গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে একটি রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাঁর মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল মান্নান। তিনি জানান, নিহত কর্মীর নাম শামিম আহম্মেদ (৪২)। তিনি কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা।

আরও পড়ুনটঙ্গীতে রাসায়নিকের গুদামে আগুন, ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৫ কর্মী দগ্ধ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সাহারা সুপার মার্কেটসংলগ্ন একটি গুদাম থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে তা বিভিন্ন স্থাপনায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ও জয়দেবপুরের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে রাসায়নিকের ড্রাম বিস্ফোরিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী ও এক কর্মকর্তা দগ্ধ হন। তাঁদের উদ্ধার ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে বাকিদের চিকিৎসা চলছে।

টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক জানান, জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরেকজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পদ্মার চরে ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’, কাকন বাহিনীর ২১ সদস্য গ্রেপ্তার

পদ্মার চরাঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ানো ‘কাকন বাহিনী’র ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার ভোরে রাজশাহীর বাঘা, পাবনার আমিনপুর ও ঈশ্বরদী এবং কুষ্টিয়া দৌলতপুরের চরাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় পাঁচটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, মাদক ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

এ সম্পর্কে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, কাকন বাহিনীর বিরুদ্ধে পুলিশ, র‍্যাব ও এপিবিএন সদস্যদের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন ফাস্ট লাইট। পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিমের এই অভিযানে ১ হাজার ২০০ সদস্য অংশ নিয়েছেন।

মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, অভিযানে পাঁচটি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র, মাদক ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় কাকন বাহিনীর ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত আছে। আজ বিকেলে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত ২৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী দৌলতপুরের মরিচা ইউনিয়নের চৌদ্দহাজার মৌজার নিচ খানপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় বাহিনীপ্রধান হাসিনুজ্জামান কাকনসহ বাহিনীর সদস্যদের নামে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় একটি মামলা হয়। এটিসহ তাঁদের বিরুদ্ধে, রাজশাহী, নাটোর, পাবনা ও কুষ্টিয়ায় মোট ছয়টি মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুনকথার আগে গুলি চালায় ‘কাকন বাহিনী’, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পদ্মার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল৩১ অক্টোবর ২০২৫

এ ঘটনায় গত ৩১ অক্টোবর প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘কথার আগে গুলি চালায় “কাকন বাহিনী”, দাপিয়ে বেড়াচ্ছে পদ্মার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

আরও পড়ুনদুজনকে হত্যার ঘটনায় ‘কাকন বাহিনীর’ কাকনকে প্রধান আসামি করে মামলা২৯ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ