কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের আট নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
Published: 21st, September 2025 GMT
রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের আট নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া ও সহায়তার অভিযোগ রয়েছে।
আজ রোববার ডিএমপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার সন্ধ্যা থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক কামরুল ইসলাম শাকিল (৩৪), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহসভাপতি আল ইত্তেহাদ রোহান (২৯), গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো.
ডিবির তথ্যমতে, শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে গাজীপুরের সদর থানা এলাকা থেকে কামরুল ইসলামকে এবং রাত ৯টার দিকে দক্ষিণখান এলাকা থেকে আল ইত্তেহাদ রোহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে ১১টা ৩৫ মিনিটে গেন্ডারিয়ার লোহারপুল থেকে মো. হাসানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগ। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কলাবাগান এলাকা থেকে লাহুল হোসেনকে এবং রাত সোয়া ৮টার দিকে ডেমরা থেকে মো. ইয়াসিন আহমেদ রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সকালে গুলশান বিভাগের একটি দল মিরপুর সেকশন–৬–এর একটি বাসা থেকে তানভীর রেজওয়ান ভূঁইয়াকে ও চামেলীবাগ এলাকা থেকে সজিব কাজী এবং শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে হাজারীবাগ এলাকা থেকে প্রভাত চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি সূত্র বলছে, মো. ইয়াসিন আহমেদ রবিন ১৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডির ২৭ নম্বরে যুবলীগের ঝটিকা মিছিলে নেতৃত্ব দেন। তিনি বিভিন্ন ঝটিকা মিছিলে লোক সরবরাহ ও অর্থসহায়তার কাজও করতেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
পোশাকশিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিজিএমইএ-আইএমএফ বৈঠক
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মধ্যে পোশাকশিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি ও রূপান্তর নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় এই বৈঠক হয়।
আরো পড়ুন:
উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বিজিএমইএ-এনপিও সমঝোতা স্মারক
শুল্ক হ্রাসে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই, আরো কমাতে আলোচনার পরামর্শ
বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এজেন্ডায় পোশাক খাতের অবদানকে উচ্চ প্রশংসা করে এবং শিল্প খাতের চলমান রূপান্তর প্রচেষ্টায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয়।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান, সহসভাপতি মো. রেজোয়ান সেলিম, সহসভাপতি ভিদিয়া অমৃত খান, পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা এবং পরিচালক ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী।
আইএমএফ প্রতিনিধি দলে ছিলেন সিনিয়র ইকোনমিস্ট কিয়াও চেন, সিনিয়র ইকোনমিস্ট রুইফেং ঝাং এবং ইকোনমিস্ট আয়া সাইদ।
আইএমএফের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পোশাকশিল্পের ভূমিকা, চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈশ্বিক অস্থিরতা সত্ত্বেও কিভাবে পোশাকশিল্প প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ নেতারা জানান, প্রতিষ্ঠানটি এখন শ্রমনির্ভর মডেল থেকে বেরিয়ে এসে মূল্য সংযোজিত পণ্য, উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিগত মানোন্নয়নের মাধ্যমে উচ্চমূল্যের উৎপাদন ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। তারা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, ম্যান-মেইড ফাইবার (এমএমএফ) ও টেকনিক্যাল টেক্সটাইল উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বৈঠকে এলডিসি উত্তরণের পর বাংলাদেশের জন্য সম্ভাব্য শুল্ক পরিবর্তন ও বাণিজ্য সুবিধা হ্রাসের বিষয়েও আলোচনা হয়। বিজিএমইএ নেতারা জানান, তারা সরকারকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) ও অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সম্পাদনের পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে বাজারে প্রতিযোগিতা বজায় থাকে।
বিজিএমইএ নেতারা বৈঠকে শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে ব্যবসা পরিচালন সহজীকরণ ও ব্যয় হ্রাসের ওপর জোর দেন। তারা উল্লেখ করেন, বোর্ড ইতিমধ্যে সরকারকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের স্থিতিশীলতা, বন্দর ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বৃদ্ধি, কাস্টমস ও বন্ড প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং সুদের হার এক অঙ্কে রাখার বিষয়ে সুপারিশ করেছে। এছাড়া তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন দ্রুত সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয়তার কথাও তুলে ধরেন।
ঢাকা/নাজমুল/সাইফ