নতুন রূপে ফিরছেন আলোচিত ৫ কোরীয় অভিনেত্রী
Published: 25th, September 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়ার বিনোদনজগৎ গত এক দশকে যেভাবে বিশ্বকে মুগ্ধ করেছে, তার কেন্দ্রে রয়েছেন একঝাঁক জনপ্রিয় অভিনেত্রী। দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিনোদন সংস্থা ‘কাকাও এন্টারটেইনমেন্ট’ সম্প্রতি তাদের শরৎকালীন প্রকল্পে ‘কোরীয় কুইন’দের একটি লাইনআপ ঘোষণা করেছে। ‘কে–ড্রামার রানিরা ফিরছেন’—এই শিরোনামে তারা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় পাঁচ তারকা অভিনেত্রীকে তুলে ধরে। তাঁরা হলেন কিম গো–ইউন, সুজি, হান হিও–জু, আইইউ ও পার্ক বো–ইয়ং। এই অভিনেত্রীরা শুধু জনপ্রিয়ই নন; বরং সমসাময়িক কোরিয়ান নাটক ও সিনেমার নতুন জগৎ তৈরি করতে অবদান রেখেছেন।
নেটফ্লিক্স সিরিজ নিয়ে ফিরছেন কিম গো–ইউন
‘গবলিন’ দিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া কিম গো–ইউন অভিনয়ে সাহসী চরিত্র বেছে নেওয়ার জন্য বিখ্যাত। তাঁর বাস্তবসম্মত ও আবেগপূর্ণ অভিনয়ের কারণে তাঁকে প্রজন্মের সেরা অভিনেত্রীদের একজন বলা হয়। ১২ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাওয়া নেটফ্লিক্স সিরিজ ‘ইউ অ্যান্ড এভরিথিং এলস’–এ অভিনয় করছেন কিম গো-ইউন। ফ্লিক্সপ্যাট্রোল অনুযায়ী, এ সিরিজ এরই মধ্যে কোরিয়াসহ ১৪টি দেশে টপ ১০ তালিকায় পৌঁছেছে। কিম এখানে ইউন–জং চরিত্রে অভিনয় করছেন। তাঁর বিপরীতে রয়েছেন পার্ক জি–হয়ন। সিরিজটি নব্বইয়ের দশক থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জীবনের ভিন্ন ভিন্ন পর্যায়ে তাঁদের সম্পর্ককে তুলে ধরেছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এন্নিও মোররিকোনে, শোনাতেন ছুটন্ত ঘোড়ার খুরের সুর
বাংলা সিনেমার এক টিপিক্যাল দৃশ্য দিয়ে শুরু করা যাক। ধরলাম, সিনেমার নায়ক জসিম। পাহাড়ের পাদতলে ঘোড়া ছুটিয়ে তিনি ছুটে যাচ্ছেন ভিলেন জাম্বুকে পাকড়াও করতে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে। এক ভুতুড়ে-রহস্যময় সুর। ড্রামের মৃদু তালে তালে ঠোঁটের শিস। ট্রাম্পেটের ঢেউ। কখনো সেই সুর মিলিয়ে যাচ্ছে হ্রেষায়, কখনো খুরের টগবগে (সুরকে যদি ভাষায় প্রকাশ করা যেত!)। ক্ষণে ক্ষণে গা শিউরে উঠছে দৃশ্য ও সুরের পরম্পরায়, ঘটনার উত্তেজনায়। কিন্তু তখন কি জানতাম, বাংলা সিনেমায় এমন জাদুকরি সুর নেওয়া হয়েছে ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’ থেকে!
কিংবদন্তি ইতালিয়ান কম্পোজার প্রয়াত এন্নিও মোররিকোনের এই ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর বিশ্ব সিনেমার জগতে অনন্য হয়ে থাকবে সব সময়। তেমনি ‘স্পেগেত্তি ওয়েস্টার্নের’ স্রষ্টা সার্জিও লিওনের ‘ডলার্স ট্রিলজি’। ‘দ্য গুড, দ্য ব্যাড অ্যান্ড দ্য আগলি’র শেষ দৃশ্যে কবরস্থানে যখন ত্রিমুখী হয়ে বন্দুক হাতে ‘ম্যান উইথ নো নেম’ (ক্লিন্ট ইস্টউড), ‘টুকো’ (এলি ওয়ালাচ) ও ‘অ্যাঞ্জেল আইস’ (লি ফন ক্লিফ) দাঁড়ায়, তখন ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজতে থাকে সেই বিখ্যাত সাসপেন্স-থ্রিলারমাখা সুর। সেই সুরের কথাই বলেছি মূলত শুরুতে। মোররিকোনের মিউজিক কেবল ঢালিউডে নয়; বলিউডের বহু চলচ্চিত্রেও হুবহু ব্যবহার করা হয়েছে। ‘ডলার্স’ সিরিজসহ লিওনের আরও দুই মাস্টারপিস ছবি ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন ওয়েস্ট’ ও ‘ওয়ানস আপন আ টাইম ইন আমেরিকা’র মিউজিকও কম্পোজ করেন মোররিকোনে।
চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না!চলচ্চিত্রের শুরুর দিককার সময় কোনো সুর ছিল না। নির্বাক যুগ পেরিয়ে সিনেমা এখন এত দূর বিস্তৃত, যা এক শতকের মধ্যেই শিল্পের সবচেয়ে প্রভাবশালী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ছাড়া তো এখন সিনেমার কথা চিন্তাই করা যায় না! এখন দর্শক কেবল পর্দার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বসে থাকেন না; কানকেও কাজে লাগান সিনেমাবোধের জন্য। কাহিনিকে যদি আমার শরীর ধরি, তবে অভিনয় হচ্ছে সিনেমার প্রাণ। আর সংগীত যেন এই দুইয়ের সংযোগস্থল। কাহিনি ও অভিনয়কে আরও বেগবান করে তোলে সংগীত।
এন্নিও মোররিকোনে (১০ নভেম্বর ১৯২৮—৬ জুলাই ২০২০)