রাত চরেছে
বিনিদ্র সন্ধ্যা থেকে ভোর;
খোলা পিঠে খসখসে গাল,
এখন শেভিং ফোমের সর্পিল রক্তের ফোঁটায়
গোলাপি প্রবাল দ্বীপ
শীত ঠেলে গাড়িটি বেরিয়ে গেল—
হাতের চিকন ব্লেডে বাষ্প কাটা উন্মুক্ত দরজায়
হিমায়িত কাচের পেছনে বিদায় জানিয়ে
পতিত পাতার স্তূপে চাপা পড়ল যুবক
রয়ে গেল রুপালি তৈজসপত্রে ঠাসা সিনক-বোঝাই
খালি কফি কাপের উপেক্ষা
শরীর অক্ষত রেখেছে আকৃতি।
তাহলে কি ফিরে যাব?
বাতাসের ধাক্কায় ইউক্যালিপটাসরা এখানে পাথর,
শাখারা মুকুল ঝরিয়ে ক্লান্ত,
এখনো সেই ছত্রাক ছায়ার কান্নায়
সাদা অন্ধকারে নিশ্বাস ফেলছে
ঝুমকোলতায় আলোকিত কপারবাগান
বিস্মৃত প্রতিভা হারানো মনাস্ট্রি
সূর্যের আলোতে মেলে দিয়েছিল তারা—
আমাকে আবার
রোদে শুকাতে আমার আত্মা,
আমার শরীর, হাত,
পায়ের আঙুল
প্রতিস্থাপিত করতে আমার বোধ
আমার দুচোখ ফাঁকা ছিল,
চেয়েছিল কোটরে স্থাপন করতে নতুন দৃষ্টি
পালিয়ে এসেছি আমি
রূপান্তরিত নতুন দেহে
পুরোনো কোকুন
উঁকি দেওয়া পাশের বাসার হলুদ বারান্দায়
প্রতিবেশী দাঁড়কাক
রি-ইনফোর্সিং বারে চড়ুইয়ের ঘর
দৃষ্টি এখনো সেই দোতলা বাড়ির ছাদে—
পেছনে পুরো একটা জীবন
সেখান থেকে রাস্তার দুপাশে
নাগরিক কোলাহল
জানালায় প্রেমিকার অপেক্ষা
ট্রাফিক সিগন্যাল ছাড়িয়ে সুদূরে
কাছে আসা দিনের ক্লান্তি
ধীরে ধীরে সূর্যের বিপরীতে দৃশ্যমান স্ট্রাইপড শার্ট
হাতে ব্যাগ, নিষ্পাপ চাহনি
আশ্বস্ত করতে উত্থিত অনুসন্ধানী ভ্রু
যত কাছে আসতে চেয়েছি, তত বেড়েছে দূরত্ব
ভালোবাসাই দূরত্ব যখন:
দূরে গিয়েছি যত
তত ফিরে এসেছি কাছে
ই–মেইল: [email protected]