গাজীপুর টঙ্গীর কেমিক্যাল গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার শামীম আহমেদ (৪২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান তিনি।

আরো পড়ুন:

দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে খিলগাঁওয়ের আগুন

৩২ নম্বরের বেজমেন্টে পানি ছাড়া ‘কিছু পাওয়া যায়নি’

তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা.

শাওন বিন রহমান।

তিনি বলেন, “শরীরের ১০০ ভাগ পুড়ে যাওয়া শামীমকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা গেছেন।”

শামীমের বড় ভাই রুহুল আমিন জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পিজাহাতী গ্রামে। বাবার নাম আব্দুল হামিদ। স্ত্রী মনি আক্তার ও ৩ সন্তান নিয়ে টঙ্গীতে থাকতেন শামীম।

তিনি আরো জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত ছিলেন শামীম। সম্প্রতি লিডার পদে পদন্নোতি পেয়েছেন।

সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টঙ্গী বিসিক এলাকায় সাহারা সুপার মার্কেটের পাশে একটি কেমিক্যাল গোডাউনে আগুনের খবর পেয়ে সেখানে যায় ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট। আগুন নির্বাপনের কাজ করার সময় হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হলে দগ্ধ হন ৪ ফায়ার ফাইটারসহ আরো কয়েকজন।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিসিবি নির্বাচনি প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপেই ‘গড়বড়’

মাঠের ক্রিকেট এখন কোর্ট-কাছারির বারান্দায়! ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসন নির্বাচন নিয়ে মুখোমুখি দুই প্রতিপক্ষ শিবির শরণাপন্ন হয়েছে আদালতের। তাতে বিসিবি নির্বাচনি প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপেই হয়েছে ‘গড়বড়’।

তফসিল অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খসড়া ভোটার তালিকার ওপর আপত্তি গ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু দুই দফা সময় বাড়ানোর পরও নির্ধারিত সময়ে প্রকাশ করা হয়নি ভোটার তালিকার খসড়া। দুপুর ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ও অতিক্রম হয়েছে ২ ঘণ্টা হল।

আরো পড়ুন:

দুই দিন পেছাল বিসিবি নির্বাচন

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান

নির্বাচন কমিশন এই তালিকা প্রকাশ করার কথা। কিন্তু রাইজিংবিডি নিশ্চিত হয়েছে বিসিবি এখনও খসড়া ভোটার তালিকা তাদের কাছে পৌঁছে দেয়নি। অভিযোগের তির বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দিকে। শোনা যাচ্ছে পছন্দের কাউন্সিলরদের নাম না পেয়ে অপেক্ষা করছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল। এর আগেও তিনি নির্বাচনের কাউন্সিলর বা ভোটারদের নাম জমা দেওয়ার সময় দুইবার বাড়ান। দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানোর ক্ষেত্রে অন্য বোর্ড পরিচালকদের কোনো মতামতও নেননি বিসিবি সভাপতি।

এ নিয়ে পরিচালক ইফতেখার আহমেদ সরাসরি বলেছেন, “উনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে এটা অনুমোদন করে বাড়িয়ে দিয়েছেন। একটা তো জানেন যে আছে (ক্ষমতা)… এই ক্ষমতাবলে করেছেন (সময় বাড়ানো)…একটা তো জানেন যে আছে (ক্ষমতা)… এই ক্ষমতাবলে করেছেন (সময় বাড়ানো)…।’’

খসড়া ভোটার তালিকা নির্ধারিত সময়ে প্রকাশ না হওয়ায় নির্বাচনের সূচিতে আর কোনো পরিবর্তন আসবে কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন। পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ অক্টোবর।

নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ‘সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে’ আমিনুল ইসলাম সব সিদ্ধান্ত একা নিচ্ছেন। যিনি নিজেও বোর্ড পরিচালক প্রার্থী।  এছাড়া সরকারি হস্তক্ষেপ ও সভাপতির নির্বাহী ক্ষমতার অপপ্রয়োগের প্রতিবাদে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় এবং ক্লাবের সকল পর্যায়ের ক্রিকেট খেলোয়াড় ও সংগঠকরা।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ