এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের গড় ২০, স্ট্রাইক রেট ১১৯। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, পাকিস্তান ব্যাটিংয়ে সেরাটা দিতে পারছে না। সুপার ফোরে আজ পাকিস্তান খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে।

দুবাইয়ে হতে যাওয়া এই ম্যাচে জয়ী দল ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলবে। বাঁচামরার এই ম্যাচে পাকিস্তান কি তাদের ব্যাটিং বিভাগে পরিবর্তন নিয়ে আসবে? বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তান কেমন একাদশ খেলাতে পারে?

পাকিস্তানের হয়ে আজও ওপেন করবেন ফখর জামান ও সাহিবজাদা ফারহান। সাইম আইয়ুব ওপেনিংয়ে টানা তিন ম্যাচে শূন্য করার পর তাঁকে ওপেনিং থেকে সরিয়ে দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ফখর-ফারহান ওপেনিং জুটিতে তুলনামূলক ভালো করছেন।

সর্বশেষ দুই ম্যাচে পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ছিল ২১ ও ৪৫ রানের। তিনে খেলা সাইমের ব্যাটিংয়ের যে দশা, তাতে আজ তাঁকে একাদশ থেকে বাদ দিতে পারে পাকিস্তান। এশিয়া কাপে ৫ ম্যাচে ৩ শূন্যসহ মাত্র ২৩ রান করেছেন সাইম।

তবে নতুন বলে সাইমের বোলিং কাজে লাগতে পারে পাকিস্তানের। বিশেষ করে বাংলাদেশের ওপেনিংয়ে একজন বাঁহাতি থাকায় সাইমকে কাজে লাগাতে পারে পাকিস্তান। সে ক্ষেত্রে আরেকটি সুযোগ তিনি পেতেই পারেন।

পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার জায়গা মিডল অর্ডার। অধিনায়ক সালমান আগার ব্যাটে রান নেই। মোহাম্মদ হারিস ধারাবাহিকভাবে অধারাবাহিক। তাঁর ব্যাটিং অর্ডারও অনেকটা অধারাবাহিক। কখনো টপ অর্ডারে, কখনো খেলেন লোয়ার মিডল অর্ডারে। বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি কোথায় খেলেন, সেটাই দেখার বিষয়।

পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আগা ছন্দে নেই।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অর ড র

এছাড়াও পড়ুন:

এই মুহূর্তে বিচার, সংস্কার, নির্বাচনই দেশের মানুষের প্রধান স্বার্থ: জোনায়েদ সাকি

এই মুহূর্তে বিচার, সংস্কার, নির্বাচনই দেশের মানুষের প্রধান স্বার্থ উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বর্তমানের বিদ্যমান সংবিধান না বদলালে জনগণের হাতে ক্ষমতা আসবে না। কারণ, সংবিধানের অগণতান্ত্রিকতার সুযোগে একজন ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল।

শুক্রবার বিকেলে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মিছিলের পর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি এ মন্তব্য করেন। ​নগরের খানপুর মেট্রো হলের সামনে থেকে দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘মাথাল’ নিয়ে মিছিলটি শুরু হয় এবং শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে নিতাইগঞ্জে গিয়ে শেষ হয়।

​সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, শেখ হাসিনা সংবিধানের অগণতান্ত্রিকতার সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচার হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। সংবিধানে অনেক অধিকারের কথা বলা থাকলেও কার্যত এক ব্যক্তির হাতে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল। এর ফলে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ও ক্ষমতা এত দিন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বর্তমান বিদ্যমান সংবিধান না বদলালে জনগণের হাতে ক্ষমতা আসবে না। এ কথা শুরু থেকে বলে আসছে গণসংহতি আন্দোলন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পরও আমরা কথা বলা থামাইনি। জুলাই সনদ তৈরিতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিয়েছি, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে না পারে। এখন দায়িত্ব জনগণের। চোর-লুটেরাদের ভোট দিলে তারা আবার ফাঁকফোকর খুঁজবে।’

জনগণের স্বার্থই গণসংহতি আন্দোলনের স্বার্থ বলে উল্লেখ করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি তাঁর দলের প্রতীক ‘মাথাল’ মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীরা গত ১৬ বছর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে লড়াই করেছেন, অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁদের ওপর ভরসা রাখুন এবং মাথাল মার্কাকে বিজয়ী করুন।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, শেখ হাসিনা গায়ের জোরে তিনটি নির্বাচন করেছিল। এর মাধ্যমেই তারা সারা দেশে সহিংসতা শুরু করার ম্যান্ডেট পেয়েছে। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যাকে লাশের নদীতে পরিণত করেছে। তিনি বলেন, ‘এই শামীম ওসমান গং ত্বকীকে হত্যা করেছে। সাত খুন করেছে।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর সমন্বয়কারী বিপ্লব খান, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানী সরকার, জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম ও মহানগর কমিটির সদস্য ফারহানা মানিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ