টঙ্গীতে রাসায়নিক গুদামে আগুনে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের আরেক সদস্যের মৃত্যু
Published: 24th, September 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীতে একটি রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ ফায়ার সার্ভিসের আরেক সদস্য মারা গেছেন।
মারা যাওয়া এই ফায়ার সার্ভিস সদস্যের নাম নুরুল হুদা (৩৮)। তিনি টঙ্গী ফায়ার স্টেশনে কর্মরত ছিলেন। আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাঁর মৃত্যু হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের গণমাধ্যম শাখার সদস্য তালহা বিন জসিম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তালহা বিন জসিম বলেন, নুরুল হুদার বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায়। বাবা আবদুল মনসুর, মা শিরিনা খাতুন। নুরুল হুদা ২০০৭ সালে ফায়ার সার্ভিসে যোগদান করেন। তাঁর শরীরের শতভাগ পুড়ে গিয়েছিল।
এ নিয়ে টঙ্গীর এই দুর্ঘটনায় দগ্ধ চারজনের মধ্যে দুজন মারা গেলেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার মারা যান শামিম আহম্মেদ নামের ফায়ার সার্ভিসের এক সদস্য।
আরও পড়ুনটঙ্গীতে রাসায়নিকের গুদামে আগুন, ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৫ কর্মী দগ্ধ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, ২২ সেপ্টেম্বর বিকেলে টঙ্গীর সাহারা সুপার মার্কেটসংলগ্ন একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে রাসায়নিকের ড্রাম বিস্ফোরিত হয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার কর্মী ও এক কর্মকর্তা দগ্ধ হন। তাঁদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুনটঙ্গীতে রাসায়নিক গুদামের আগুনে দগ্ধ ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
ভাঙ্গায় সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো মানববন্ধন
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদসহ পাঁচ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার কে এম কলেজের সামনে অখণ্ড ভাঙ্গা উপজেলা রক্ষা কমিটির উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে একই দাবিতে গত সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তাঁরা প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। রোববার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে আবার ফরিদপুর-৪ আসনে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে ইতিবাচক আশ্বাস দেওয়া হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে শান্তিপূর্ণভাবে তাঁরা তাঁদের দাবির সমর্থনে আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্থানীয় আবুল হোসেন, এনামুল কাজী, মাসুদ মুন্সি, ইমরান হোসেন প্রমুখ।
ফরিদপুরের-৪ আসনের অধীন ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনের সঙ্গে যুক্ত করে ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হয়। এর প্রতিবাদে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আন্দোলন করে আসছেন স্থানীয় লোকজন। এর মধ্যে আন্দোলনে সহিংসতার জেরে আলগী ইউপি চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিঞাসহ কয়েকজন গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে হাইকোর্টে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেন আদালত। ১০ দিনের মধ্যে সেই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
এলাকাবাসীর পাঁচ দফা দাবির মধ্যে আছে—ভাঙ্গাকে অখণ্ড রাখতে আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে কেটে নেওয়ার আদেশ বাতিল করে ফরিদপুর-৪ আসনে ফিরিয়ে দেওয়া; আন্দোলনে নেতৃত্ব দানকারী আলগী ইউপির চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক মিঞা ও আলগী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. পলাশকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া; মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা; নির্বিঘ্নে দুই ইউনিয়নের মানুষ যেন বাড়িতে থাকতে পারে, সেই নিশ্চয়তা দেওয়া এবং এ ঘটনা নিয়ে নতুন কোনো মামলা দিয়ে মানুষকে হয়রানি না করা।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আবদুল জলিল বলেন, হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন। এ অবস্থায় আন্দোলনকারীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করতে পুলিশের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করলেও কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে নতুন করে ইস্যু তৈরি হতে পারে। এ জন্য সবার ধৈর্য ধরা জরুরি।