মাছ রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তার নতুন নির্দেশনা
Published: 25th, September 2025 GMT
হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানিতে নগদ সহায়তার বিষয়ে আগের সার্কুলার সংশোধন করে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, যে দেশে পণ্য রপ্তানি করা হবে, কেবল সে দেশ থেকেই মূল্য প্রত্যাবাসন হতে হবে। ভিন্ন দেশ থেকে রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসিত হলেও শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অগ্রিম রপ্তানিমূল্যের বিপরীতে হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পরিশোধ সংশ্লিষ্ট আগের সার্কুলার সংশোধন করা হলো—যে দেশে পণ্য রপ্তানি করা হবে, কেবল সে দেশ থেকেই মূল্য প্রত্যাবাসন হতে হবে। এছাড়া, ভিন্ন দেশ থেকে রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসিত হলেও নিম্নবর্ণিত শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে নগদ সহায়তা প্রদেয় হবে। রপ্তানি আদেশ প্রদানকারী থেকে বা রপ্তানি আদেশ প্রদানকারীর সাথে সুনির্দিষ্ট ব্যবসায়িক সম্পর্ক আছে, এমন উৎস থেকে (এক্সচেঞ্জ হাউস ব্যতীত) রপ্তানিমূল্য প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হতে হবে। নগদ সহায়তার আবেদন প্রক্রিয়াকরণের পূর্বে পণ্য রপ্তানির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে স্বীকৃত ট্র্যাকিং পদ্ধতি/কাস্টমস কর্তৃপক্ষের এক্সপোর্ট জেনারেল মানিফেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হতে হবে এবং উক্ত তথ্যাদি আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।
এই সার্কুলার জারির তারিখ থেকে জাহাজিকৃত পণ্যের বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। পূর্বের কোনো অনিষ্পন্ন বিষয়ে বা অডিট আপত্তি আছে, এমন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে এ সার্কুলার প্রযোজ্য হবে না।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)