রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সালেহ হাসান নকীবের মোখিক প্রতিশ্রুতিতে এবং রাকসু নির্বাচনের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম চলমান আন্দোলন কর্মসূচি আপাতত স্থগিত ঘোষণা করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সঙ্গে আলোচনা শেষে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড.

মো. আব্দুল আলিম এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ আমীরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

রাবিতে চলমান শাটডাউনের প্রতিবাদে শিবিরের মানববন্ধন

৭ দিনের জন্য রাবির ‘শাটডাউন’ স্থগিত

গতকাল দুপুর ১টায় ৭দিনের জন্য শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত করে রাবি অফিসার সমিতি।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের বিবৃতিতে জানানো হয়, গত ২০ সেপ্টেম্বর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়ে দ্রুততম সময়ে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ আশ্বাস দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যদি দ্রুততম সময়ে দোষীদের শাস্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা, শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত না করা হয়, সেক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম সাধারণ শিক্ষকদের নিয়ে স্থগিতকৃত কর্মসূচি পুনরায় গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

ঢাকা/ফাহিম/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর

বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!

কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!

চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।

এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)

সম্পর্কিত নিবন্ধ